গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালাসোনার বালুচর থেকে আকাশ (১১) নামের এক আহত স্কুল শিক্ষার্থীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। বর্তমানে আহত ওই কিশোর গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত পৌঁনে ১ টার দিকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া।
এরআগে একইদিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চর কালাসোনা এলাকার নদীর ধার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর দুই ঘণ্টা আগে ওই কিশোর নিখোঁজ হয় বলে দাবি করে পরিবারের সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া কিশোর আকাশ ফজলুপুর ইউনিয়নের বাজে তেলকুপি এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় চরকৃষ্ণমণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।
কিশোরের পরিবারের দাবি, তাদের প্রতিপক্ষরা শত্রুতাবশত আকাশকে হত্যার উদ্দশ্যে এমন ঘটনা ঘটায়। আহত ওই কিশোরের জ্যাঠা মিলন মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ' আমার আপন ছোট ভাইয়ের ছেলে আকাশ। আমার ভাতিজা বুধবার সন্ধ্যার আজানের দিকে নিখোঁজ হয়। এরপর ৭ টার দিকে চর কালাসোনার নদীর কিনারার একটি ঘাঘড়ায় বালুর নিচ থেকে তাঁর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় চৌকিদার ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা তাকে নিয়ে কালিরবাজার থানায় যাই। থানা পুলিশ চিকিৎসার জন্য আমাদেরকে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা এখন গাইবান্ধা হাসপাতালে আছি।
এসময় তিনি দাবি করেন, আমার বাবা লাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এনায়েত গংরা। আমরা মামলা করেছি, মামলা চলমান রয়েছে। আমরা যাতে মামলা প্রত্যাহার করে নেই সেই জন্য এনায়েত গংরা আমার ভাতিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বালু চাপা দেয়। এসময় আহত আকাশের বরাতে তিনি আরও দাবি করেন, হাকিম ও রিপন নামের দুইজন সহ আরও ১০ থেকে ১২ জন আমার ভাতিজাকে হত্যার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে আমরা আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় ফুলছড়ি উপজেলা হেড কোয়াটার কালিরবাজারে মানববন্ধন করবো এবং থানায় মামলা দায়ের করবো।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বলেন, "এরআগে ওই এলাকায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া কিশোর হামলায় নিহত ব্যক্তির নাতি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই সব কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।