রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম (৩৫) এর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল ইসলামের উপস্থিতিতে নগরীর নিউ জুম্মাপাড়া কবরস্থান থেকে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলামের মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত মেরাজুল ইসলাম রংপুর নগরীর ২৩নং ওয়ার্ড জুম্মাপাড়া এলাকার শামসুল হক এর ছেলে। তিনি নগরীর সিটি বাজারে ফল বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার ২টি পুত্র সন্তান আছে। গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজার এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও ছাত্র জনতার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিস্থিতিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম।
এসময় রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যসহ নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ আগস্ট মেরাজুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় তার মা আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ২১ জনের নাম উল্লেখ করে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলি আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ২৫ আগস্ট নিহতের সহধর্মিণী নাজমিম ইসলাম বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের স্ত্রী নাজমিম ইসলাম বলেন, 'আমি স্বামীর কি দোষ ছিল, তাকে এভাবে গুলি করা হয়েছে। এখন আমার দুই বাচ্চার ভবিষ্যৎ কি হবে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।'