বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার হাসান রাজিব প্রধান বলেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি শেখ হাসিনার মতো বিদেশ চলে যেতে রাজি হতো। তাহলে হয়তো বিএনপির নেতা কর্মীরা এত কষ্ট পাইতো না এবং আওয়ামী লীগ শাসনামল আরো দীর্ঘায়িত হতো। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুখে-শান্তিতে থাকতে পারতো। কিন্তু উনি সেটা মোটেও চিন্তা করেনি, উনি ওনার ব্যক্তি স্বার্থ, দলের স্বার্থ চিন্তা করেনি। উনি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তাই দেশে রয়ে গেছেন। এবং উনার জীবনকে উনি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তারপরও আপোষ করেন নাই।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি৷
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আপনারা দেখেছেন গণতন্ত্রের জন্য উনি কিরকম ত্যাগ করছেন। উনি উনার ছেলেকে হারিয়েছেন। উনি ৭৮ বছর বয়সে ছয় বছর থেকে কারা অভ্যন্তরে রয়েছে। তারপরও উনি কোন আপোষ করে নাই।
বিএনপি নেতা ব্যরিস্টার হাসান রাজিব প্রধান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি আমার দিক থেকে বলতে পারি, আমার দাড়ায় কোন অন্যায় হবে না, আর যদি কোন অন্যায় আমি করে থাকি তাহলে সাংবাদিক ভাইরা আমার বিরুদ্ধে লিখবেন আমাকে জানানোর কোন দরকার নাই। কিন্তু অনুরোধ করবো আপনারা যে তথ্যটা পাচ্ছেন সেটা একটু যাচাই-বাছাই করে তারপর প্রকাশ করবেন।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপি'র আদর্শের প্রবক্তা হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার ব্যক্তি জীবনের দিকে যদি আপনারা তাকান তাহলে দেখবেন উনি কিরকম একটা সাদামাটা জীবন অতিবাহিত করেছে। এবং সততা যার মূলধন ছিলো। উনার এই সততা বা মূলধন থেকেই কিন্তু বিএনপি'র জনপ্রিয়তা। তিনি সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রকে একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
প্রেসক্লাব হাতীবান্ধার সভাপতি ইলিয়াস পবন বসুনিয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম লালমনিরহাট শাখার সম্পাদক আসাদুজ্জামান সাজুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সম্পাদক নুরুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান দুলাল, সিনিয়র সাংবাদিক স্বপন দে, উপজেলা বিএনপি'র সিনিয়র আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, সদস্য সচিব আফজাল হোসেন প্রমুখ।