পিস্তল তাক করা এমপির সঙ্গে সমঝোতা করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
পিস্তল তাক করা এমপির সঙ্গে সমঝোতা করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!

পিস্তল তাক করা এমপির সঙ্গে সমঝোতা করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে পিস্তল তাক করে গুলি ছোড়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে থাকেন।

তবে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু ও সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর বুক মিলানো ও মিষ্টি খাওয়ানো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেট মাধ্যমে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির পর মিষ্টি খাওয়ানো এবং বুক মিলানো হয়।

শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নু এ প্রসঙ্গে বলেন, এমপি (সংসদ সদস্য) ঝামেলায় যাবেন না, কোথাও কোন অভিযোগ করেননি, অন্যদিকে আমাদের সিনিয়ররা চাচ্ছেন এ ঘটনা আর লম্বা না হোক। এ কারণে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় অন্য এক জায়গায় সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। বিষয়টি পজিটিভ ভাবে নেয়ার জন্য তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।


অপর দিকে বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আমার ছোট ভাই, তিনি ভুল বুঝতে পেরে শনিবার আমার বাসায় আসেন। এ সময় তার সাথে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকও ছিলেন। সংসদ সদস্য বলেন কেউ ভুল বুঝে বাসায় এসে ক্ষমা চাইলে আর কিছু করার থাকে না।

তিনি আরো বলেন, আমি তো এমপি, আমার ওপরে এই উপজেলায় আর কোন পদ পদবী না, তাই ওদেরকে ক্ষমা করে বুকে জড়িয়ে নিয়েছি। এ সময় বাসায় যা ছিল তাই দিয়ে আপ্যায়ন করেছি।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের দোতলায় এমপির সমর্থক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেল চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু উভয় পক্ষকে থামানোর জন্য এগিয়ে গেলে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু পিস্তল বের করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সংসদ সদস্যকে সরিয়ে নিয়ে যান। সেসময় উপজেলা চেয়ারম্যান অভিযোগ তোলেন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্য পিস্তল তাক করে গুলি ছোড়ার চেষ্টা করেছেন। এই অভিযোগে শাজাহানপুর উপজেলায় কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সংসদ সদস্য রেজাউল  করিম  বাবলুকে অবাঞ্চিত  ঘোষণা করা হয় এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

   

হাতীবান্ধায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জামাত নেতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ৪ জন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বৈধতা পাওয়া জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা।

বুধবার (১৭এপ্রিল) বিকালে জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন গত সোমবার ১৫এপ্রিল স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। বুধবার মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে পাটিকাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত এর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিসার এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ৩ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাসেদ খান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মুজিবুল আলম সাদাত এর মনোনয়ন অবৈধ হওয়ায় এবং জামাত নেতা হাবিবুর রহমান সাতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এখন ৩ পদে মোট ১৪ প্রার্থী থাকলেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও শাহানা ফেরদৌসী সিমা।

;

ক্ষমতা দখলের পর আ.লীগ ইতিহাসও দখল করেছে: আমীর খসরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ এখন ইতিহাসকেও দখল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা তাদের মনগড়া ইতিহাসকে বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। বিচার বিভাগকে হাত করে তাদের মনগড়া ইতিহাস ব্যাখ্যা করছে। রাজনীতিবিদরা ইতিহাসবিদ হলে তা আর ইতিহাস হয় না, হয় প্রপাগান্ডা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আমীর খসরু।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বাদ দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরির প্রকল্প থেকে সরে আসেনি। ভোট চুরি প্রকল্প তাদের ক্ষমতার উৎস। নৌকা নিয়ে জনগণের সামনে যাওয়ার সাহস সরকারের আর নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। ভোট বলে আর কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিকে ভাঙার সবরকম চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু বিএনপির ঐক্য অটুট আছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা, জেল সব কিছু করে অপদস্থ করা হয়েছে, তবুও ঐক্য ভাঙতে পারেনি।

;

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন

সমঝোতা বৈঠকে সাদা কাগজে ৯ প্রার্থীর সই নিলেন এমপি: সমালোচনার ঝড়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমঝোতা বৈঠক ডেকে তিন কোটি টাকার বিনিময় করিয়ে ৯ প্রার্থী থেকে একক প্রার্থী করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে রামগঞ্জ স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার কবলে পড়েছেন তিনি।

রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫ জন চেয়ারম্যান ও ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে এমন একটি সমঝোতা বৈঠকে মধ্যস্থতা করে ব্যাপক সমালোচনার কবলে পড়েছেন ওই সংসদ সদস্য। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সাদা কাগজে প্রার্থীদের সই নিয়ে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে খোদ সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বড় ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতার হোসেন খান নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে একাধিক প্রার্থী ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।

এর আগে রামগঞ্জ শহরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে টানা ৭ ঘণ্টা এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

যদিও এমপি-মন্ত্রীরা যেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, প্রভাব বিস্তার না করেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধিকবার নির্দেশ ও বিবৃতি দিয়েছেন।

সমঝোতা বৈঠকে অংশ নেওয়া ১০ জন নেতা বার্তা২৪.কমের কাছে অভিযোগ করেছেন, একক প্রার্থীর করার স্বার্থে সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান সেখানে উপস্থিত ৯ প্রার্থীর কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেন। এসময় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদসহ ৬ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর সেখানে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বক্তব্য শোনা হয়।

তখন নির্বাচনে ৩ কোটি টাকা খরচ করবেন বলে জানালে দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন খান রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রামগঞ্জ শহরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে দলের সিনিয়র নেতা ও উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের বৈঠক ডাকেন। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। রাত ৮ টার দিকে এমপি সেখানে আসেন।

একক প্রার্থীর করার স্বার্থে সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান সেখানে উপস্থিত ৯ প্রার্থীর কাছ থেকে আগে সাদা কাগজে সই নেন। একপর্যায়ে যারা প্রার্থী নন এমন ৬ জন নেতাকে তিনি প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব দেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সাত্তার, বেলাল আহমেদ, এম এ মমিন পাটওয়ারী, সফি উল্যা, শামছুদ্দিন, সফিক মিয়া।

পরে সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা একে একে প্রার্থীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেন। কে কত টাকা ব্যয় করতে পারবেন, তা নিয়ে চলে খোলামেলা আলোচনা। সে সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু উপজেলা নির্বাচনে ৩ কোটি টাকা ব্যয় করবেন জানালে তাকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

সেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী আ ক ম রুহুল আমিন, শহিদ উল্যা, নুরুল ইসলাম, তাহসান আহমেদ রাসেলও উপস্থিত ছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাকিবুল হাসান মাসুদ, মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূঁইয়া, সুরাইয়া আক্তার শিউলীও সভায় ছিলেন। রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত টানা এ সভা চলে।

প্রসঙ্গত, ওই সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আরাফাতকে ডাকা হয়নি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বার্তা২৪.কমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সংসদ সদস্য সাদা কাগজে আমাদের ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সই নিয়েছেন। এটি দলীয় নির্বাচনি নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নির্বাচন করলে কত টাকা খরচ করতে পারবো তারা জানতে চাইলে আমি দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি।

সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বড় ভাই মো. আখতার হোসেন খান বলেন, আনোয়ার হোসেন নির্বাচনের প্রার্থিতা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। আমিও তাকে সতর্ক করে দিয়েছি। কিন্তু তার লোকজনের হুমকির মুখে আমি এলাকায় যেতে পারছি না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান মাসুদ বলেন, বৈঠকে ৩ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সই নেওয়া হয়েছে। সেখানে নির্বাচন থেকে বিরত থাকার জন্য বুঝিয়ে আমাকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বলেছেন। আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। পরীক্ষিত সাবেক ৩ ছাত্র নেতার প্রার্থী থাকার পরও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান পদ, পদবিহীন টাকাওয়ালা একজনকে কথিত সমর্থন দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ৩ নেতা জানান, নির্বাচন করার জন্য দল সবার জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছে। সংসদ সদস্য নির্বাচনে নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তিনি টাকার বিনিময়ে একক প্রার্থী ঘোষণা করছেন। এতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে।

সংসদ সদস্যের বক্তব্য জানতে আনোয়ার হোসেন খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে সংসদ সদস্যের স্থানীয় সমন্বয়কারী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, নির্বাচনে কার কী অবস্থান, কার কী আর্থিক অবস্থা, প্রার্থীদের সক্ষমতাকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক অলোচনা হয়েছে। এটি দলের আনুষ্ঠানিক কোনো সভা ছিল না। নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে। কাউকে চাপিয়ে দেওয়া বা বাধ্য করা হয়নি।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এমপি বলেন, চেয়ারম্যান পদের দাম ৩ কোটি টাকা উঠেছে, রামগঞ্জের কয়েকজন আমাকে এ কথা জানিয়েছেন। এবার একক প্রার্থী ঘোষণা, সমর্থক দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আনোয়ার খান দলের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিষয়টি জানাবো আমি।

রামগঞ্জে দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;

সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে এটা জনগণের সামনে স্পষ্ট। কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম আর টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে সিলেট অঞ্চলে গড়ে উঠা গণ আন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে ইলিয়াস আলী রাষ্ট্রযন্ত্র ও দেশি-বিদেশি অপশক্তির গাত্রদাহের প্রধান কারণ ছিল।

তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় আজও প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী, সন্তান, পরিবারসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক ব্রিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইলিয়াস আলীর গুমের আজ ১২ বছর পূর্ণ হলো। শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানী বনানীর ২ নম্বর সড়কের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গাড়িচালক আনসার আলীসহ তুলে নিয়ে যায় ইলিয়াস আলীকে। এরপর গাড়িটি পাওয়া গেলেও হদিস মেলেনি তাদের।

তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ইলিয়াস আলীর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় ঈর্ষান্বিত সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তাকে গুম করে রেখেছে। ইলিয়াস আলীকে গুম করার পর সরকার বহুবিধ নাটক সাজিয়েছে। ওই সময় তার বিরুদ্ধে অশোভন কথা লিখে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছিল সরকারের এজেন্টরা। গুমের ঘটনার পর তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন এবং ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার আশ্বাস ছিল লোক দেখানো। কারণ ওই সময় বিএনপির পাঁচ দিন হরতাল ছিল। আর বিএনপির সে হরতাল ও আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্যই ছিল ওই মিথ্যা আশ্বাস। গুম হওয়ার পরে থানায় জিডি করা হয়, কোর্টে মামলা করা হয়। এরপরও তাকে ফিরিয়ে দেননি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালানোর হাস্যকর নাটক করতে দেখা যায়। উচ্চ আদালতে করা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার রিট আবেদনের শুনানিও আটকে দেয় সরকার। অর্থাৎ অদৃশ্য হওয়া নাগরিককে ফেরত দেয়ার উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বাধাগ্রস্ত করে সরকার। সুতরাং ইলিয়াস আলীসহ সকল গুম রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। বেআইনি গুম—খুনের উৎসব পালন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল। তিনি আজ আদালতে জামিন আবেদন করলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তার মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

;