তিনদিনে টেকনাফ উপকূলে ভেসে এলো ৪৪ রোহিঙ্গার মৃতদেহ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: উপকূলে ভেসে এলো রোহিঙ্গার মৃতদেহ/বার্তা২৪.কম

ছবি: উপকূলে ভেসে এলো রোহিঙ্গার মৃতদেহ/বার্তা২৪.কম

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী ও সাগর তীরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবিতে আরও ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ায় দুটি ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে নয়টি মৃতদেহ ভেসে আসে। এ নিয়ে গত তিনদিনে টেকনাফ উপকূলে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় ৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এসব মৃতদেহ বিজিবির তত্বাবধানে স্থানীয় লোকজন তাদের দাফন সম্পন্ন করেছে।

সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ সালমান বলেন, বৃহস্পতিবার শাহপরীর দ্বীপের তিনটি পয়েন্টে নয়জনের মৃতদেহ ভেসে আসে। তাদের পাঁচজন পুরুষ, দুইজন নারী ও দুইজন শিশু। বিজিবির উপস্থিতিতে আমরা কয়েকজন যুবক মিলে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ধর্মীয় রীতি মেনে দাফন সম্পন্ন করেছি। এর আগের দুইদিন আমরা ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে দাফন শেষ করেছি।

বিজ্ঞাপন

বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ইউনিয়নের সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, আমার এলাকার মারিশবনিয়া ও বড়ডেইল থেকে একজন পুরুষ ও দুইজন নারীর মৃতদেহ ভেসে আসে। গত দুই দিনেও বাহারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার মৃতদেহ ভেসে আসে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় গত তিনদিনে যে মৃতদেহগুলো ভেসে আসছে। এবং সেগুলো স্থানীয়দের মাধ্যমে তাদের দাফন করা হয়েছে। সীমান্তে মিয়ানমার পরিস্থিতিতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা ও জেলে মোহাম্মদ হাসান বলেন, মিয়ানমারের গত কয়েকদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে চারটি নৌকা ডুবেছে বলে জেনেছি। এসব নৌকায় প্রায় একশত মতো রোহিঙ্গা থাকতে পারে। তাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। এদের মধ্যে তিনদিনে ৪৪ জনের মৃতদেহ ভেসে আসলেও বেশিরভাগ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে জান্তা সমর্থিত বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত চলছে। বিশেষ করে রাখাইনের মংডু এলাকায় গত পাঁচদিন ধরে দুই বাহিনীর মধ্যে মর্টার শেল ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। গত তিনদিনে রোহিঙ্গাদের নৌকার ডুবির ঘটনা ঘটলেও বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।