রংপুরে সামান্য বৃষ্টিতে ডুবছে রাস্তা, বাড়ছে দুর্ভোগ
সামান্য বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে ভরা রাস্তা পানিতে সয়লাব। ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকার পরও কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।
রংপুর নগরীর লালবাগ কেডিসি রোডের সিটি বিস্কুট ফ্যাক্টরি মোড় হতে খেড়বাড়ি এলাকার এমন চিত্র দেখা যায়। গত দু’দিনের সামান্য বৃষ্টির পানিতে ডুবে রয়েছে এলাকাটির সরু রাস্তাগুলো।
লালবাগ কেডিসি রোডের মতো নগরীর বেশির ভাগ পাড়া-মহল্লাতে বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। নিষ্কাশনে উন্নত ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর মহানগরীর বর্ধিত এলাকা ব্যতিত অধিকাংশ ওয়ার্ডের আধাকাঁচা, আধাপাকা রাস্তা ও সরু গলিগুলোতে গত দু’দিনের বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর কামারপাড়া, বাবুখাঁ, লালবাগ কেডিসি রোড, মাস্টারপাড়া, কামাল কাছনা, জুম্মাপাড়া কুকরুল রোড, হনুমানতলা রংপুর স্টেডিয়াম রোড, টাউন হল চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় বেতপট্টিস্থ, এরশাদ ব্রিজ সেনপাড়া রোড, বদরগঞ্জ রোডসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও সরু গলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
কোথাও কোথাও ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকার পরও বৃষ্টির পানি না নামায় বেড়েছে বিড়ম্বনা। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও ড্রেন ছাপিয়ে ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পানিবাহিত রোগজীবাণু বাড়ার আশঙ্কার সঙ্গে দুর্ভোগও বাড়ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।
এ ব্যাপারে নগরীর কেডিসি খেড়বাড়ি রোডে কথা হয় আফজাল হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘নতুন ড্রেন করা হয়েছে একমাস আগে। ড্রেন করার আগে আমাদের এলাকার রাস্তাগুলোতে কোনো দিন পানি উঠেনি। অথচ দু’দিনের সামান্য বৃষ্টিতে এখন সিটি বিস্কুট ফ্যাক্টরির মোড় হতে খেড়বাড়ি মাজার পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। শুধু রাস্তা নয় পানি উপচে ঘরের ভেতরেও প্রবেশ করেছে।’
কেডিসি রোডে বসবাসরত কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মোজাফফর হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সিটি করপোরশনের পক্ষ থেকে ড্রেনের কাজ করা হলো, কিন্তু ড্রেন কোনো উপকারে আসছে না। এখানকার কিছু মানুষ ক্ষমতার দাপটে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাস্তার মাঝখানে ড্রেন করেছে। কেডিসি সার গোডাউনের (বাফার গেডাউন) সামনে তৃতীয় তলার একটি বাড়ির যাতে ক্ষতি না হয়, সেজন্য রড দিয়ে ঢালায় করা মজবুত রাস্তা ভেঙে ড্রেন করা হয়েছে। এখন ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তা হাঁটু পানির নিচে ডুবে থাকছে।’
পরিকল্পিত নগরায়ণ, রাস্তা নির্মাণ, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই দুর্ভোগ কমে আসবে। এজন্য সবাইকে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানান স্থানীয় কবি ও লেখক রেজাউল ইসলাম জীবন।