জাহাঙ্গীরের পর ক্ষমা পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের পর এবার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকেও ক্ষমা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মুরাদকে নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে দলীয় পদ ও সংসদ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে যারা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন তাদের বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর মুরাদ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন।

ওই চিঠিতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে দল বা দলীয় প্রধানকে বিব্রত করতে পারে ভবিষ্যতে এমন কিছু করবেন না বলে জানান।

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে মুরাদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমা পেয়েছি শুনেছি, তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি পাননি বলে জানান তিনি।

এর আগে, ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা নাহিদ রেইনস পিকচার্স-এর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।

এরপর অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহির মধ্যে ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তিনি আরেকটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।

ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্লাস: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্লাস। আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ সবাই রয়েছে।

রোববার (৪ জুন ) জাপার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক শিক্ষিত ও মার্জিত নেতা যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, বিচার বিভাগও আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা এতটাই শক্তিশালী যে, আওয়ামী লীগ প্লাসের নির্দেশনা মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। কেউ না মানলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনও আওয়ামী লীগ প্লাসের সদস্য হয়েছে। এতে দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা কারোই নেই।

তিনি বলেন, এমন বাস্তবতায় মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া বা মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে চিন্তা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে বের হতে না পারলে দেশে সঠিক রাজনীতি সম্ভব হবে না।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যে কাঠামোতে বাকশাল তৈরি করা হয়েছিল ঠিক তেমন করেই আওয়ামী লীগ প্লাস সৃষ্টি করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল করা হয়েছিল কিন্তু আওয়ামী লীগ প্লাস আইনগতভাবে করা হয়নি। যেমন বাকশালের জন্য কিছু আইন করা হয়েছিল যা আওয়ামী লীগ প্লাসের জন্য নেই। তাছাড়া সব সংস্থাই ঐ দলের সদস্যের মত কাজ করছেন। তারা যাকে যেখানে কাজ করতে বলবেন, সে সেখানেই কাজ করবেন। অথবা যাকে নির্বাচন করতে বলবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। এভাবেই আওয়ামী লীগ প্লাস একটি দল দাঁড়িয়ে গেছে। সদস্য হোক বা না হোক, ইচ্ছায় হোক আর না হোক, সবাই সেই দলের নিয়ন্ত্রণে যেতে বাধ্য হচ্ছে। প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেয়ার কথা যিনি বলেছেন তিনি উচ্চ শিক্ষিত এবং ঠান্ডা মাথায় বলেছেন। এখন সবাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছেন, এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এই ধরনের শাসন ব্যবস্থা কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। এমন বাস্তবতায় গণতন্ত্র আশা করা অসম্ভব।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, যখন সমস্ত কিছুই আওয়ামী লীগ প্লাস বা সেই দলের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনে ফলাফল অসম্ভব এবং তারা কখনোই পরাজিত হতে চাইবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। যারা এই নীতি ঘোষণা করেছেন তারা কতটা কার্যকর করেন তার ওপর নির্ভর করবে সব কিছু।

;

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার: তথ্যমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক করতে চাই।

রোববার (৪ জুন) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

২০ ঘণ্টা জার্নি করে আমেরিকা যাবো না, অন্য দেশ ও মহাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াবো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বা সরকার কি চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাক? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই নয়। আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা তাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক করতে চাই। এবং সে কারণে আপনারা দেখেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে আরও ঘনিষ্ট হয় সেজন্য পররাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিষয়ে অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক চাই।

‘যারা মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করার পর টেনশনে আছে তাদের টেনশন কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেছেন।’

তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য দেশ, যেমন দক্ষিণ আমেরিকা, সেখানে আমরা বাণিজ্য খুব একটা বাড়াতে পারিনি। সেখানে আমরা বাড়াতে চাই। আমরা মাধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বাণিজ্য, সেখানে শুধু শ্রমিক রপ্তানি করে থাকি। মধ্যপ্রাচ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, ফ্যাশন সচেতনতা বেড়েছে, সেখানেও আমাদের বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন। আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর। সেখানেও আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। ওশেনিয়া অঞ্চলে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর, সেখানেও আমরা বাড়াতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের লাফালাফি কমে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সব সময় বক্তব্য রাখার সময় কয়েক সেন্টিমিটার লাফ দেন। এটি হয়তো উনার অভ্যাস, হতেই পারে। বিভিন্নজন বক্তৃতা করার সময় লাফ দেন, এটা হয়তো উনার অভ্যাস, দোষের কিছু নয়। তিনি বলেছেন, আজরাইল নাকি সরকারের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। বেশি কথা বলে লাভ নেই। আজরাইল উনাদের পেছনেও আছে। উনাদের সঙ্গে শয়তানও আছে। এজন্য আজরাইল তাড়াতাড়ি ধারবে। পার্থক্যটা হচ্ছে সেখানে। কারণ উনি যে বিষয়কে ইঙ্গিত করে বলেছেন, সেটি যদি আজরাইল হয়, তাহলে সেই আজরাইল উনাদের অনেক বেশি কাছাকাছি আছে। আর আজরাইলের সঙ্গে উনাদের সঙ্গে শয়তান বহু আগে থেকেই আছে। সুতরাং যার সঙ্গে শয়তান থাকে, আজরাইল কিন্তু তার কাছে আগে পৌঁছায়।

‘এ ধরনের বক্তব্য রেখে আত্মতুষ্টি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আপনাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে। সারা দুনিয়ার কোনো জায়গা থেকে সমর্থন পাননি।’

;

সিলেটে মেয়র ও কাউন্সিলর ৪০ প্রার্থীকে বিএনপির শোকজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করায় এক মেয়র প্রার্থীসহ ৪০ কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বিএনপি ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

তারা জানান- কেন্দ্র থেকে পাওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ব্যক্তি স্বার্থে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিতে হবে।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমন, সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন, শাহেদ সিরাজ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন, এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি।

এদিকে, এই ধরণের কোন নোটিশ হাতে এখনো পাননি বলে জানান, মেয়র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিমন। রিমন জানান, তিনি বর্তমানে গণসংযোগে ব্যস্ত, এসব নিয়ে নোটিশ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।

;

আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, যেভাবে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো, সেভাবেই সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (৩ জুন ) নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, শাসন ব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান একটি দলের সদস্য হয়ে গেছে। দেশের বাকি মানুষ যেনো মানুষ নয়। সাধারণ মানুষ খেলো কি খেলো না, তা দেখার কেউ নেই। বাকশালের মত একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে স্থায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। সামনের নির্বাচনে বাকশালের মত সরকারকে চির স্থায়ীত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। দেশে বাকশালের মত দল হয়েছে, এখানে সাধারণ মানুষের কোন স্থান নেই। সাধারণ মানুষ বিচার পায় না, সাধারণ মানুষের কথা গ্রাহ্য করা হয় না, সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না। সাধারণ মানুষ নির্বাচন করে জিততে পারবে না, এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, দেশে একটি দল আছে। সেই দল স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। সেই দলের মধ্যে প্রশাসন, আর্মি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সদস্য। সংসদ ও সংসদের স্পিকার সেই দলের হয়েই কথা বলছেন। সবাইকে সেই দলই রক্ষা করছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। কিছু দিন আগে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা নামিয়ে দিয়েছি। কে নামিয়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিয়েছে। তার মানে বিচার বিভাগকেও ওই দলের সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবাই ওই দলের সদস্য হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতা একজন। সেই নেতা যা বলেন, সবাই তাই করেন। তাই নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সেখানে দুর্নীতিবাজরা কিভাবে শাস্তি পাবে? কীভাবে মেধাবিরা চাকরি পাবে? সবাই দলীয় আস্তরনের মধ্যে আছে। যে নির্দেশ আসে সবাই সে নির্দেশ মেনে চলে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করছি, আমরা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসিনি। সরকারের কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। একদলের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের মানুষ বেঁচে থাকার অবলম্বন পাবে। দেশকে মুক্ত করা না গেলে হাজার-হাজার কোটি টাকা আবারও বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সরকারের বিপক্ষে সত্য কথা বললে কোন গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের গলা টিপে রাখার জন্য। শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামীতে ফাঁসির ব্যবস্থা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আইন করে, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশে লুটপাটের ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতেই আমাদের রাজনীতি। বাজেটের কারণে সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠবে। সেজন্য সরকারের কোন প্রস্তুতি নেই। সরকার জান বাঁচাতে নির্বাচন পার করতে চাচ্ছে। তারপর তারা দেখিয়ে দেবে তারা কোথায় আর জনগণ কোথায়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সামনের দিনগুলো কেমন করে চলবে তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না। মধ্যবিত্তরা এখন নিম্নবিত্ত নয়, দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। যে ট্যাক্স বিদ্যমান আছে তাই দেশের মানুষ দিতে পারছে না। কিন্তু আরো ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে, জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে তারা চাকরি হারাচ্ছে। সরকার করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়েছে। এখন আইএমএফের পরামর্শে আরেক দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সারাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, এ দায় সরকারের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের দেশের মত কোন দেশের মানুষ এত অসহায় নেই। মুল্যস্ফীতির কারণে মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে, সামনের দিকে হয়তো অনেকেই না খেয়ে মারা যাবে।

তিনি বলেন, বেশির ভার কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লাখ-কোটি টাকা তসরুপ করেছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো দু‘শো ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বিদ্যুৎ দেওয়া নয়। সরকারের তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনার পয়সা নেই। এখন হাতে পায়ে ধরে বাকিতে গ্যাস, তেল ও কয়লা কিনতে হচ্ছে। গোঁজামিল দিয়ে দেশ চলছে। সরকারের হাতে বৈদেশিক মূদ্রা নেই। বকেয়া ঋণ পরিশোধ করলে সরকারের হাতে আর টাকা থাকবে না। এ কারণে, বিদেশ থেকে মাল আনতে পারছে না সরকার। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেননি কিন্তু সরকার কয়লার বিল বকেয়া রেখেছেন কেন? মানুষের দুর্দশার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পেকা লুটর নামে লাখ-কোটি টাপাট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। কিছু কিছু কোম্পানির সাথে সরকার চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক ডলারে তাদের পেমেণ্ট করতে হবে। এলএনজি খালাস হোক বা না হোক প্রতিদিন খালাস করার জায়গার জন্য একলাখ ডলারের বেশি দিতে হচ্ছে। এসব কোম্পানি হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু পরিবারের। আমরা পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার দেখেছি এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে যারা সরকারের সহায়তায় লুটপাটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

জাতীয় পার্টি মহাসিচব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের মানুষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গ্রামের মানুষ দিনে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়। বিদ্যুতের নামে সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আবার বিএনপি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। এই দুটি দলকে দেশের মানুষ আর চায় না।

নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব ফখরুল ইমাম এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোট । স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম রানা ভূঁইয়া, হাজী মো. নূরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির কিবরিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, এডভোকেট সারোয়ার মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী, মো. দেওয়ান আলী গাজী, মো. হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ হিরা, এডভোকেট আবুল হাসনাত মাসুম, মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাকির হোসেন মৃধা।

;