বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহনকারী স্পিডবোট আটকে দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার তালতলী থেকে মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট রুটে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী থেকে মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট রুটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরোক্ষভাবে চাঁদা দাবি করলেও প্রত্যক্ষভাবে তাদের অভিযোগ, স্পিডবোট চলাচল করার কারণে নদীভাঙন তীব্র হচ্ছে। এ কারণে বরিশাল পাতারহাট রুটিন স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব ও ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহনকারী স্পীডবোটও আটকে দেয় মুখলেসুর রহমান ও তার অনুসারীরা। মারধর করা হয় এক চালককে।
স্পিডবোট মালিক ও চালকরা জানিয়েছেন, ক্ষমতার পালাবদলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঁদার জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
তালতলী-পাতারহাট নৌ রুটের স্পিডবোট চালক মো. সুজন বলেন, শুক্রবার বিকালের দিকে তালতলী থেকে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় মোকলেছ মেম্বার লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। তাকে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে পিটায়। তালতলী ছেড়ে সামনে স্লুইজগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিনের স্পিডবোটও আটকে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এ রুটে ৬২টি স্পিডবোট চলে। প্রতি ট্রিপে ৩০০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়। বিএনপি নেতা মোকলেছসহ অন্যরা এ রুট দখল করার জন্য এসব করছে।
পাতারহাটে স্পিডবোটের কর্তৃত্বে থাকা আলম হোসেন বলেন, তালতলি খালের মধ্যে ঝামেলা হয়। তালতলি স্লুইজ গেট এর সামনে বোট আটকে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ রুটে বেশি স্পিডবোট চলে, তাই একটি পক্ষ চাচ্ছে না এখান থেকে বোট চলুক।
তিনি আরও বলেন, আগে তো বাধা দেয়া হয়নি, এখন কেন দেয়া হলো তা বুঝতেছি না। প্রতিপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বসেছি, কিন্তু তারা কিছুই বলে না।
শায়েস্তাবাদী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোকলেছুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত স্পিডবোট চলায় পাড় ভেঙে যায়। এজন্য এলাকাবাসী বোট চলাচল বন্ধ করেছে।
তিনি বলেন, এলাকার নারী পুরুষ ইউএনওর বোটও আটকে দিয়েছে বলে শুনেছেন। তবে চাঁদা চাওয়া কিংবা বাধা দেয়ার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি এলাকাবাসীকে বলেছেন, যে ধীরে ধীরে বোট চলুক, কিন্তু তারা রাজি হননি। তালতলি, সায়েস্তাবাদ হয়ে চরমোনাই থেকে মেহেন্দীগঞ্জের পাতারহাট রুটে এ বোট চলে।
বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের দাবি, খালটি দিয়ে স্পিডবোট চলে সেখানে ভাঙন ধরেছে। তবে দীর্ঘদিন এখান থেকে স্পিডবোট চললেও বাধা দেয়া হয়নি। তাদের এ ধরনের দাবি থাকলে জেলা প্রশাসনকে বলার কথা বলেছেন।