আন্দোলনে ভাঙচুর ও লুটপাটে চসিকের ক্ষতি চার কোটি টাকা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩২টি কাউন্সিলর কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল। সোমবার (১২ আগস্ট) পর্যন্ত এসব ঘটনায় আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে চসিক। এতে চার কোটি টাকা ৩১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

চসিক সূত্র বলছে, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় আছে মোট ৫৫টি। এর মধ্যে ৩২টি কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড। সেখানে এক কোটি ৫৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ক্ষতি হয়েছে দেড় কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও ১৪টি কার্যালয়ে হামলা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। বাকি নয়টি ওয়ার্ডে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ওয়ার্ডগুলো হলো, ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী, ১৪ নম্বর লালখান বাজার, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজার, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ২৮ নম্বর পাঠানটুলী, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ও ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড।

ক্ষতির তথ্যটি নিশ্চিত করে চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চসিকের ৩২টি কাউন্সিলর অফিসে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় আজ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে একটি ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। যা প্রায় চার কোটি টাকা ৩১ লাখ টাকার।

বিজ্ঞাপন

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চসিকের সচিবালয় বিভাগ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সচিবদের সাথে যোগাযোগ করে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে নাগরিক সেবা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম চালু হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ নাগরিকদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। দ্রুতই নাগরিক সেবা পূর্বাবস্থায় ফেরাতে কাজ চলছে।