১০ হাজার শিক্ষককে বিনামূল্যে অনলাইন ক্লাসের প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১০ হাজার শিক্ষককে বিনামূল্যে অনলাইন ক্লাসের প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট

১০ হাজার শিক্ষককে বিনামূল্যে অনলাইন ক্লাসের প্রশিক্ষণ দেবে কোডার্সট্রাস্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের অন্তত ১০ হাজার শিক্ষককে বিনামূল্যে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পদ্ধতিগত ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে কোডার্স ট্রাস্ট। প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান বিতরণে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি তাদের ঢাকাস্থ সদর দফতর ও অন্যান্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সম্পূর্ণ অনলাইনে। প্রশিক্ষণার্থী ১০ হাজার শিক্ষক এরই মধ্যে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। 

এরই উদ্বোধনী হয়ে গেলো শনিবার (২০ জুন)। এক ওয়েবিনারের মাধ্যমে আয়োজিত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব আবদুল করিম, সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যোগ দেন কোডার্সট্রাস্টের কো-ফাউন্ডার ও ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিষ্ঠাতা আজিজ আহমদ। এছাড়াও ছিলেন, কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ’র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবদুল হালিম, শিক্ষাডটকম এর সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান এবং কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউল গনি ওসমানি।

শিক্ষাডটকম এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। উদ্বোধনীর পরপরই শুরু হয় দিনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সঙ্কটে আমাদের সকল ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আপদকালীন অবস্থায় আমরা কি করে শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে সরকার সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সকল সঙ্কট শুধুমাত্র সঙ্কট নয়, তার মধ্য দিয়েই কিছু সম্ভাবনার দিকও উন্মোচিত হয়, এমন মত দিয়ে শিক্ষমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আর তেমনই একটি উদ্যোগ এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এ জন্য আমি কোডার্সট্রাস্ট ও শিক্ষাডটকমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের একসময় যেতেই হবে সে ভাবনা আমাদের ছিলো এবং সে লক্ষ্যে প্রস্তুতিও চলছিলো। বিশ্ব যতই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই আমাদের এসব বিশেষ দক্ষতা অর্জন জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে হঠাৎ করে করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যা আমরা করতে চেয়েছিলাম তা এখনি শুরু করতে হচ্ছে।

শিক্ষকরা যারা নিজেরা এমন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বোধ করে তা গ্রহণে আগ্রহ দেখিয়েছেন এজন্য তাদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকরা অনলাইনে আরও ভালো করে পাঠদান করতে পারবে।

স্বাগত বক্তব্যে মানব সম্পদ বা মানব পূঁজি গঠনে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করে তোলার কথা বলেন আজিজ আহমদ। তিনি বলেন, আমার বাবাও ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। শিক্ষার উন্নয়নে যেখানে যতটুকু সুযোগ পাই করার চেষ্টা করে আসছি। কোভিড-১৯ এর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা থেমে থাকতে পারিনা, এর মধ্যেই কিভাবে শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাই আমাদের এই কর্মসূচির লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়া চলছে, তারই অংশ হিসাবে আমরা দেশে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আসতে পেরেছি। শিক্ষকরা তাদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার মৌলিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে পাবেন।

মো. ফসিউল্লাহ বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকদের জন্য এই প্রশিক্ষণের উদ্যোগ এ মুহূর্তে আমাদের জন্য খুব দরকারি ও খুবই ভালো উদ্যোগ। বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে আসার জন্য কোডার্সট্রাস্টকে ধন্যবাদ।

প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে চার লাখ শিক্ষক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে তাদের সকলকে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হলে তা অবশ্যই কাজে লাগবে এবং সে দিকেই আমরা যাচ্ছি। এই প্রশিক্ষণ আমাদের সে প্রচেষ্টায় বড় অবদান রাখবে।

আবদুল করিম বলেন, এক সঙ্গে দশ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা একটি কঠিন কাজ। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের অগ্রগতির কারণেই এখন তা সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষকদের আইটিভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি কোডার্সট্রাস্টের এই প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা এ বিষয়ে সে দক্ষতা অর্জন করবেন। এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবদুল করিম।  

নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রযুক্তির নতুন নতুন সুবিধা এত রয়েছে যে শিক্ষকরা চাইলেই তার ব্যবহার করে তাদের অনলাইন ক্লাসকে অনেক বেশি লাইভলি ও কার্যকর করে তুলতে পারবেন। যেগুলো খুব সহজ পদ্ধতি। তবে নিশ্চিতভাবেই ধারণা করছি, অনেক শিক্ষকের এখন সেটা জানা নেই। আমি মনে করছি, কোডার্সট্রাস্ট তার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের সেটা বুঝিয়ে দিতে ও শিখিয়ে দিতে সক্ষম হবে। আর তাতেই সার্বিকভাবে আমাদের অনলাইন শিক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার হবে। শিক্ষকরা যারা এই প্রশিক্ষণ নেবেন, তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে ভবিষ্যতে কোন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কোডার্সট্রাস্টের প্রতি আহবান জানান তিনি।

কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ’র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, করোনা দুর্যোগ কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে। এ কারণেই আমরা অপেক্ষাকৃত দ্রুত শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগে যেতে পারছি।

কোডার্সট্রাস্টের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকরা বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে জ্ঞান ও ধারণা নিতে পারবেন। যার মাধ্যমে তারা নিজেদের ক্লাস পরিচালনা করবেন। আবদুল হালিম বলেন, এই দশ হাজার শিক্ষক যখন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবেন, তখন স্কুল যদি খুলে দেওয়া না যায় আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম থেমে থাকবে না। 

সিদ্দিকুর রহমান প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর সরকার যখন টেলিভিশনের মাধ্যমে, অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দিলো তখন একটি বিষয় স্পষ্ট হলো দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের অধিকাংশ শিক্ষকের এ বিষয়ক প্রযুক্তিগত ধারণা নেই। আর সেটা সমাধানেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোডার্সট্রাস্টকে ধন্যবাদ এমন একটি মহতী উদ্যোগে বিনামূল্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশে এরই মধ্যে তার আইটি প্রশিক্ষণে স্থান করে নিয়েছে। এর নিয়মিত প্রশিক্ষণগুলোর মেয়াদকাল বড় ও ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু এই প্রশিক্ষণের জন্য তারা সংক্ষিপ্ত কোর্সের মডেল তৈরি করে তবেই এগিয়ে এসেছে এবং তা বিনামূল্যে।

আতাউল গনি ওসমানি জানান, এরই মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক এই প্রশিক্ষণের জন্য তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এদের সকলকেই এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।  জুম ও গুগল মিট’র মাধ্যমে যেভাবে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হবে তার কারিগরি দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা জুম ও গুগল মিটের মাধ্যমে নিজের প্রশিক্ষণ নেবেন। এবং পরে এই পদ্ধতিতেই তারা নিজেরাও শিক্ষার্থীদের পড়াবেন। প্রতিদিন তিনটি করে ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হবে। প্রতিটি ব্যাচে ৫০ জন করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাবেন।

উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই তিনটি ব্যাচে ১৫০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেন।

   

এক দিনের ব্যবধানে আরও কমল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন না যেতেই আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্প‌তিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।

ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ দাম এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এর দুই দিন পর ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা ও ২৫ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিল বাজুস। অর্থাৎ তিন দিনে ভ‌রি‌তে স্বর্ণের দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

;

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দু'হাত ভরে তাঁর বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাঁদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা-সহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটি'র মহাপরিচালক মোঃ মুনিম হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ এখন কোন খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।

সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি। বিশেষ অতিথি বলেন, আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একইসঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি, ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবস্থা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়। সেগুলো হলো যথাক্রমে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

;

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি'র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন এবং বেগম জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি ও তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় এনজিওগুলোর যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলোর উদ্দেশ্য ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অবহিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য; চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;