সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমুখী বাজেট

  বাজেট অর্থবছর ২০২১-২২


আরমান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

‘জীবন ও জীবিকার প্রাধ্যান্য, আগামীর বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশের ইতিহাসে ৫০ তম বাজেট উত্তাপিত হয়েছে বৃহস্পতিবার (৩জুন) বিকেল ৩টায়। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের এটি ২১ তম বাজেট।

এবারের বাজেটের আকার ৬ লাখ ২ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বেশি। এবার বাজেটের রাজস্ব আহরণের বড় অংশ বৈদেশিক অনুদান নির্ভর। এবার সর্বোচ্চ ৯০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান থেকে সংস্থান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

বাজেট পেশের পর ব্যবসীয় সংগঠন, অর্থনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি নানা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছে।

বাজেট ঘোষণা পর ক্ষমতাসীন দলের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ৫০তম বাজেটকে জনকল্যাণ ও সময়োপযোগী বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দিয়ে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বাজেট সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমুখী। এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে যে অগ্রসর হচ্ছি তা সহায়ক হবে। মহামারি করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যখন মন্দা, সে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়উপযুগী এ বাজেট দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে যে ওয়াদা করেছিলেন, এই বাজেট সেই ওয়াদা বাস্তবায়নের অংশ। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ৪১’ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সহায়তা করবে প্রস্তাবিত এই বাজেট। দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাসের উপযোগী একটি আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাজেট জাতির কাছে উপস্থাপন করেছেন। এই বাজেটে দেশের ধনী, গরিব মধ্যবিত্ত সবাই উপকৃত হবে।

নতুন বাজেট দেশের সকল মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাসহ বাস্তব ভিক্তিক সংকটকালীন সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে অর্থনীতি জাগানোর চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাজেট উপস্থাপন শেষে জাতীয় সংসদ থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশের সকল মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাসহ এটি একটি বাস্তব ভিক্তিক সংকটকালীন সময়োপযোগী বাজেট।”

বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় আনন্দ মিছিল করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আনন্দ মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ৩০ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বধীন সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন। তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের অঅর্থমন্ত্রী তাজদ্দীন আহমদ উপস্থাপিত সেই বাজেট ছিল৭৮৬ কোটি টাকার। ১৯৭২সালের ৩০ জুন ববঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার স্বাদীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ উপাস্থাপিতসেই বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা।

   

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা খল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

  বাজেট অর্থবছর ২০২১-২২

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

  বাজেট অর্থবছর ২০২১-২২

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

  বাজেট অর্থবছর ২০২১-২২

;

দমন নিপীড়ন আ.লীগের প্রধান হাতিযার: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেছেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। দমন নিপীড়ন তাদের প্রধান হাতিয়ার৷ দমন নিপীড়ন না করলে তারা (আ. লীগ) টিকে থাকতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আমরা বিএনপি পরিবারের আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রায় ৮০ ভাগ সদস্য আওয়ামী লীগের দমন নীতির শিকার হিয়েছেন৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে। সেই শুরু থেকেই এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার গুলোকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা একক করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দমন নিপীড়নের কবলে পড়ে আজ অনেকে বাবাকে ফিরে পেতে চায়। ছোট থাকতে বাবাকে হারিয়েছে। গুম করে রাখা হয়েছে বেঁচে আছে নাকি নেই তাও পরিবারের লোকজন জানে না। কেউ কেউ অনেক বড় হয়েছে তবুও হাসি মুখে কথা বলতে পারে না। এই হচ্ছে আমাদের নির্যাতিত, নিপীড়িত, খুন হওয়া, গুম হওয়া অসহায় পরিবার গুলোর বর্তমান অবস্থা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শুধু এই পরিবার গুলোর নয়। সারা বাংলাদেশের একি অবস্থা শুরু হয়েছে। আমাদের দলের শুধু নয়। সারা বাংলাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষ সব সময় একটা ভয়ে থাকে। ত্রাসে থাকে। কখন কাকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়। কোন নিশ্চয়তা নেই।

এসময় মির্জা ফখরুল বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কখনো মনে করবা না যে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। যুবকদের বলতে চাই কোনো ভিরুতা কোনো হতাশা যেন তাদের গ্রাস না করে। পাখা বন্ধ করা যাবেনা। পাখা উড়াতে হবে। চলতে হবে তীরে পৌঁছাতে হবে। শুভ দিন আমাদের আসবেই। বিচার হবেই। কারণ অন্যায় কোনো দিন টিকে থাকতে পারেনা। সত্যের জয় হবে।

বক্তব্য শেষে, বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  বাজেট অর্থবছর ২০২১-২২

;