ইসি এখন ঢাকায় বসে ক্যামেরায় ভোট চুরি দেখেন: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
আজকাল যারা নির্বাচন কমিশনার হন, তাদের মেরুদন্ড নেই। তাদের কোনো রকমের ব্যক্তিত্ব নাই। মানুষ হিসেবে একটা যে মর্যাদা থাকে এই কমিশনারদের তাও নাই। তারা এখন ক্যামেরা ব্যবহার করে ঢাকায় বসে ভোট চুরি দেখেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
বুধবার(২৩ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা ডাকবাংলো মাঠে ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ভোটের অধিকার হরণের’ প্রতিবাদে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৯৯৯ সালে ১৫ নভেম্বর বিএনপি যদি ভোট চুরির প্রতিবাদ করতো আজ এমন কান্নাকাটি করতে হতো না। তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার আবু হেনার সঙ্গে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের তুলনা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে হিজরা বলে অভিহত করেন।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনছি, বন বিভাগ সখীপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছে। যাদের বাড়ি ঘর আছে, যারা ধান ফলায়, পাট ফলায়, সবজি চাষ করে, তাদের এক ইঞ্চি জায়গার মধ্যে যদি বন বিভাগ মাতব্বরি করতে যায়। তাদের সখীপুর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। যার যেভাবে আছে, সে ওই ভাবেই ভোগ করবে। এতে কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।
সভায় দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুস ছবুর খানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, যুগ্ম সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, দলের জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের সাবেক ভিপি শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু প্রমুখ।