বন্যার পানিতে ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে যাওয়া লক্ষ্মীপুরের ৫ কিলোমিটার রাস্তা নিজেদের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এ কাজে স্থানীয় ১৬ টি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই শতাধিক কর্মী স্বেচ্ছায় শ্রম বিলিয়েছেন বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বটতলী- কচুয়া সড়কের বটতলী থেকে দত্তপাড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি ৫ কিলোমিটার ইট-কংকর-বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
জানা যায়, সাম্প্রতিক বন্যায় এ সড়কটি পানির নীচে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে পানি কমতে থাকলেও সড়কটির শতাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে নোয়াখালী জেলার চাটখিল, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সাথে চন্দ্রগঞ্জ থানার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বন্যারপানি কমতে থাকলেও সড়কে বড় বড় খানা খন্দকের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে এই এলাকার হাটবাজার গুলোতে পন্য পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত বিঘ্নিত হতে থাকে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য ওই এলাকার সৈয়দপুর অনলাইন ফাউন্ডেশন,সৈয়দপুর ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সংঘ,আলোকিত দক্ষিণ মাগুরী, পদ্ম পুকুরপাড় ফাউন্ডেশন সহ ১৬ টি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের সেচ্ছাসেবিরা সড়কের গর্তে ইট ও বালু ফেলে যানচলাচলের ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় পদ্মপুকুর পাড় ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল আলম সবুজ বলেন, এই সড়কের কারণে থানা এলাকার তিন লাখ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করার কারণে আমরা স্বেচ্ছাসেবিরা সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
সৈয়দপুর ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবিরা ইট ও বালুদিয়ে সড়কের গর্তগুলো মেরামত করেছি এতে আমাদের স্বেচ্ছা শ্রম ছাড়াও প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। ১৬ টি সংগঠন মিলে এই টাকা সংগ্রহ করে ব্যয় করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সৈয়দপুর অনলাইন এক্টিভিটিস ফোরামের সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আমরা ১৬ টি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী এ সড়কটির মেরামত কাজ করেছি। আমাদের সাথে পুনিয়া নগর মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরাও অংশ নিয়েছেন।
সড়কটি মেরামত করার ফলে এই এলাকার মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।