ঢামেকে লাশ খালাসে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: ঢামেকে লাশ খালাসে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

ছবি: ঢামেকে লাশ খালাসে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ খালাসের ক্ষেত্রে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেডিকেলের নতুন ভবনের মর্গের ক্লিনার মো. খোকন মৃতের আত্মীয়দের কাছে দশ হাজার টাকা করে দাবি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিম।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক মাহিন সরকার ও মেডিকেল টিমের সদস্য নাহিদা বুশরাসহ উপস্থিত নেতারা এই অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

তারা জানান, মরদেহ খালাসের ক্ষেত্রে মৃত্য সনদের উপর পুলিশ কেস দেখিয়ে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দাবি করছিলেন খোকন। টাকা না দিলে থানা থেকে অনুমোদন নিয়ে আসার কথা বলে হয়রানি করা হয় বলেও জানান তারা।

তবে ক্লিনার খোকন এসব কথা অস্বীকার করেছেন। মর্গের বাইরের কেউ এভাবে টাকা চাইতে পারে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দুইজন মৃতের আত্মীয়দের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।

গতকাল দেয়াল থেকে পড়ে মাথা আহত হন শাহজালাল নামে মিরপুরের এক বাসিন্দা। আজ ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিতসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার লাশ নিতে গেলে খোকন ১০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন মৃতের আত্মীয় মো. ফারুক। পরে এক ডাক্তারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে খোকন ৮ হাজার টাকায় রাজি হন বলেও জানান তিনি।

আগুনে পুড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আজ মারা গিয়েছেন ১৭ বছরের শিক্ষার্থী সাকিব। তার লাশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও ১০ হাজার টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের বাবা।

এই দুটি মরদেহের মৃত্যসনদে ‘পুলিশ কেইস’ উল্লেখ করে একটি সিল মারা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই মৃত্যুসনদে সিল মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আত্মীয়রা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক মাহিন সরকার জানান, এখন কোনো পুলিশের কার্যক্রম নেই। তবুও কেন পুলিশের নামে স্বাক্ষর করা হলো? তারা এভাবে মরদেহ আটকে রেখে ব্যবসা করছে।

বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে অবহিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে পরিচালকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসেন সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই এমন কথা শুনছি। তবে কখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযুক্তরা লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের একটি অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে এই অনুসন্ধানের অগ্রগতি বা তৎপরতা নিয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, অভিযোগকারীগণ এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নেবেন বলে জানিয়েছেন।