গত তিন দিন ধরে কক্সবাজারে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টিতে অচল প্রায় পর্যটন নগরী। কিন্তু কয়েকটি গণমাধ্যমে ২৫ হাজার পর্যটক কক্সবাজারে আটকা পড়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। যেটি সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবর ভুয়া বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন কক্সবাজারের বাসিন্দা এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউজ ঘুরে এরকম কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যমে ২৫ হাজার পর্যটক আটকে পড়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ফেসবুকে লাইভে এসে হোটেল-মোটেল জোনের রাস্তা ঘুরে দেখিয়েছেন যেখানে কোন পর্যটক আটকে থাকতে দেখা যায়নি।
আরিয়ান খান ফারাবি নামের একজন কক্সবাজারের বাসিন্দা ফেসবুকে লাইভ করেছেন। বাইক নিয়ে লাইভে সৈকতের লাবণী থেকে বাস টার্মিনাল এসেছেন। যেখানে কোন পর্যটক আটকে থাকতে দেখা যায়নি। ক্যাপশনে তিনি লেখেন "যাচ্ছি লাবনী হয়ে টার্মিনাল আপনাদের দেখাতে চাই ২৫ হাজার পর্যটক আদৌ আটকা পড়ছে কিনা"
আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ইনজামামুল হক লেখেন, "হোটেল-মোটেল জোন এলাকার এসব রোডের পানি বৃষ্টি থামলে কমে যায়। এ জোনে এমন না যে পানিতে সব ডুবে গেসে বা পর্যটকরা দীর্ঘসময় ধরে হোটেল থেকে বের হতে পারতেসেনা। তাছাড়া পর্যটক ঠিকই বার্মিজ মার্কেটে আসতেসে। শুটকি, আচার নিচ্ছে। অন্যদিকে শহরের ভিতরে অনেক জায়গায় পানি উঠসে। পাহাড় ধ্বস হয়সে, ঘরবাড়ি ভেঙে গেসে। স্থানীয়রা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। যারা আসল ভুক্তভোগী তাদের ফোকাস না দিয়ে পর্যটক আটকে গেসে বলে এসব ক্লিকবেইট নিউজগুলোর প্রতি নিন্দা জানালাম। সকাল থেকে দেখতেসি বিভিন্ন পোর্টাল এমন শিরোনাম দিচ্ছে। বাসার সামনে গলিতে হাটু-কোমর পর্যন্ত পানি গত রাত থেকে। কমে আর বাড়ে। পায়ের নখে ইনফেকশনের জন্য বাসা থেকে বের হতে পারতেসিনা পানি না-কমার কারণে।"।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান লাভলু বিষয়টি নিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, কক্সবাজারে কোনো পর্যটক আটকা পড়েনি। ভারি বৃষ্টিতে হোটেল মোটেল জোনে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিলো। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে পানি নেমে জলাবদ্ধতা শেষ হয়। যতক্ষণ বৃষ্টি ততক্ষণ জলবদ্ধতা। কেউ আটকা নেই। দয়া করে বিভ্রান্ত নিউজ কানে নিবেন না।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা সৈকতে গোসলে নেমেছে। এছাড়া জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু হয়েছে।