বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় ৫ জন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট। এতে আওয়ামী লীগের তিন নেতার পাশাপাশি ১৪ দলের শরিক দুই নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার (০২ আগস্ট) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দলের তিন নেতাকে দায়িত্ব দেন। এই আলোচনায় ১৪ দলের নেতাদেরও যুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের তিন নেতা হচ্ছেন– দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। আর ১৪ দলের পক্ষে যুক্ত হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
পাঁচ নেতার এই প্রতিনিধি দলটি শনিবার দিনভর এ নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেছেন তারা। আর আওয়ামী লীগের তিন নেতা সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এরই মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। শনিবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।’
সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটি ১৪ দলের দুই শরিক নেতা রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুকে যুক্ত করে সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি শুরু করেন। শনিবার সকালে মেননের ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসায় বৈঠকে বসেন পাঁচ নেতা। এ সময় মেনন ও ইনু আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনার সময় ও স্থান নির্ধারণের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। বৈঠকে মেনন ও ইনু উভয়েই সমন্বয়কদের সঙ্গে যে কোনো আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন বলেও জানান।