বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করেছে বান্দরবান সচেতন নাগরিক সমাজ। এ সময় তারা অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে মূল ফটকে (গেট) তালা লাগিয়ে দেয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে 'বান্দরবান সচেতন নাগরিক সমাজ' ব্যানারে শতাধিক মানুষ নিয়ে জেলা পরিষদের বাউন্ডারির ভেতর প্রধান সড়ক অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান ধর্মঘটে অবস্থানকারীরা বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ও সকল দুর্নীতিবাজ জেলা পরিষদের সদস্যদের অপসারণ করে অতি দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ গঠন ও দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
ধর্মঘট পালনকারীরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ও সদস্যরা একে অপরের যোগসাজশে বৈষম্যমূলক নিয়োগ, ভুয়া প্রকল্প বানিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিলেন। যার ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।’
তারা আরও বলেন, ‘জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবৈধ উপায়ে যে সমস্ত অপকর্ম ও দুর্নীতি করেছেন সেগুলো বৈধ করতে গত তিন দিন ধরে তিনি অফিসে না এসেও আত্মগোপনে থেকে সরকারি ফাইলে স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন।’ লোপাট করা প্রকল্প যেন বৈধ করতে না পারে তাই অতি দ্রুত বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পরিবর্তন করে নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের দাবিও জানান তারা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঘণ্টাব্যাপী অপেক্ষা করেও যথাসময়ে অফিসে ঢুকতে না পেরে পার্শ্ববর্তী হলিডে ইন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে এবং তার আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বর্তমান জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টায় অফিসে এসে দেখি অফিসের সড়কটি অবরুদ্ধ। পরে অবরোধকারীদের নেতৃত্বে কাজী মো. মজিবুর রহমান যে দাবি দাওয়া জানিয়েছেন, সে দাবিগুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা'র কাছে অবহিত করেছি। তবে অবরোধকারীরা কোন লিখিত অভিযোগ পত্র দেয়নি। মৌখিকভাবে যা যা বলেছেন, সে কথাগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করেছি। এদিকে সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর এড়াতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেলা পরিষদের চারপাশে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছেন।’