যশোর শহরের চিত্রার মোড়ে অবস্থিত ১৪ তলা ভবন জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল অনুমান ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
যশোর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর জরুরি কল সেন্টার থেকে জানানো হয়, জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এই মুহুর্তে হতাহতের সংখ্যা বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, জাবির হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। এছাড়া আহত প্রায় শতাধিক।
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করতে দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। তাদের কাজে সহোযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীরাও।
এদিকে বিকেল ৫টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা সমন্বয়ক রাশেদ খান জানান, বিজয় মিছিল নিয়ে আমরা চিত্রার মোড় অতিক্রম করার সময় আমাদের মিছিলের পেছন থেকে কিছু দূর্ব্ত্তরা এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের ছাত্র সমাজের কেউ এমন নাশকতার সাথে জড়িত নয় এবং এর আগেও তারা কোন নাশকতা করেনি।
সকল দলের অংশ গ্রহণে সুষ্ঠ, অবাদ ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ না ফেরা পর্যন্ত অর্ন্তবর্তীকালীন ইউনূসের সরকারকে সময় দিতে চায় জামায়াত। বেশিও না, কমও না ঠিক যতটুকু প্রয়োজন তত টুকুও সময় দিবে দলটি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাইবান্ধার হোটেল আর রহমানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে গাইবান্ধার শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন তা দেওয়া হবে। এখন যে পুলিশ, ডিসি, এসপি, এসআই প্রশাসনে যারা বসে আছেন, ভোট ডাকাতে যারা সহযোগিতা করেছে তারা এখনো যায় নাই। পনেরো বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করা লাগবে। ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে শেষ করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের আইন বদলাতে হবে, সংস্কার করতে হবে। দলবাজ, সরকারি পদে থেকে যারা আ.লীগ করেছিলো তাদেরকে সরাতে হবে। এই দ্রুততম সংস্কারের কাজগুলো করতে যতটুকু সময় লাগে যতটুকু সময় দিতে জামায়াতে ইসলামী রাজি আছে। এটার জন্য কোনো মাস, দিন, ঘণ্টা আমরা বেঁধে দিতে পারিনা। তবে আমরা বলেছি এটা যেন খুব লম্বা সময় না হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, একমাসও হয়নি অনেকেই বলছেন ভোট দেন ভোট দেন ভোট দেন। এখন ভোট দিলেতো ওই ভোটেই হবে। ভোট দিতে যখন যাবেন পথে আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বাঁধা দিবে। আর পুলিশ বলবে ভোট হয়ে গেছে।
গ্রহণযোগ্য ভোটের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তারা এই সরকারকে সহযোগিতা করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
এসময় শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গাইবান্ধার ছয় শহীদ পরিবারের সব সময় খোঁজ-খবর রাখতে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দেন সেক্রেটারি জেনারেল। এছাড়া শহীদ পরিবারের প্রত্যেকের হাতে নগদ একলাখ করে টাকা তুলে দেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
গাইবান্ধা জেলা জামাতের সেক্রেটারী মাওলানা জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ডা.আব্দুর রহিম, বর্তমান আমির ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সালেকিন। এ সময় গাইবান্ধার জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাসহ দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর করা হবে।
বন্যার পানিতে ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে যাওয়া লক্ষ্মীপুরের ৫ কিলোমিটার রাস্তা নিজেদের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এ কাজে স্থানীয় ১৬ টি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই শতাধিক কর্মী স্বেচ্ছায় শ্রম বিলিয়েছেন বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বটতলী- কচুয়া সড়কের বটতলী থেকে দত্তপাড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি ৫ কিলোমিটার ইট-কংকর-বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
জানা যায়, সাম্প্রতিক বন্যায় এ সড়কটি পানির নীচে তলিয়ে যায়। পরবর্তীতে পানি কমতে থাকলেও সড়কটির শতাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে নোয়াখালী জেলার চাটখিল, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সাথে চন্দ্রগঞ্জ থানার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বন্যারপানি কমতে থাকলেও সড়কে বড় বড় খানা খন্দকের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে এই এলাকার হাটবাজার গুলোতে পন্য পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত বিঘ্নিত হতে থাকে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য ওই এলাকার সৈয়দপুর অনলাইন ফাউন্ডেশন,সৈয়দপুর ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সংঘ,আলোকিত দক্ষিণ মাগুরী, পদ্ম পুকুরপাড় ফাউন্ডেশন সহ ১৬ টি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের সেচ্ছাসেবিরা সড়কের গর্তে ইট ও বালু ফেলে যানচলাচলের ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় পদ্মপুকুর পাড় ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল আলম সবুজ বলেন, এই সড়কের কারণে থানা এলাকার তিন লাখ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করার কারণে আমরা স্বেচ্ছাসেবিরা সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করেছি।
সৈয়দপুর ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবিরা ইট ও বালুদিয়ে সড়কের গর্তগুলো মেরামত করেছি এতে আমাদের স্বেচ্ছা শ্রম ছাড়াও প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। ১৬ টি সংগঠন মিলে এই টাকা সংগ্রহ করে ব্যয় করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সৈয়দপুর অনলাইন এক্টিভিটিস ফোরামের সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আমরা ১৬ টি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী এ সড়কটির মেরামত কাজ করেছি। আমাদের সাথে পুনিয়া নগর মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরাও অংশ নিয়েছেন।
সড়কটি মেরামত করার ফলে এই এলাকার মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমাতে গিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। সরকারের হয়ে এই হত্যাকাণ্ডে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ। গুলি চালিয়েছে প্রকাশ্যে। এতে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার লাশের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, আন্দোলন দমাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। সরকারের হয়ে কিছু সুবিধাভোগী কর্মকর্তার কারণে পুলিশের শতশত সদস্যের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছিলো। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে ৪৪ সাধারণ পুলিশ সদস্যের প্রাণ যায়। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় শতশত পুলিশ সদস্যকে।
অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় প্রাণ যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগের কনস্টেবল সুজন মিয়ার। গত ৫ আগস্ট দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এর কিছু সময় পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তরুণ এই পুলিশ সদস্য। এরপর কেটে গেছে এক মাস। কেমন আছে সুজনের পরিবার?
জানতে খোঁজ নিয়েছিলেন এই প্রতিবেদক। জানলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে দিশেহারা সুজনের পরিবার। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী যেনো বাকরুদ্ধ। বেঁচে থাকলে আর মাত্র কয়েক দিন পরই দ্বিতীয় সন্তানের মুখ দেখতে পেতেন সুজন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারানো এই পুলিশ কনস্টবলের দেখা হলো না অনাগত সন্তানের মুখ।
কনস্টেবল সুজন কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার গোপালপুর এলাকার মো. বাছির মিয়ার সন্তান। তিন ছেলের মধ্যে সবার ছোট সুজন। তবে তিনিই ছিলেন পরিবারের ভরসা। বাবা বাছির মিয়া পেশায় কৃষক। বাবার যা আয় তা দিয়ে সংসার চলে না। বৃদ্ধ বাবার শেষ বয়সের সহায় হয়ে উঠেছিলেন সুজন।
বাছির মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৫ আগস্ট ছেলে আমাকে ফোন দিয়ে জানায় সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর কিছু সময় পরই মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমার দুই ছেলেকে ঢাকা পাঠাই। তারা অনেক কষ্ট করে উত্তরা এলাকায় যায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় লাশ গাড়িতে করে বাড়িতে এনে দাফন করি।
লাশ আনার সময়ে সেনাবাহিনী বলে দেয় কেউ যদি জিজ্ঞেস করে কার লাশ তাহলে পুলিশ সদস্যের লাশ সেটা বলা যাবে না। বলতে হবে, সাধারণ মানুষের লাশ, জানান বাছির মিয়া।
পাঁচ বছর আগে পুলিশে যোগ দেওয়া সুজন বিয়ে করেছিলেন একই উপজেলার জেরিন আকতারকে। তাদের সংসারে ১৮ মাসের এক সন্তান রয়েছেন। স্ত্রী জেরিন বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সুজনের বাবা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই পাইনি। পুলিশের লোকজন বাড়িতে এসেছিলো। তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এর বাইরে আর কোনো কিছুই হয়নি।
তিন সন্তান নিয়ে দিশেহারা এসআই খগেন্দ্রের স্ত্রী দীপা
সুজনের মতো দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজধানীর উত্তরায় নিহত হয়েছেন উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার। গত ৫ আগস্ট রাতে উত্তরা পূর্ব থানায় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার তিন দিন পর নানা প্রক্রিয়ার পরে রাজারবাগ থেকে মরদেহ বুঝে পায় তার পরিবার। নিহত খগেন্দ্র কিশোরগঞ্জ সদর থানার বিন্নাতি এলাকার জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে। আট ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন খগেন্দ্র। তিন সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলো তার পরিবার। হঠাৎই সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলো পুলিশের এই কর্মকর্তার পরিবারে। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরে মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে উত্তরা পূর্ব থানায় বদলি হয়ে যান খগেন্দ্র।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খগেন্দ্র চন্দ্র সরকারের স্ত্রী দীপা রায়ের সঙ্গে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে অজানা শঙ্কায় কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। বরং প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, কথা বললে কোনো সমস্যা হবে কি না।
স্বামীর সঙ্গে শেষ কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে দীপা বলেন, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় তিন ফোন দিয়েছিলো। জানালো ভালো আছি। উত্তরায় কোনো সমস্যার কথা আমাদের জানায়নি। এরপর রাতেই মৃত্যুর খবর পাই।
খগেন্দ্রের তিন সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণি, মেঝো মেয়ে দশম শ্রেণি ও ৬ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে দীপা বলেন, যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আমার স্বামী তেজগাঁও থানায় ছিলো। তিনি কিছুদিন আগে উত্তরা পূর্ব থানায় বদলি হয়ে যায়। তার সব কাগজপত্র তেজগাঁও ডিসি অফিসে ছিলো। ডিসি অফিসেও তো হামলা হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলেছে। সেখানে আমার স্বামীর কাগজ ছিলো। এজন্য পেনশনের কাজেও দেরি হবে।
স্বামী নিহতের ঘটনায় মামলা করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পেটে নাই ভাত। মামলা করবো কি দিয়ে। আমাদের এখন খাদ্য দরকার।
দীপা আরও বলেন, আমার যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। এটা আর কোনো দিন ফিরে পাবো না। আমাদের খবর কেউ রাখেনি। তিনটা সন্তান নিয়ে কিভাবে বাঁচবো। যার আয়ে পরিবার চলে সেই তো এখন নেই। তাহলে বুঝতে পারছেন কিভাবে চলছি।