সিলেটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধারকৃত সরকারি ওষুধের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসিত রঞ্জন দেব মামলাটি দায়ের করেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য সেলিনা আক্তারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পাক আক্তার চৌধুরী ও মাইজগাঁও পরিবার কল্যাণ সহকারী শিল্পী রানী বিশ্বাস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসিত রঞ্জন দেব।
এজহার সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র থেকে সরকারি বরাদ্দের ওষুধ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে নূরপুর গ্রামে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেলিনা আক্তারের বসত ঘরের খাটের নীচ থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার বিপুল পরিমাণ ওষুধ সামগ্রী জব্দ করা হয়। ওষুধগুলোর প্যাকেটের গায়ে ‘পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সম্পত্তি, বিক্রয়ের জন্য নহে’ এমন কথা উল্লেখ করা রয়েছে।
তবে, এজাহারে উল্লিখিত সেলিনা আক্তারসহ তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হলেও ঘিলাছড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পাক আক্তার চৌধুরী ও মাইজগাঁও পরিবার কল্যাণ সহকারী শিল্পী রানী বিশ্বাস এখনো গ্রেফতার নয় বলে জানিয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসিত রঞ্জন দেব।
তিনি বলেন, ওষুধ জব্দের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃত ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তারকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।