বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতে পাসপোর্ট কার্যক্রম ভোর সাড়ে ৬টার পরিবর্তে সকাল ৭টার পরে শুরু হওয়ায় হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সংবাদটি বার্তা২৪.কম অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশের পরের দিনই পূর্বের নিয়মে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানান, ভোর সাড়ে ৬টার পরিবর্তে ৭টার পরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হওয়াতে পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছিল। এতে নানান সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট প্রকাশ হতে দেখা যায়। এর পরের দিন ১২ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে । এতে যাত্রীদের মাঝে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আযহার উদ্দীন জানান, কোন অপরাধী যাতে ভারতে পালাতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশনে সতর্কতা বাড়ানো হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে ইমিগ্রেশন পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা পাসপোর্টধারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। কিন্তু সাড়ে ৬টার মধ্যে সবার উপস্থিতিতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় কার্যক্রম চালু করতে একটু দেরি হচ্ছিল। তবে এখন নিদিষ্ট সময়ে কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। যাত্রীরা যাতে স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য সবাই আন্তরিক হয়ে কাজ করছেন।
ভারতগামী পাসপোর্টধারী শহিদ জানান, চেকপোষ্টে যাত্রী পারাপার এক মাস যাবত সকাল ৭টার পরে শুরু হতো। তবে এখন ভোর সাড়ে ৬টায় কাজ শুরু হচ্ছে। এতে তাদের ভোগান্তি ও হয়রানি কমেছে।
এর আগে সাম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগষ্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর অনেক অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা হয় । এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় ইমিগ্রেশনে। পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সরকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সন্দেহভাজন পাসপোর্টধারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। এতে এমনিতেই দীর্ঘ সময় লাগছে যাতায়াতে। এরপর আবার নানান অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্টধারীদের কার্যক্রম ভোর সাড়ে ৬টার পরিবর্তে সকাল ৭টার পরে শুরু করায় যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছিল।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে। বর্তমানে ভিসা ব্যবস্থায় নানা প্রতিবন্ধকতায় যাত্রীর সংখ্যা কমে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজারের ঘরে থাকলেও স্বাভাবিক সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১০ থেকে ১২ হাজার । পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল পৌঁছানোর পর প্রথমে তাকে ১০৫৫ টাকা দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ভ্রমণ ও পোর্ট ট্যাক্স কাটতে হয়। পরে কাস্টমসে যাত্রীর সাথে থাকা ল্যাগেজ চেকিং করিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে ভারতে ঢুকতে হয়। বছরে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকার প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকার ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করে থাকে।