ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতৃবৃন্দের অন্যতম একজন মাহফুজ আলম। আন্দোলন সংগ্রামে ব্যানারের সামনে কিংবা মাইক হাতে তাকে দেখা না গেলেও সকল আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদান অনস্বীকার্য। কেননা, মাহফুজ আলম পরিচিতজনদের মধ্যে একজন তাত্ত্বিক নেতা হিসেবেই পরিচিতি।
বৃহৎ পরিসরে পরিচিতি না থাকলেও সেই তাত্ত্বিক নেতা এখন এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রথম দিক থেকেই তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এর কাছে মাহফুজ আলমসহ উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিন জন। অন্য দুইজন হলেন সেখ বশিরউদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সামনে আসেন মাহফুজ আলম। তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক। প্রথমদিকে তার পরিচিতি আসিফ-নাহিদদের মতো না থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সকল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন তিনি।
এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি নতুন রাজনৈতি দল, গণঅভূত্থানের চেতনা ধরে রাখা, সরকারকে সংহত করা, রাষ্ট্র ও সমাজের নানা অংশীজনের সঙ্গে বলে আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা প্রকাশ করে আরও আলোচনার জন্ম দেন মাহফুজ আলম।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে মাহফুজ আলমকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে আওয়ামী লীগের পেইজ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির নেতা বলে দাবি করেছে। তবে পরবর্তীতে প্র দুই মাহফুজ যে ভিন্ন ব্যক্তি সে বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর উপজেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইসাপুর গ্রামের সন্তান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।