জামালপুরে জেলা কারাগারে বন্দিদের বিদ্রোহ, অগ্নিসংযোগ ও ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টার ঘটনায় ৬ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কারাগারের ১৪ কারারক্ষী এবং ৫ কারাবন্দী আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পিতার নাম জানা গেলেও বাকি তিনজনের পিতার নাম জানা যায়নি।
নিতহরা হলেন, জামালপুর সদর থানার ফাহিম মিয়ার ছেলে আরমান মিয়া, মাসুদ মিয়ার ছেলে শ্যামল, নুরুল ইসলামের ছেলে জসিম মিয়া এবং রায়হান, ফজলে রাব্বি বাবু, রাহাত। আর কারাগারে বাকি বন্দীরা সুস্থ ও ভালো আছে।
বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন, জামালপুর জেল সুপার আবু ফাত্তাহ।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকে গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দিদের বিক্ষোভের খবর শুনতে পান জামালপুর জেলা কারাগারের বন্দিরা।
এরইমধ্যে ছাত্র ও রাজনৈতিক মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি দিলে সেখানে থাকা বন্দিরাও মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ বিদ্রোহ শুরু করেন।
পরে কারাবন্দিরা তাদের থাকার জায়গায় আগুন দিয়ে একটি ফটক ভেঙে ফেলেন। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন।
জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বার্তা২৪.কম-কে জানান, 'বৃহস্পতিবার আসামিরা দুই ভাগে বিভক্ত হন। তাদের একটি পক্ষ মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করেন। পরে দুই পক্ষ মারামারি শুরু করেন। পরে ওই বিদ্রোহী গ্রুপ প্রথম ফটক ভেঙে কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এসময় দ্বিতীয় ফটক খুলে দেওয়ার জন্য জেলার আবু ফাতাহ ও করারক্ষীদের ওপর আক্রমণ করেন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কারারক্ষীদের পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে অবস্থান নেন।'
তিনি আরও বলেন, 'ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত ছয়জন কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আমিসহ অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছি।'