নির্বাচন পর্যন্ত আ. লীগ রাজপথ দখলে রাখবে: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসছে সেপ্টেম্বর মাস থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথ দখলে রাখবে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আজকে বিকেলে নয়াপল্টনে মিটিং করে বলেছেন, রাজপথ দখল করতে হবে। আমরা বলছি, এটি শোকের মাস। সেজন্য আমরা নানা কর্মসূচি পালন করছি। সেপ্টেম্বরে আমরা মাঠে নামবো। রাজপথ আমাদের দখলে থাকবে।

তিনি বলেন, কোনও দুস্কৃতিকারীরাকে আমরা রাজপথ ইজারা দেইনি। বিএনপির ব্যানারে তারা আবার রাজপথ দখল করে মানুষের ওপরে পেট্রোল বোমা মারবে, সেটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতে দেবে না। আমরা রাজপথ দখলে রাখব আগামী মাস থেকে। দুষ্কৃতিকারীরা যেন মানুষের ওপর হামলা করতে না পারে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথ দখলে রাখবো।

জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে মাঠ গরম করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যখন পৃথিবীতে স্থিতিশীলভাবে দাম কমবে, তখন বাংলাদেশেও কমবে। তেলের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কারও মাঠ গরম করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, তেলের দাম ভারতে অনেক আগে বেড়েছে। ভারতের অর্থনীতি আমাদের চেয়ে অনেক বড়। এরপরও তারা বেশ আগে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। আমাদের সরকার তা করেনি। গত তিন মাসে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা বিপিসি লোকসান করেছে। অব্যাহতভাবে তো চলতে পারে না। সে কারণে বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে। আমরা দাম বৃদ্ধি করে ভারতের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। রিজার্ভ তো কমবে-বাড়বে। সব সময় কি বাড়বে? কোনো দেশে যদি তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। আমাদের কিন্তু প্রায় ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে। রিজার্ভের ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে আমাদের অবস্থান ৪৫, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে আমাদের অবস্থান। অথচ আমাদের বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ বা সব বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা তারা কী বলেন! মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তারা নানা কথা বলেন।

দেশে এখন তিন ধরনের ‘বিশেষজ্ঞ’ আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা অনেক কথা বলেন। বাংলাদেশে তিন ধরনের বুদ্ধিজীবী আছেন। এক সত্যিকারের বুদ্ধিজীবী, বিশেষ কারণে বুদ্ধিজীবী আর সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বুদ্ধিজীবী। পড়েছেন আইন, উনি আবার পরিবেশ বিশেষজ্ঞ! পড়েছেন রাজনীতি বিজ্ঞান, উনি আবার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ! পড়ান পদার্থ, উনি আবার তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞ! সব বিষয়ে বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে আছে। রাত ১২টার পর যখন টেলিভিশনের পর্দার সামনে বসবেন, তখন দেখবেন।’

তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রাইভেট টেলিভিশন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এসেছে। এখন প্রায় ৪০টার কাছাকাছি বেসরকারি টেলিভিশন। এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। গত ১৩ বছরে ৩০টি টেলিভিশন সম্প্রচারে এসেছে। এই টেলিভিশনের পর্দায় যদি রাত ১২টার পরে বসেন এবং কিছু কিছু মানুষের বক্তব্য যদি শোনেন, মনে হবে বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে ১৩ ফুট নেমে গেছে। তাদের বক্তব্যে মনে হয়। আসলেই কি তাই?’

আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে যখন করোনা মহামারি দেখা দিল, তখন গবেষণার নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু কিছু রিপোর্ট সামনে আনা হলো। কোন গবেষণালব্ধ রিপোর্ট না। বিশেষ কারণে বিশেষজ্ঞরা বলল, এই করোনায় দুই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হবে। কয়দিন আগে আইএমএফ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এক শতাংশ দরিদ্র কমেছে এবং অতিদরিদ্র মানুষের হার বাংলাদেশে ১১ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে এটা ১০ শতাংশ। অর্থাৎ এই করোনা মহামারির মধ্যেও যেখানে তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা ফতোয়া দিয়েছেন, বিভ্রান্ত করার জন্য বক্তব্য দিয়েছেন যে দারিদ্রতা বাড়বে, সেখানে কিন্তু দারিদ্রতা কমছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছি। এখন তিন হাজার ডলারের কাছাকাছি আমাদের মাথাপিছু আয়। এটাও আইএমএফের রিপোর্ট। অনেকেই বলেছিল, করোনার পর এই দেশে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। সবার ওপরে আমরা।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;