রোহিঙ্গা ভোটার: ক্যাম্পেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে দালাল চক্র



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প | ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প | ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কাজের সঙ্গে জড়িত চক্রের সদস্যরা ক্যাম্পেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। এই চক্র প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়টি মীমাংসা করে থাকে। পরে ধাপে ধাপে কয়েকটি হাতবদল হয়ে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে দালাল চক্র।

রোহিঙ্গা ভোটারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত বিশেষ তদন্ত কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম জেলায় সব মিলিয়ে কমিশনের ২০টি মডেম রয়েছে—যেগুলো ব্যবহার করে ভোটারদের তথ্য সার্ভারে ইনপুট দেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সেখান থেকেই একটি মডেম ব্যবহার করেছে দালাল চক্র। এই চক্রের কাছে বিভিন্ন থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডও ছিল, সেটি ব্যবহার করত তারা। তবে মূলত দালাল চক্র কয়েকটি স্তরে ভাগ হয়ে রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর কাজ করে।

প্রথম ধাপে ক্যাম্পে থাকা দালাল চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এনআইডি কার্ডের বিনিময়ে অর্থের লেনদেনের বিষয়টি ফয়সালা করে। পরে কৌশলে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার সদরে। সেখান থেকে আরেক দালাল রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায় চট্টগ্রামে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হতো ল্যাপটপ ব্যহারকারীর কাছে। প্রথমে তাদের নাম ও তথ্য দিয়ে ইনপুট দেওয়া হতো ল্যাপটপে ইনস্টল হয়ে থাকা ইসির সফটও্যয়ারে। পরে এনআইডির প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ল্যাপটপে এ তথ্যগুলো স্ক্যান করে রাখা হয়। রোহিঙ্গা ভুয়া ভোটার করতে দুইজন থানা নির্বাচন অফিসার সম্পৃক্ত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ভোটার করার জন্য রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণের অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বনিম্ন ১৮ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে। আর ভোটার করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইসির লাইসেন্সকৃত ল্যাপটপ, মডেম, পেনড্রাইভ, সিগনেচার প্যাড। ২০০৭ সালের ইসির ল্যাপটপগুলোর মধ্যেই কয়েকটি ল্যাপটপ চুরি হয়। আর ২০১৭ সালে অকশনে (নিলাম) প্রায় ৮শ’ ল্যাপটপ বিক্রি করে ইসি। এরমধ্যে ২৫০টি ছিল ইসির লাইসেন্স করা। তবে সেসব ল্যাপটপে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। কিন্তু প্রতারক চক্র সেখান থেকে কিছু ল্যাপটপ সংগ্রহ করে তা ঠিক করে এই কাজে ব্যবহার করেছে বলে ধারণা করছে তদন্ত কমিটি।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ৯ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এ ঘটনায় মোট ২০ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত দল। এরমধ্যে ইসি থেকে চাকুরিচ্যুত টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সত্য ও সাগর নামে দুজন যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। তারা এখন পলাতক রয়েছেন।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মূলত একটি স্ক্যানার মেশিন থেকেই এসব রোহিঙ্গা ভোটারের তথ্য স্ক্যান করা হয়েছে। কারণ প্রতিটি স্ক্যান করা ফর্মের উপরের অংশ তিনটিতে ছোট দাগ পাওয়া গেছে। সবগুলো ফর্মেই এ দাগ রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে একটি মেশিন থেকেই এগুলো স্ক্যান করা। আর প্রতারক চক্র ঘন ঘন তাদের অফিস পরিবর্তন করত বলেও জানা গেছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, লাকি বেগম নামে রোহিঙ্গা ভোটার শনাক্ত হওয়ার পর ইসি গঠিত বিশেষ তদন্ত দল প্রথমে কক্সবাজার সদরে অভিযান চালায়। সেখানকার কেউ যেন সতর্ক হতে না পারে সেজন্য সেই টিম কক্সবাজার যাওয়ার আগে কোন অফিসিয়াল চিঠি দেওয়া হয়নি। সেখানে গিয়েই সবার মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও ফর্ম-২ তল্লাশি করা হয়। তবে সেখানে কোন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি। পরে সেখানকার থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কক্সবাজারে কয়েকটি রোহিঙ্গার বাড়ি শনাক্ত করা হয়, যারা অবৈধভাবে ভোটার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নতুন রোহিঙ্গা ভোটারের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার আনা হয় দালাল আব্দুল্লাহকে। তাকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লক থেকে আটক করা হয় তার বড় ভাই ওবায়দুল্লাহকে। শুরুতে তিনি স্বীকার না করলেও পরে দালাল চক্রের আরো দুজন সদস্য নূরুল আবছার ও শামসুল মাস্টারের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তাদের এখনও আটক করা যায়নি। পরে অবৈধভাবে ভোটার হওয়াসহ ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা।

এরপর তদন্ত কমিটি চট্টগ্রামে এসে চট্টগ্রাম থানা নির্বাচন অফিসে কাজ শুরু করে। সেখানে তেমন তথ্য না পেয়ে ডাবলমুরিং নির্বাচন অফিসে গিয়ে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর সবার মোবাইল চেক করা শুরু হলে দেখা যায় সবার মোবাইল সম্পূর্ণ ফরমেট দেওয়া। তবে এরমধ্যে সেখানকার অফিস সহকারী জয়নালের মোবাইলে কিছু মেসেজ পাওয়া যায়। একই সঙ্গে মোবাইল থেকে কিছু আইডি কার্ডের পিডিএফ কপি ও এক্সপোর্ট ডাটা পাওয়া যায় গুগল ড্রাইভে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে একটি ল্যাপটপ থাকার কথা স্বীকার করেন জয়নাল। পরে তার এক বান্ধবীকে দিয়ে ল্যাপটপটি আনা হলে তাকেও আটক করা হয়। এরপর আটক করা হয় জয়নালের ভাই বিজয়কে। সর্বশেষ দুদিন আগে ‘আউট সোর্সিংয়ের’ মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে যুক্ত হওয়া মোস্তফা ফারুককে (৩৬) আটক করা হয়। তার কাছ থেকেও ইসির চুরি হওয়া একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোহিঙ্গা ভোটারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি ও বিশেষ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। লাকি বেগমের ঘটনার পর আমরা দেখলাম কোন চক্র একই জায়গা থেকে রোহিঙ্গা ভুয়া ভোটারের তথ্য স্ক্যানিং করছে, আপলোড করছে। শুরুর দিকে যেসব রোহিঙ্গা ভোটারের তথ্য পেলাম, সেখানে অনুসন্ধান করে দেখা গেল স্ক্যান করলে যে দাগ থাকে সেখানে তিনটি দাগ পাওয়া গেছে। যতগুলো রোহিঙ্গা ভোটারের তথ্য দেওয়া হয়েছে সবগুলোর উপরেই একই জায়গায় তিনটি দাগ পাওয়া গেছে। পরে দেখা গেলো সেসব ফরমের প্রথম পেজ আছে, দ্বিতীয় পেজ নেই। সেই পেজে মূলত শনাক্তকারী, রেজিস্ট্রেশন অফিসারসহ আমাদের সবার স্বাক্ষরসহ এনআইডি নম্বর থাকে। সেজন্য তারা শুধু প্রথম পেজটি স্ক্যান করেছে। এভাবেই তাদের বিষয়টি ধরা পড়ে। আমাদের গঠিত কমিটির একটি আইটি টিম ল্যাপটপের বিষয়ে কাজ করেছে, আরেক দিকে দালালদের বিষয়ে আরেকটি টিম কাজ করেছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে কাজ করছে।

   

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

এডিপি বাস্তবায়নে দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত কাজ করার তাগিদ গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান প্রকল্পগুলো দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

এসময় তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উবায়দুল মোকতাদির বলেন, প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর বা সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব জনবলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কাজ যথাযথভাবে করতে হবে।

সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

;

মদ বোঝায় পিক-আপ জব্দ, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ১ হাজার ৮৬৬ বোতল মদ বোঝাই পিক-আপ ভ্যান জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১)। একই সঙ্গে মো. মাসুদ বিশ্বাস (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মাহফুজুর রহমান বলেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-১) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বনানী থানাধীন এলাকায় ১ জন মাদক ব্যবসায়ী ১টি সাদা রং এর পিক-আপ ভ্যানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বহন করে বনানী এলাকা থেকে গুলশান এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ব্লক-জি এর সামনে রাস্তার উপর হতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বিশ্বাসকে (৩৪), গ্রেফতার করা হয়।

এসময় আসামির নিকট হতে কেরুর তৈরি ১ হাজার ৮৬৬ বোতল বিলাতি মদ ও ১টি পিক-আপ ভ্যান এবং ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

;

চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ গ্রেফতার ৩৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধানসহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


র‍্যাব জানায়, অভিযান চালিয়ে পাঁচলাইশ থানার ফরেষ্টগেইট রেল ক্রসিং এলাকা থেকে রুবেল গ্রুপের প্রধান রুবেলসহ ছয়, মোহাম্মদপুর এয়ার বিল টাওয়ার এলাকার বাচা গ্রুপের প্রধান বাচা সোহেলসহ পাঁচ, বায়েজিদ বোস্তামী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকা থেকে জনি গ্রুপের প্রধান জনিসহ পাঁচ, পাহাড়তলীতে ১২ কোয়ার্টার এলাকা থেকে সাজ্জাদ গ্রুপের প্রধান সাজ্জাদসহ সাত, সরাইপাড়া এলাকার সাকিব গ্রুপের প্রধানসহ ছয়, বিপুল গ্রুপের প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‍্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ইভিটিজিং এর মতো অপরাধে এ কিশোর গ্যাং’র সদস্যরা জড়িত। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব ছয় কিশোর গ্যাং লিডারসহ ৩৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি এবং ডাকাতির আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

ঈদে নগরবাসীকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় র‍্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা নিয়োজিত আছেন বলে জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা।

;

গুচ্ছ গ্রামের এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়াতে একটি পুকুরে ১০০ রুপালি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ৩৫০- ৫৫০ গ্রাম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ গুলো দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের যুগান্তর কিল্লার উত্তরের পুকুরে মাছ গুলো ধরা পড়ে। এর আগে, গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আফছার উদ্দিন। তিনি জানান, একটি গুচ্ছ গ্রামে সাধারণত দুটি পুকুর থাকে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামে দুটি পুকুর রয়েছে। যুগান্তর কিল্লার উত্তরের বড় পুকুরটি লিজ নিয়েছেন আবদুল মান্নান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি এ পুকুরে গত কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। পুকুরটি ২৫টি পরিবার ব্যবহার করে।

তিনি আরও জানান, পুকুর থেকে মাছ ধরার জন্য মান্নান গত কয়েক দিন ধরে পুকুরে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি কমান। পানি কমিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে পুকুরের জাল ফেললে ১০০টি ইলিশ ধরা পড়ে। গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে আরও ৮-৯ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। আশা করা হচ্ছে এ পুকুরে আরও ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.দিনাজ উদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশ মাছও প্রবেশ করে। গত বছরও একই পুকুরে প্রায় ৪০-৪৫ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। এ বছর প্রথম ধামে এ ইলিশ গুলো ধরা পড়ে।

;