নিজে গোছাচ্ছেন দল আর নেতাদের দিয়ে জোট



মহিউদ্দিন আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ যখন নানান ছক আঁকছে এবং বিভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে, সেখানে বিএনপির পরিকল্পনা এখনো অজানা। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে তারা অংশ নিতে আগ্রহী নয়। বিষয়টিকে তারা প্রধান দফা হিসেবে রাজনীতির মাঠে ইতিমধ্যেই জানান দিয়েছে।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনগুলো থেকে লব্দ অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বিএনপি এবার দুটো বিষয়ে বেশ জোর দিয়েছে। একটি হলো সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সরকার বিরোধী জোট গঠন করা এবং আরেকটি হলো নিজ দলকে যতটা সম্ভব গুছিয়ে নেওয়া। তবুও নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছে বিএনপি এমন প্রশ্নে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘অনেকের মনে হতে পারে শেষ মুহূর্তে হয়ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে কিন্তু সত্যি হলো নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং আওয়ামী লীগ যদি আগের দুইবারের মত সে চেষ্টা করে তাহলে সেটা জনগনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।’

কোন কারণে যদি সরকার অনড় অবস্থানে থেকে নির্বাচন করে ফেলতেও চায় সেক্ষেত্রে বিএনপির ইচ্ছে বৃহত্তর জোট গঠন করে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে দলটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলকে জোটভুক্ত করার প্রয়াসে একের পর এক দলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। জোট গঠনের ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রবীণ ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উপরই আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি একের পর এক সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে এবং আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে তারা গণমাধ্যমকে ব্রিফও করছে। সেই সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী বিষয়াদি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও সবিস্তারে জানানো হচ্ছে বলেও এক সূত্রে জানা গেছে।

কি লক্ষ্যে এবারের জোট গঠন নিয়ে বিএনপি অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে এমন প্রশ্নে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ আমরা আসলে জোট গঠনের জন্য আলোচনা করছিনা, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াসে এই আলোচনা। আমাদের দুটো জোট পূর্বেই ছিল যেগুলো আমরা এখনো ভাঙিনি। একটি হল ২০ দলীয় জোট এবং আরেকটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু আমরা এখন ওই দুটি জোটের বাইরের দলগুলোর সাথেও আলোচনা করছি। আগামী নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় সরকার কিভাবে গঠন করা যায় এবং বর্তমান সরকারকে সেটা করতে বাধ্য করা যায় সেটাই হবে জোটের প্রধান লক্ষ্য।’

জোট বিষয়ে দলের প্রবীণ নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থা রাখলেও নিজের দল বিএনপি পুনর্গঠনে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন তারেক রহমান। মূল দল থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনগুলোকে চাঙ্গা করার জন্য একের পর এক কমিটি দিচ্ছেন, কোথাও রদবদল করছেন আবারও কোথাও প্রয়োজন মত সংযোজন বিয়োজন করছেন। কিছুদিন আগেই বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে নতুন মুখ আনয়নসহ কিছু রদবদর করেছেন এবং দফতরে লোকবল বাড়িয়েছেন। মিডিয়া সেল নামে নতুন একটি উইং গঠন করেছেন। নবগঠিত এই উইং এর কাজ সম্পর্কে মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে গণমাধ্যমের ব্যাপ্তি, ক্ষমতা ও প্রভাব অনেকে বেড়ে গিয়েছে। দেশের বৃহত্তর দল হিসেবে দেশের হারানো গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই এখন বিএনপির মূল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিএনপির সামগ্রিক রাজনৈতিক, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে এক নতুন ধারায় প্রবাহিত করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারই একটি অংশ বিএনপির মিডিয়া সেল গঠন। মিডিয়া সেল দেশের প্রচলিত গণমাধ্যম এবং বিকল্প গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতার লক্ষ্য বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে দলের সামনে অবিলম্বে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব করবে। আর এটিই এখন বিএনপি মিডিয়া সেলের লক্ষ্য।’

বিএনপির শক্তিশালী অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। নিয়মিত স্কাইপে বৈঠক করছেন । মহানগর, জেলা, থানা থেকে শুরু ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনে ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রদল কমিটি গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কিভাবে ভূমিকা রাখছেন এমন প্রশ্নে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ জানান, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দ্রুত সময়ে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। কমিটি দেওয়া সব সংগঠনেরই একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে উনি এবার যেটাতে জোর দিয়েছেন সেটা হলো কার্যকরি কমিটি গঠন করা। যে কমিটিগুলো সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখবে। আরেকটি বিষয় আমরা উনার কাছে উপস্থাপন করেছি এবং তাতে উনি সায় দিয়েছেন। সেটা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটিগুলো যেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এবং তাতে যেন অভিজ্ঞরা স্থান পায়।’

জোট গঠনের প্রক্রিয়া এবং দল পুনর্গঠনে তারেক রহমান কিভাবে সমন্বয় করছেন বা ভূমিকা রাখছেন সে বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তিনি প্রতিনিয়ত টেলিফোন ও স্কাইপের মাধ্যমে সবার সঙ্গে কথা বলছেন। এছাড়া জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় টিমের সসদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। জোটের বিষয়ে যারা তত্বাবধান করছেন সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এছাড়া নিয়মিতভাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর সঙ্গে স্কাইপে মিটিং করে যাচ্ছেন।’

   

সরকার এবার প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার এবার প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ চলচাতুরীর মাধ‌্যমে নি‌জে‌দের নিয়ন্ত্রণে আ‌রো এক‌টি নির্বাচন কর‌তে ম‌রিয়া হ‌য়ে উ‌ঠে‌ছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না। এবার প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে বিএনপির এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বিদায় করার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। সেই আন্দোলনে বাংলাদেশের জনগণ জয়ী হবে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকার টিকতে পারবে না। দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। তাই সরকার যদি আবারো একটি অবৈধ ভোট চুরির নির্বাচন করেন দেশের মানুষ সেটা করতে দেবে না। ভোট চোরদের এরমধ্যেই চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশের মানুষ। তাই সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে গিয়েছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে কাজির দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোড় মার্চ কর্মসূচী সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা জাসাসের মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আগামী ৫ অক্টোবর বিএনপির চট্টগ্রামের রোড মার্চ কর্মসূচী সফল করতে জাসাস নেতৃবৃন্দকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম সংকটে পতিত হয়েছে। এ সংকট থেকে উদ্ধার করতে হলে অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকারকে পতন করতে হবে। স্বৈরাচার এরশাদ ও আইয়ুব খানের পতন হয়েছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে। এ সরকারেরও পতন হবে বিএনপির রোড মার্চের মধ্যদিয়ে। আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড মার্চ থেকে যে জন জোয়ার উঠবে, সে জোয়ারে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন তরান্নিত হবে। 

জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহানগর জাসাসের সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ গ্রাম উন্নয়ন সম্পাদক বেলাল আহমেদ।

 

 

 

;

রোডমার্চে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
রোডমার্চের নামে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী  হৈ-হুল্লোড় করে চলে গেছে

রোডমার্চের নামে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী হৈ-হুল্লোড় করে চলে গেছে

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া বিএনপির ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোডমার্চে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরে সোমনাথ সাহার উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে শোভাযাত্রা ও গণমিছিল হয়। ওই কর্মসূচির সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সোমনাথ সাহা বলেন, জামাত-বিএনপি এখনো বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা এখনো আমাদের বাংলাদেশকে আবারো আগুন সন্ত্রাসের একটি দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন অগ্নিসন্ত্রাস ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেছে।

তিনি বলেন, রোববার (১ অক্টোবর) তারা ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রোডমার্চ করে গেছে। রোডমার্চে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী  হৈ-হুল্লোড় করে চলে গেছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে সোমনাথ সাহা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রচার করার আহ্বান জানান। এসময় তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

শোভাযাত্রা ও গণমিছিলের পূর্বে পৌর শহরের ধানমহাল এলাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নূরুল ইসলাম, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী, সহনাটি ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কাদের রুবেল, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার, মইলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, বোকাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, ডৌহাখলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন, ভাংনামারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম আকন্দ, মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নাজিমুল ইসলাম শুভ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসিক প্রমুখ।

;

আমাদেরকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই

যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আজকে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে, ১৯৭৭, ৭৮, ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার নিরপরাধ সেনা সদস্যদের স্বজনদের সংগঠন 'মায়ের কান্না'র আর্তনাদ কি তারা শোনে না? ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্বজনদের কান্না তাদের কানে কেন পৌঁছায় না’ প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

‘মায়ের কান্না’র আহবায়ক কামরুজ্জামান লেলিনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং স্বজনহারা ব্যক্তিবর্গ এ সময় বক্তব্য দেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশ জুড়ে মায়ের কান্না কেঁদে চলছে। আমি প্রশ্ন রাখি যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদের কর্ণকুহরে এই কান্না কেন পৌঁছায় না। আপনাদের কাছে দেখা করার দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিল, আপনারা এখনও পর্যন্ত দেখা করেন নাই। অর্থাৎ মানবাধিকার এখন কিছু কিছু রাষ্ট্রের একটি অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সমস্ত দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি করে কিন্তু তাদেরকে ঠিক মতো ব্যবসা দেয় না, তাদেরকে দমিয়ে রাখার জন্য মানবাধিকার এখন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করা, অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা দেশে-বিদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

আগামী নির্বাচন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সে জন্য নানা ছলছুতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার তারপর বলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের দেশে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।

বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রতি তথ্যমন্ত্রী বলেন, দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না। আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়ে, ঘেরাও করে কেউ হত্যাকান্ডের শিকার হয় নাই। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় মেনে নেন নাই। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই। সুতরাং আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে আসবেন না।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এ দেশের মানুষকে সঙ্গবদ্ধ করে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং যারা মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বলে দেশে দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তারা দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না।

 

;

বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের (কেপিসি) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।

বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটাই প্রমাণ করে তাদের মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই। সবসময় তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী মনোভাব বিদ্যমান। বিএনপি আসলে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন তার চেয়ে এটা নিয়ে রাজনীতি করাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এটাকে একটা রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে তারা ব্যস্ত।

হানিফ বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও বেগম জিয়ার নামে আরও মামলা আছে, কিন্তু বিএনপি আদালতে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার মানে দুর্নীতির ঘটনা সঠিক।

এসময় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি)'র নবনির্বাচিত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সহ-সভাপতি মিলন উল্লাহ, শেখ হাসান বেলাল, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফরোজা আক্তার ডিউ, নির্বাহী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলীসহ নির্বাচিত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাববক ও সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদেন তিনি।

;