চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে ৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আনোয়ারায় ঝিওরী চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় সিএনজি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- পটিয়া উপজেলার সুভাশ কান্তি (৪৫) ও নিহত অপর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার কচুয়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র কাউছার আলম (৩৫), পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও এলাকার জাফর আহমদের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৫) ও মেয়ে রিনা আক্তার (২৪), আহত একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যানকে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ গুরুতর আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে আরও এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।

এদিকে অপর এক দুর্ঘটনায় মিরসরাই মাজেদা হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আবুল হোসেন (৫৮) নিহত হয়েছেন। মিরসরাইয়ের ছোট কমলদহ বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি স্থানীয় ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মাইজগাঁও এলাকার রফিউজ্জামানের ছেলে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

   

ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ও নওদা শালুয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে লোহার রড বের হয়ে গেছে। বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে ৪০টি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক যুগ আগে নির্মিত সেতুটি গত পাঁচ বছর ধরে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় সম্প্রতি সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভ্যানসহ হালকা যানবাহন এখনো চলাচল করছে। বর্তমানে ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের মাচাল বিছিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। তবে খুঁটির নড়বড়ে অবস্থা। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে নলকা-শালুয়া সেতু সংস্কার বা পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কাজ হচ্ছে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী মিলে সামান্য চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে মানুষের মৃত্যুসহ বড় ধরনের বিপদে পড়তে পারে।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুর যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সেতু পরিদর্শন শেষে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত জনগণের ভোগান্তি নিরসন করা হবে।

;

'খেলনার প্যাকেটে' আমেরিকা থেকে এসেছে গাঁজার চকলেট, কেক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে একটি পার্সেল আসে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্সেলটি জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো. কার্যালয় (উত্তর)।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে বিশেষ পদ্ধতিতে প্যাকেজিং করা পার্সেলটি খুলে দেখা যায়, বাঁচাদের খেলনার প্যাকেটে আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত গাঁজার কুশ, চকলেট ও কেক। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।

জব্দ হওয়ার পার্সেলের গায়ে থাকা একটি নম্বরের সূত্র ধরে এই চালানের সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো.রাসেল মিয়া (২০), রমজান মিয়া (২১) ও মো. ইমরান ওরফে রাজ (২০)।

তিনি জানান, পার্সেলের ভিতরে ছিলো ৬ টি প্যাকেটে। যার মধ্যে ছিলো টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, যা আমেরিকার তৈরি। যার ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। এছাড়াও আমেরিকার তৈরি গাঁজার চকলেট টি ও ১০টি গাঁজার কেক।

মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) পল্টনের পুরাতন ডাক ভবনের বৈদেশিক ডাকের সিইডি/ডিসিএল শাখা হতে ইউএসএ'র ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে আগত একটি পার্সেল জব্দ করা হয়। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, ক্যানাবিস চকলেট ও ক্যানাবিস কেক জব্দ করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএনসি জানতে পারে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বিপুল পরিমাণের মাদকের একটি পার্সেল ডাকযোগে বাংলাদেশে আসবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সহযোগিতার পার্সেলটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণপূর্বক পুরাতন ডাক ভবন বৈদেশিক ডাক এর সিইডি/ডিসিএল শাখা থেকে পার্সেলটি জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, পার্সেলের গায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পার্সেলটি ডেলিভারি নেওয়ার কথা ছিলো তার। সে আরও জানায়, গ্রেফতার রমজান মিয়া তাকে পার্সেলটি টাকার বিনিময়ে রিসিভ করার কথা বলে। পরে রাসালের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রমজান মিয়াকে আশুলিয়ার আমতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রমজান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাকে টাকার বিনিময়ে পার্সেলটি রিসিভ করতে বলেন মো. ইমরান ওরফে রাজ। পরে রমজান মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করে আশুলিয়ার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রমজান ও রাজ একে অপরের বন্ধু।


তিনি আরও বলেন, যে প্যাকেটে করে মাদকগুলো আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছিল সেগুলো ছিল বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেট। যাতে করে কেউ বুঝতে না পারে এসব প্যাকেটে মাদক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বিদেশ থেকে গাঁজার কেক, কুশ ও চকলেট এনে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো। বিদেশ থেকে যারা এই মাদকটি বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়াতে গাঁজা সেবন বৈধ কিনা আর সেই জন্য কি বাংলাদেশে আসতে সমস্যা হয়নি এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাদকের ডিজি বলেন, ক্যালিফোর্নিয়াতে এ মাদক বৈধ কিংবা অবৈধ সেটা বিষয় না। বাংলাদেশে এই মাদক অবৈধ, তাই বাংলাদেশে এই মাদক পাঠানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে এটা অবৈধ জেনেই তারা বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেটে মাদক পাঠিয়েছে। এই পার্সেলটি যে কোন আমেরিকান নাগরিক পাঠিয়েছেন বিষয়টি এমন নয়। ঐখানে বসবাসরত অন্য কোন দেশে নাগরিকও পাঠাতে পারেন।

আমেরিকা থেকে এই মাদক বাংলাদেশে কতবার এসেছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমেরিকার থেকে ঠিক কতবার এসেছে এ তথ্যটি এখনো নিশ্চিত নয় আমরা। তবে আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছি তারা গত এক দুই বছর ধরে এই মাদক বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানার চেষ্টা করব তাদের নেটওয়ার্ক টা কতটুকু বিস্তৃত।

এই মাদকের ব্যবহারকারী কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা তদন্ত করে জানার চেষ্টা করব। কি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মাদক কেক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা খুবই মারাত্মক। এই বিষয়ে আরো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদেরকে আমরা জানাবো।

গ্রেফতারকৃতদের বয়স অল্প। তারা এই কোটি টাকার মাদকের মূল্য কিভাবে সংগ্রহ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে একজন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মার্কেটিং অফিসার। আমরা তদন্তে জানার চেষ্টা করব তাদের অর্থের উৎস কি এবং তারা কিভাবে অর্থ সেখানে পাঠিয়েছেন। এর সঙ্গে মানিলন্ডারিং জড়িত থাকতে পারে আমরা এ সকল বিষয়েও তদন্ত করব।

;

ছিনতাইকারীর হামলায় আহতের ৬ দিন পর গৃহবধূর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
গৃহবধূর মৃত্যু

গৃহবধূর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ছিনতাইকারীর হামলায় আহতের ৬ দিন পর ববিতা আক্তার (৩৭) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে চলন্ত রিকশায় ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হন তিনি। নিহত ববিতা আক্তার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার নাদিম মন্ডলের স্ত্রী।

নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাজু মন্ডল ও তিন বছর বয়সী কন্যা নুসরাতকে নিয়ে বাইপাইলের নিজ বাসা থেকে ফুচকা খেতে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় যান ববিতা আক্তার। সেখান থেকে রিকশাযোগে বাসায় ফেরার পথে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকার হাবিব পাম্পের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে ছিনতাইকারীরা এসে ববিতার হাতে থাকা ব্যাগ ও গলায় থাকা সোনার চেইন টান দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ছিনতাইকারীদের টানা-হেঁচড়ায় ববিতা চলতি রিকশা থেকে মহাসড়কে পড়ে যান। এতে তিনি মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান এবং সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় ববিতাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি দেখে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউতে) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিলন ফকির জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর দেবর মো. কাদের বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওসমান গনী (২৩) নামেও এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

;

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া আলী আকবর খান।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান তিনি। এরপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

এর আগে সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে স্ত্রী সেহেলা পারভীন গ্রেফতারের পর আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে গোয়েন্দা পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কজেলের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

 

;