দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ১৮ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের বহন করা একটি ভিভিআইপি ভাড়া করা ফ্লাইট রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে (বাংলাদেশ সয়ম রাত সাড়ে ৪ টা) ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করে।

এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ ইমরান ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মাদ আব্দুল মুহিত বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন থেকে তাঁর দেশে ফেরার পথে লন্ডনে স্বল্প সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি করবেন।

শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে এক রাষ্ট্রীয় সফরে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান। সেখানে তিনি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এবং রাজা তৃতীয় চাল্স আয়োজিত সিংহাসনে আরোহণ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশে ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডন ত্যাগ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং এর ফাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

   

সিলেট বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় নেতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় সিলেটে দুই বিএনপি নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- মহানগরীর ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ৪৯ নং নির্বাহী সদস্য সালেহ আহমদ খসরু এবং ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির ৪২ নং নির্বাহী সদস্য দিনার খান হাসু।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চের শেষ জনসভা ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় রোডমার্চের দল নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শনকালে জেলা ও মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মাঠ পরিদর্শন শেষে কোন কারণ ছাড়া দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তারা অশোভন আচরণ করেন। যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে প্রতীয়মান হয় যে ২১ তারিখের আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভার আয়োজনটি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।

এমন কার্যকলাপে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে কেন তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন করা হবে না তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিজেদের সপক্ষের বক্তব্য থাকলে নিম্ন স্বাক্ষরকারী মহানগর বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবরে প্রেরণ করার অনুরোধ করা হয়।

;

আজ কোথায় কখন কোন দলের সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এমন অবস্থায় দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আজ ঢাকায় কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। সবমিলিয়ে ঢাকা আজ সমাবেশের নগরী।

রাজধানীর চারটি স্থানে পৃথক সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। বিকেলে রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল ও আমিনবাজারে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি জানিয়েছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ধোলাইখালে বেলা তিনটায় সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। তাদের এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই দাবিতে বেলা আড়াইটা থেকে আমিনবাজার চিশতি ফিলিং স্টেশন–সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ করবে ঢাকা জেলা বিএনপি।

অন্যদিকে বেলা দুইটায় রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এখানে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সরণিতে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

;

'ওবায়দুল কাদের পারলে খালেদা জিয়া কেন সিঙ্গাপুর যেতে পারবে না'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেছেন, বেগম খালেদো জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। যিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন। তিনি কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি। সবাই তাকে দেশের গণতন্ত্রের মা হিসেবে চিহিৃত করেছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা এরশাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে গিয়েছিল। অথচ বলে বেড়ান তিনি নাকি আন্দোলন করেছেন। ওবায়দুল কাদের যদি প্রতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যেতে পারে, বেগম খালেদা জিয়া কেন যেতে পারবে না। ম্যাডামের কিছু হলে সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে। সরকার বুঝতে পারছেন না? আপনারা বুঝবেন না। কারণ বিভিন্ন বাহিনী নিয়ে আছেন। আরে আন্দোলনের জোয়ারে এই বাহিনী এক মিনিটের মধ্যে কোথায় চলে যাবে টেরও পাবেন না। 

রোববার (২৪ সেপ্টম্বর) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএন‌পি চেয়ারপার্সন বেগম খা‌লেদা জিয়ার মু‌ক্তির দা‌বি‌তে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির কেন্দ্র ঘোষিত বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। 

মীর নাছির বলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আমাকে বলেছিল, আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম সব বাহিনীর প্রধানরা বলেছিল, আমার পাশে থাকবে। কিন্তু বিপদ যখন আসল, দেখি, আমি ছাড়া পাশে আর কেউ নেই। পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই, বেশি বাড়বাড়ি করবেন না। জোয়ার শুরু হলে কিছু করতে পারবেন না। আমাদের নেতাদের যেদিন নির্দেশ দিব সেদিন আপনাদের কোনো অস্ত্রই কাজে আসবে না। আমরা আন্দোলন করে এই পর্যায়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। আওয়ামী লীগের সাথে কোন আপোষ নাই। বেগম খালেদা জিয়াকে যে অত্যাচার করেছে তাদেরকে ক্ষমা করা যায় না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবু্বর রহমান শামীম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে এই সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। শেখ হাসিনা জনগণের শক্তিতে নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বন্দুকের নলে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা আবারো বিগত নির্বাচনের মত আরেকটি নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। সারা বিশ্ব আজকে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচিতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, খেলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে বিদায় নিতেই হবে। বোরখা যদি কিনে না নেন ওই নারায়ণগঞ্জের নেতার কাছ থেকে তাড়াতাড়ি কিনে ফেলুন। দেশত্যাগের জন্য গোপনে প্রস্তুতি নিন। জনগণ কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবে না। জনগণ প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিল। আজকে বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসা পাওয়া তাঁর মৌলিক অধিকার। কিন্তু জটিল চিকিৎসার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে নেই। কো্নো সরকার যদি মানুষের মৌলিক অধিকার দিতে না পারে তাহলে তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনো প্রয়োজন থাকে না। কিন্তু এ সরকার বেহায়া নির্লজ্জ সরকার। এ সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে। চুরিচামারি করে আর ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ বারবার রক্ত দিয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে একদফার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। 

 

;

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। বেঁধে দেয়া এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিএনপির।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসকরা বলছেন তাকে অতি দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দেন। না হলে এ দেশের মানুষ আপনাদের (সরকার) নিষেধাজ্ঞা দেবে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি ভাঙার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন ভিসানীতি স্বাধীন দেশের জন্য অপমানজনক। এরজন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, দেশের মানুষও সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে।

সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন দলটির নেতাকর্মীরা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

 

;