‘১০ ডিসেম্বর নিয়ে আতঙ্ক নয়, আমরা কাল সাভারে যাচ্ছি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আতঙ্কের কারণ নেই, আমরা চলে যাচ্ছি শনিবার সাভারে। ঢাকায় আমরা নাই।”

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সড়ক-মহাসড়কে কমে গেছে যানবাহন চলাচল। ঢাকার প্রতিটি প্রবেশমুখে পুলিশি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এই পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়নি সাধারণ মানুষ।

এই প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “তারা থাকবে গোলাপ বাগে মানুষ কেন আতঙ্কিত হবে। জনগণকে বলবো, আতঙ্কের কারণ নেই। আমরা চলে যাচ্ছি কাল সাভারে। ঢাকায় আমরা নাই, আমরা কাল সাভারে চলে যাচ্ছি। বিএনপি... এই শহর তাদের দিয়ে গেলাম। আতঙ্ক কেন। আমরা ক্ষমতায়, আমরা কেন অশান্তি চাইবো। আমরা কেন বিশৃঙ্খলা করবো। আরও এক বছর বাকি, নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ।”

গোলাপ বাগে সমাবেশ করতে রাজি হওয়ায় বিএনপির অর্ধেক পরাজয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “বিএনপি আজ বলে, সরকার নাকি ভয় পেয়েছে। সরকার ভয় পেয়েছে? মহানগর নাট্যমঞ্চে সভা, এদিকে গুলিস্তান, বঙ্গভবনের আশপাশ এলাকায় লোকে লোকারণ্য। কাদের পরাজয় হলো? অর্ধেক পরাজয় হযে গেছে পল্টনে সমাবেশ করতে পারে নি। আন্দোলন কর্মসূচির পরাজয় এখানেই অর্ধেক হয়ে গেছে। আজকে ঢাকা সিটিতে বের হয়ে বুঝতে পারলাম আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। আমাদের নেত্রীর ডাকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা আজ প্রস্তুত।”

সংকটের মেঘ চলে যাবে বলে আভাস আগেই দেওয়ার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি দু-দিন আগে বলি নি, মেঘ চলে যাবে। আমি বলি নি যে বিএনপি শেষ পর‌্যন্ত সমাধানে আসবে। পল্টন থেকে ভেবেছিলাম বাংলা কলেজ, না হলে গোলাপ বাগ। অবশেষে মেনে নিয়েছে, শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে।”

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রস্তত থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তৈরি হয়ে যান, প্রস্তত হয়ে যান। যারা আমার সহস্র জননীর বুক খালি করেছে, যারা এদেশের শত শত মায়ের কোল খালি করেছে, সন্তান হারা মায়ের কান্না, স্বামী হারা নববধুর ফরিয়াদি, ভাই হারা বোনের আর্তনাতে বাংলার বাতাস আজও ভাড়ি। যারা ২১আগস্ট ১৫ আগস্ট গটিয়েছে।

তারেক রহমানের দেশে আসার প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জেলে গিয়ে রাজনীতি করবেন, সেই সাহস তারেক রহমানের নেই। বলে আসবে, কবে আসবে... ২০০৭ সাল সেই থেকে পনের বছর, পনের বছরে এলো না, আসবে কবে? কবে আসবে? ক্ষমতায় গিয়ে আন্দোলনের মুখে তাকে নিয়ে আসবেন।

“ঐ চিন্তা করে লাভ নেই। বিএনপি স্বপ্ন দেখছে দিবা স্বপ্ন। বিএনপি দু:স্বপ্ন দেখছে, অচিরেই ক্ষমতা কেন্দ্রীক রঙ্গিন খোয়াব কর্পুরের মত উবে যাবে।”

বিদেশিদের কোন ধরণের হম্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিদেশি বন্ধুদের বলি, আমরা আপনাদের অভ্যন্তরিণ ব্যপারে হস্তক্ষেপ করি না। এই দেশের দুতাবাসে যে সকল বন্ধু দেশের প্রতিনিধি আছে, আপনারা এখানে কারও পক্ষ নিবেন না। আমাদের ঘরের ভেতরে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা জানি আমাদের গণতন্ত্র কিভাবে সংরনক্ষণ করবো।”

গনমাধ্যমের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিছু মিডিয়া। আপনারা তাদের চিনেন, চিনে রাখুন। সময় মত জবাব পাবে তারা। সত্যের বিরুদ্ধে যারা আজকে যাচ্ছে। কোন কোন মিডিয়া রাতে এবং সাকালে যখন দেখি, মনে হয না এখানে আর কোন দল আছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন দল বলেন? চট্রগ্রাম, যশোর, ককবসবাজার শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের সব সমাবেশ চট্রগ্রামের সমান হবে না।”

   

নির্বাচন ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী সরকারের দমন পীড়নের শিকার হয়েছেন দাবি করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা বাংলাদেশে এখন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ভয় আর ত্রাসের রাজত্ব। নির্বাচন ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ, গুম ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারে ঈদ উপহার বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।

ফখরুল বলেন, ‘দমনপীড়ন না করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না জেনেই খালেদা জিয়া ওপর প্রথম জুলুম শুরু করে। বেগম জিয়া বুধবার অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মনে হচ্ছিলো তিনি হয়তো আর সময় পাবেন না। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করেন।

গোটা জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। সংগ্রাম করতে হবে। যতটুকু সম্ভব নয়, তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম করছি আমরা। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পরাজিত করতে হবে।

;

‘বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা পৃথিবীতে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়, আর বিএনপি-জামায়াত এই হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে, তারমধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনীসহ বিশ্বের বহু জায়গায়, এমন কি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাবার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।

মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদেরকে ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুন সন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।

এ সময় ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম ও আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন, অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরকমুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ মাহফিলে বক্তৃতা দেন।

;

বিএনপি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে: কাদের

বিএনপি গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে: কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বিএনপি নেতাদের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের ন্যায় দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হন্তারকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকচক্র অসহায় নারী, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? ১৯৭৫-এর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রুপের হাসি হাসে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই। গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিল। ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র! লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের ওপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিল স্বৈরাচার জিয়া; অবৈধভাবে একই সঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়া পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসিত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বৈরাচার জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি! নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতাদখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।  

;

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা দিবসে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে গুলি করার পর তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে এ ধরনের প্রাণ বিনাশী রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয়বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দুরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এসমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে। ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না।

ফখরুল আরো বলেন, শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তাবেদার সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দল-মত নির্বিশেষে সকলকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।

;