রংপুরে রেললাইন অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দীর্ঘ ১৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রংপুর বিভাগীয় রেল স্টেশনটিতে। নানাবিধ সমস্যা ও পুরনো ধাচেই অবহেলিত উত্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনটি। বিভিন্ন আন্দোলন করেও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বঞ্চনা দূর করতে দৃশ্যমান উন্নয়ন বাস্তবায়নের দাবিতে এবার মাঠে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বুড়িমারী থেকে ছেড়ে পার্বতীপুরগামী স্থানীয় এলআর ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে দাবি আদায়ে আন্দোলন করে।
এসময় ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, রংপুর রেলওয়ে স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হবার থেকে একবার মাত্র দায়সারাভাবে উন্নয়ন কাজ হয়েছিলো ১৯৪৪ সালে।১৫০'শ বছর পেরিয়েও আর কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখনো এই স্টেশনটিতে যাত্রীদের ভোগান্তি আর বেহাল দশায় কাটছে। নেই যাত্রী ছাউনি, পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ, দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্মে যাতায়াতের ব্যবস্থাসহ স্টেশনটির বাউন্ডারি ওয়াল, তথ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তা।
একাধিকবার রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে উত্তরের মানুষ। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানকে স্টেনশনটির উন্নয়ন করতে সুদৃষ্টি দেওয়ার দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
তারা আরও বলেন, রংপুর রেলওয়ে স্টেশনটি উত্তরের কোটি মানুষের আস্থা। অন্যান্য লাইনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন স্থাপন হলেও রংপুর সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা আর বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকতে চাই না। দ্রুত রংপুর স্টেশনটির সংস্কার করে আধুনিকায়ন করাসহ এই স্টেশনের ওপর দিয়ে নূন্যতম আরও দুটি আন্তঃনগর ট্রেন বরাদ্দের দাবি জানান তারা।
রেল স্টেশনের উন্নয়নে দাবি আদায়ে উত্তরবঙ্গের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। পরে রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবি আদায়ের স্মারকলিপি প্রদান করে আন্দোলন সমাপ্ত করে ছাত্ররা। ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলনের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির বিষয়ে রেল স্টেশনের সুপারিনটেন্ট শংকর গাঙ্গুলী জানান, আজ স্টেশনে এসে ছাত্ররা দাবির বিষয়গুলো জানিয়ে গেছে। স্টেশনের যাবতীয় উন্নয়নের কাজের বরাদ্দ পাস হয়েছে কয়েক মাস আগে। সরকার পরিবর্তনের পর এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কাজগুলো থমকে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুনরায় কথা হচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই রংপুরকে একটি আধুনিক মডেল স্টেশনে রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হবে।