বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাড়ে ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিলো দুঃসহ কালোরাত। শেখ হাসিনা সেটাকে কালিমা হিসেবে জাতীর কপালে লেপে দিতে চেয়েছিলেন, জাতি এখন তার দিকে যেটা ফিরিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রত্যন্ত সারাদেশে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে। ফ্যাসিস্টের সূত্রপাত এখান থেকেই শুরু হয়।
সোমবার(১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সাথে জামায়াতের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেনাবাহিনীর উপর আঘাত দিয়েছে। পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৪ জন সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছে। মহিলা সদস্যদের নির্যাতিত লাঞ্চিত এবং হত্যা করে ড্রেনে লাশ ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। সেনাবাহিনীকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ৪২ বছর যাদের বিরুদ্ধে কোন থানায় জিডি কিংবা মামলাও ছিলো না। ৪২ বছর পরে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরাধী অপরাধে অভিযোগ আনা হলো। মিথ্যা মামলা ও সাজানো স্বাক্ষী দিয়ে একে একে শীর্ষ স্থানীয় ১১ জনকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নেয়া হল।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে এমন মডেল বানালেন ও রাজপথ তৈরি করলেন গাড়ি দিয়ে রাজপথে যেতে পারলেন না। এমন রাজনীতি করলেন আপনাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হল। জাতীকে ভাগে ভাগে বিভক্ত করেছেন। প্রত্যক্তটি মানুষ ছিলো জুলুমের শিকার। কেউ কারও বিরুদ্ধে সামান্য কথা বললেও ডিজিটাল আইনে তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদেরও নির্যাতন করা হয়েছে।
জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবিব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় জামায়াতের নেতা-কর্মী, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমস্বয়ক ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।