বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী হামলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। গত পরশুদিন আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরদিন গাজীপুরে আমাদের ভাইদের ওপর আবারও হামলা করেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ভাইয়েরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আওয়ামী লীগের এই ধৃষ্টতা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে হয়েছে। এ সরকারের আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা কিছুই করতে পারেনি। আমরা গত ছয় মাসে আমাদের পক্ষ থেকে বারবার তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু নীরবতা পালনকারী এই অন্তর্বর্তী সরকার এখনও পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
গাজীপুরে ছাত্রদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম।
রাসেল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রামের মাটিতে ঝটিকা মিছিল করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের পেছনে পুলিশ প্রশাসনের অনেকের জড়িত থাকার আশঙ্কা করছি। এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত ছয় মাসে বারবার বলেছি বিচার শুরু করুন, সংস্কার করুন। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো বিচার প্রক্রিয়া বা সংস্কার হতে দেখিনি। আমরা চাই, এই সরকার আর নীরবতা পালন করবে না। যে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এ সরকার ক্ষমতায় বসেছে, তাদের সঙ্গে যেন বেইমানি না করে। আমরা বেইমানি হতে দিতে পারি না।
সমাবেশে অন্যান্য সমন্বয়কয়া বলেন, আপনার জানেন গাজীপুরে আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা করেছে। গত ৬ মাসে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা পুনরায় ছাড়া পাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যেন তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি আওতায় আনেন। যতক্ষণ তাদের বিচার কার্যকর না হয় ততক্ষণ আমরা রাজপথে থাকব।
'আমরা এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা আবার রাজনীতির সুযোগ পেলে আমাদের অনেক সহযোদ্ধা নিহত হবে, গুম হবে৷ তাদের যারা বিদেশে পালিয়েছে তাদের দেশে এনে বিচার করতে হবে।'
পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলে 'আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই', 'আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই', জ্বালরে জালো আগুন জ্বালো, একটা একটা লীগ, ধরে ধইরা জবাই কর।'- এমন স্লোগান দেয়। এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
তবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রেজাউর রহমানকে দেখা যায়নি। এদিকে তারার একই দাবিতে চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশনে রাত ৭টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করার কথা রয়েছে।