খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা (৪৯) গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- নিমন্ত ত্রিপুরা (২২), টুনশু চাকমা, সজিব চাকমা (১৯), প্রনয় চাকমা (১৯), কোষ চাকমা (২১), টিনটু চাকমা (১৯), অম্লাা ত্রিপুরা (২০), আইকন চাকমা (২০), নিউটন মারমা (২০) ও অনিল চাকমা (১৯)। এদের মধ্যে সজিব, প্রনয় ও কোষ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
বাদী মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষের রুমে শিক্ষক সোহেল রানাকে গণপিটুনি দিয়ে টয়লেটে ফেলে রাখে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে ৪০০/৫০০ উশৃঙ্খল জনতা ও শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে সহকারী পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ পুলিশের ৫জন আহত হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। আহত শিক্ষককে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর শিক্ষক সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার জেরে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে মহাজনপাড়া, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে আহত হন।