সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন খাইরুল ইসলাম (২১) নামে আরও একজন মারা গেছেন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২ জনে দাঁড়াল।

বিজ্ঞাপন

খাইরুল পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার দাশের কাঁথি গ্রামের কামাল শেখের ছেলে। তিনি ওই শিপ ইয়ার্ড এলাকাতেই থাকতেন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ৮০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকা খাইরুল মারা যান। আরও ৬ জন আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

হাসপাতালে আরও যারা চিকিৎসাধীন আছেন- জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আল-আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)।

নিহতের চাচাতো ভাই রাহাত জানান, খাইরুল পুরাতন জাহাজ ভাঙার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিল।

এর আগে, শনিবার দুপুরে উপজেলার সোনাইছড়ির তেঁতুলতলা এলাকার দুর্ঘটনায় দগ্ধ হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পথে রাতে মারা যান মো. আহমাদুল্লাহ (৩৮)।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক বলেন, খায়রুল ইসলামের মরদেহ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।