ডলফিনসহ সৈকতের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ভেসে আসছে ডলফিনের মৃতদেহ, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভেসে আসছে ডলফিনের মৃতদেহ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মতো অঘোষিত লকডাউনে অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজার। সমুদ্র সৈকতের চারদিকে এখন শুধুই নীরবতা। এমন নীরবতা বিরাজ করছে দেশের একমাত্র মেরিনড্রাইভ সড়কেও।

এ সুযোগে প্রকৃতি যেমন তার রূপ ফিরে পেয়েছে, তেমনি সমুদ্র তীরে এসেছে ডলফিন, কাছিম ও লাল কাঁকড়াসহ নানান জলজ প্রাণী। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছে স্বপ্নের ডলফিন, একইসঙ্গে ভেসে আসতে থাকে কাছিমের মৃতদেহও। যা ভাবিয়ে তুলে পরিবেশ বিজ্ঞানী ও পরিবেশবাদীদের।

সৈকতে পড়ে আছে মৃত কাছিমের খোল

এ বিষয়ে দেশের মাল্টি মিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কমসহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে টনক নড়েছে সরকারের উচ্চ মহলের। এবার সৈকতের লাল কাঁকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগরলতাসহ জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় যা বাস্তবায়ন করবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)।

আরও পড়ুন: নির্জন সৈকতে কাছিম, কাঁকড়া ও শামুকের রাজত্ব

কউক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সমুদ্র সৈকতের জীবন বৈচিত্র্য রক্ষায় জরুরি সমন্বয় সভা ডেকেছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ। সে সভায় জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সি বিচে ওয়াটার বাইক বন্ধ, লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের জন্য কবিতা চত্বর থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়া দেওয়া, মাদারবনিয়া, উত্তর সোনারপাড়া এবং দরিয়ানগর এলাকায় কচ্ছপ প্রজনন জোন, ইনানী ও শুঁটকি পল্লীতে লাল কাঁকড়া উৎপাদন করে বিচে ছেড়ে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণসহ নানা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

এছাড়া ৭০ হেক্টর জমিতে ৬০ হাজার ঝাউগাছ লাগানোর পরিকল্পনা ও বিজিবি রেস্ট হাউস থেকে কলাতলী বিচ পর্যন্ত সাগরলতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সমুদ্র তীরে একে একে ১২টি মৃতদেহ ভেসে আসে

সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, কক্সবাজার পৌরসভা, পরিবেশ অধিদফতর, টুরিস্ট পুলিশ, বন বিভাগ, পর্যটন করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থার কর্মকর্তারা এ প্রস্তাবনা দেন।

আরও পড়ুন: সাগরে নেই বর্জ্য, স্বচ্ছ জলে ডলফিন শো

সাগরের প্রকৃতি ও জলজ প্রাণী নিয়ে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের লাল কাঁকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগরলতা রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে বিশেষ নির্দেশনা এসেছে। উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা সমন্বয় করে কাজ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিজিবি রেস্ট হাউস থেকে কলাতলী বিচ পর্যন্ত সাগর লতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য দরিয়ানগর ও পেঁচার দ্বীপ এলাকায় বৃহৎ আকারে আলাদা জোনের পরিকল্পনার কাজ শুরু করব শিগগিরই।’

আরও পড়ুন: সৈকতে মৃত ডলফিন, দায় নিচ্ছে না কেউ!

ডলফিন হত্যার তদন্ত চলছে জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বার্তা ২৪.কম-কে বলেন, ‘ডলফিন হত্যায় কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে এ রহস্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়া কয়েকটি এলাকাকে বিশেষ জোন ঘোষণা করে সমুদ্র সৈকতের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

ক’দিন আগেও সমৃুদ্রে ডলিফন ভাসতে দেখা যায়

তবে, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘উদ্যোগের কথা যদি কথাতেই রয়ে যায়, তাহলে বিষয়টি ভিন্নদিকে মোড় নেবে। সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা এসেছে তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন চাই। প্রাণ প্রকৃতির উপর এমন আঘাত মেনে নেওয়া যায় না।’

উল্লেখ্য, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে ২৩ মার্চ (সোমবার) সকাল থেকে এক দল ডলফিন খেলা করতে দেখা যায়। কয়েকদিন ধরে দেখা গেলেও হঠাৎ কক্সবাজার উপকূলে একে একে ভেসে আসে ১২টি ডলফিনের মৃতদেহ। এসব মৃত ডলফিনের শরীরে দায়ের কুপ ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানা গেছে। একই সঙ্গে পাওয়া গেছে ৪ কাছিমের মৃতদেহও। এসব হত্যার দায় নিতে চায় না জেলে থেকে শুরু করে কেউ।

বিদেশিদের কাছে নালিশ করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্বল। বিদেশিদের কাছে রোজ রোজ নালিশ করা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে মির্জা ফখরুল দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না।

তিনি রোববার দুপুরে নওগাঁয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের স্মরণসভায় এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ লোডশেডিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কষ্ট পাচ্ছেন। এসব সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগ সরকার দিন-রাত কাজ করছে।

নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ।

এর আগে জেলা সদরের সরিষাহাটির মোড়ে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

;

সিরাজগঞ্জে গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রসালো তালের শাঁসের কদর বেড়েছে সিরাজগঞ্জে।

সিরাজগঞ্জ জেলা শহরসহ ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের রাস্তার দু’পাশে কচি তালের শাঁসের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী। তাদের কাছ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের তালের শাঁস কিনে খেতে দেখা গেছে। আবার অনেককেই পরিবারের জন্য ফলটির শাঁস কিনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোদের তাপমাত্রা যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এই ফলের। পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে।

এছাড়া, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন 'সি’ ও ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে ফলটিতে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে
রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচিও বাড়ায় তালের শাঁস।

রোববার (৪ জুন) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার, স্টেশন রোড, কাঠেরপুর, বড় পুল, হাসপাতাল মোড়, বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, হাটিকুমরুল গোল-চত্বর, নলকা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছেন ও বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ফলটি।

হাটিকুমরুল গোল-চত্বর এলাকা থেকে তালের শাঁস কেনা ট্রাক ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি নিতে ৩০ টাকায় দুটি তাল কিনলাম। এ গরমে শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাই।

কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট বাজার এলাকার সিএনজি চালক কালাম বলেন, রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। যাত্রী নামিয়ে ৪টা তালের শাস খেলাম। অনেক ভালো লাগছে। বাড়িতে ছোট ভাই-বোনেরা তালের শাঁস খেতে চায়। তাই ৫০ টাকায় ১০টি শাঁস কিনলাম।

উপজেলার নলকা মোড় এলাকায় তালের শাঁস বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করি। প্রতিটি তালে ২-৩ টি করে শাঁস থাকে। প্রতিটি শাঁস ৫ টাকা দরে বিক্রি করি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ শাঁস বিক্রি করা যায়।

তাড়াশ উপজেলার তালগাছ মালিক সোবহান জানান, আগের মতো লোকজন পাকা তাল খেতে চায় না। তাই আমি কাঁচা অবস্থাতেই প্রায় ২০টি গাছের তাল ২৮ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদুল ইসলাম জানান, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টির চাহিদা মিটচ্ছে তালের শাঁস। এই শাঁসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পানি রয়েছে। সেই সঙ্গে আঁশ তো রয়েছেই।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, এখন বজ্রপাত রোধে বিভিন্ন রাস্তার ধারে ও খালের পাড়ে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে। কৃষি অফিস ও বিভিন্ন সংগঠনের আলাদাভাবে তালের গাছ রোপণ করে আসছে। এ বছর তালের ফলনটাও ভালো হয়েছে।

এছাড়া এবার নতুন নতুন গাছে তাল ধরছে। এসব গাছের তাল পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে বীজ করা যায়। পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও।

;

৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে পরিবেশ মেলা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব পরিবেশ দিবস আগামীকাল সোমবার (৫ জুন)। দিনটি উপলক্ষ্যে সরকারের তরফ থেকে নানান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রোববার (০৪ জুন) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৩ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ মেলা ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত চলবে। আর বৃক্ষ মেলা চলবে ৫ থেকে ২৬ শে জুন এবং ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। জাতীয় বৃক্ষ মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও বনজ সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব কাজে জনগণের উপস্থিতি বাড়াতে এ মন্ত্রণালয় সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য এবং স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করার সদয় সম্মতি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের আগামীকালের কর্মসূচি শুভ উদ্বোধন করবেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার বেলা ১১টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২২, বৃক্ষ রোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২১ এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করা হবে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য গণমাধ্যম বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। সকল জেলা এবং উপজেলা ও ঢাকা মহানগরীর ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হবে। এ দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতা, পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জন্য সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

;

নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ ৪ দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের বাজেট আলোচনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিড়ির শুল্ক কমানো, বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ চার দফা দাবিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।

রোববার (৪ জুন) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো, ২০২৩-২৪ অর্থরছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি পূর্ণঃনির্ধারণ, সিগারেট ও বিড়ির অগ্রীম আয়করের বৈষম্য দূর করা এবং বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা। এ সময় শ্রমিক নেতারা প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মো: হারিক হোসেন। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। এসময় বক্তব্য রাখেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো: শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের অবদান অপরিসীম। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৭ শতাংশই নিম্নস্তরের। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরামূল্য ৪০ টাকা থেকে মাত্র ৫ টাকা বাড়িয়ে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র পঞ্চাশ পয়সা (১২.৫০ শতাংশ), যা খুবই সামান্য। এই স্তরের সম্পূরক শুল্ক প্রায় অপরিবর্তিত রেখে কেবল মূল্য বাড়ানোর কারণে বর্ধিতমূল্যের প্রায় সব অংশ সিগারেট কোম্পানির পকেটে চলে যাবে। তাই এ বছরের বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক আরো বৃদ্ধি না করা হয় তাহলে বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এদেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কার্যক্রম আরো তরান্বিত হবে। সুতরাং বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করতে হবে।

বক্তরা আরো বলেন, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি দেশীয় টোব্যাকো কোম্পানির মার্কেট শোষণ করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ডলারে পরিনত করে বিদেশে পাচার করছে। দেশের ১৬২ জন মাননীয় সংসদ সদস্য বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সুপারিশ করেন। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা মাননীয় সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে উপেক্ষা করে প্রস্তাবিত বাজেটে এই স্তরের সিগারেটের মূল্য সামান্য পরিমান বৃদ্ধি করেছে। নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা হলে প্রতি বছর আরো প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতো। যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ঋণ পরিশোধে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করতো।

এ সময় বাংলাদেশের বিড়ি শ্রমিকেরা অতীতেও প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষতেও থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন শ্রমিক নেতারা।

;