অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ও সংশোধনী আনার পরই সরকার নির্বাচনের কথা ভাবছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে কি না তা পুরোপুরি নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্যের ওপর। তবে নিশ্চয়ই কোনো রাজনৈতিক দল চাইবে না ৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটুক।
তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য কমিশনগুলো প্রাথমিকভাবে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এগুলো আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে রাজনৈতিক ঐক্য ও তার সপক্ষে ঐক্য গড়ে তুলতে পারি কি না সেটার ওপর। এজন্য সংস্কারের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও চাচ্ছি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, এরশার সরকার সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারেনি এর ফল কী হয়েছে সবাই দেখেছে। বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার করেনি তার ফল ৫ আগস্ট দেখেছে। কোনো রাজনৈতিক দল নিশ্চয়ই চাইবে না তারাও অজনপ্রিয় হয়ে একই ফলাফল ভোগ করুক। এজন্য প্রথমে সংস্কার-সংলাপে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। সংস্কারের প্রস্তাব আসায় আমরা ফের সংলাপ করব। রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার, সংশোধনী এনে নির্বাচনে যাব। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো বলছে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন। তারা নিশ্চয়ই এটা বুঝবে।
ব্রিফিংয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব কমিশন আগামী তিন মাসের মধ্যে সংস্কারের প্রতিবেদন জমা দেবে।