নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ইসির আবেদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার আবেদন জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ইসি। 

সোমবার (২০ নভেম্বর) এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ সচিব আতিয়ুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর প্রেরণ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ১৫ নভেম্বর সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর আওতায় আচরণ বিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর হতে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নিম্নরূপভাবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। 

সেখানে আরও বলা হয়, নূন্যতম প্রতি ৩টি ইউনিয়নের জন্য ১ জন, দূর্গম (পার্বত্য এলাকাসহ) ও দূরবর্তী প্রতি ২টি ইউনিয়নের জন্য ১ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন। এছাড়া প্রতি পৌরসভার জন্য ৩ জন, বৃহৎ পৌরসভার ক্ষেত্রে ৪ জন, সিটি কর্পোরেশন এর প্রতি ৪-৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য ১ জন করে দায়িত্বে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ প্রতি ৩ ওয়ার্ডের জন্য ১ জন থাকবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ইসির চিঠি

চিঠিতে আরও বলা হয়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যতীত সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জোনে/এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা যাবে। যেসব উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত নেই সেসব উপজেলা, বিভাগ/জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য হতে অথবা অন্যকোনো দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য হতে নিয়োগ দেয়া যাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

বর্ণিতাবস্থায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধি প্রতিপালনার্থে উপরের বর্ণনা মোতাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

   

সাবেক পু‌লিশ ও সেনা সদস্যের নেতৃত্বে ডাকাতি 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শ‌্যামপুর এলাকায় গোয়েন্দা পু‌লিশ (ডি‌বি) প‌রিচয়ে এক স্বর্ণ ব‌্যবসা‌য়ি‌র কাছ থেকে প্রায় ৪০ ভ‌রি স্বর্ণ ও তিন লাখ ৪৬ হাজার টাকা ডাকা‌তির সময় এক‌টি চক্রের চারজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএম‌পি)।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বরখাস্ত হওয়া পু‌লিশ সদস‌্য ও সেনাবা‌হিনীর সাবেক সদস‌্য জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃরা হলেন, মো. আলম (৬২), মো. আলমগীর হোসেন (৩৯), মো. পলাশ শেখ (৩৫), মো. সাব্বির হোসেন (৩৪)। তাদের মধ্যে মো. আলম বরখাস্তকৃত পু‌লিশ সদস‌্য ও মো. আলমগীর হোসেন সেনাবা‌হিনীর সদস‌্য বলে প‌রিচয় দেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএম‌পি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ‌্য জানা‌ন অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ ক‌মিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ. ম ম‌হিদ উ‌দ্দিন।


ম‌হিদ উ‌দ্দি্ন বলেন, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা বাজারের জ্যোতি জুয়েলার্সের মা‌লিক তপন কুমার সাহা (৪২)। তি‌নি ঢাকার তাঁতী বাজার তার মামা প্রাণতোষ কর্মকারের 'রাজকোট বুলিয়ন এন্ড জুয়েলার্স' প্রতিষ্ঠান থেকে স্বর্ণ ও মালামাল কিনে নিজের প্রতিষ্ঠান ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা নিয়ে যায়।

গতকাল ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে তিনি ফরিদপুর থেকে ঢাকা তাতী বাজার আসেন এবং অর্ডারের ৩৮ দশ‌মিক ৯৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং মামার কাছ থে‌কে ধার হিসেবে ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা এক‌টি হাত ব্যাগে নিয়ে তার ফরিদপুর যাওয়ার জন্য পোস্তগোলার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে রওনা হন। পথে শ্যামপুর থানার ঢাকা মাওয়া রোডে পোস্তগোলা ব্রীজের পূর্ব পাশের ঢালে পৌছালে কেরানীগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস হঠাৎ সিএনজির গতিরোধ করে। তারপর আসামিরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় এবং সিএনজি থেকে তাকে টেনে হেচড়ে মাইক্রোতে উঠিয়ে নেয় এবং তার হাত পা ও চোখ বাধার চেষ্টা করে।

সে বাধা দিলে তাকে কিলঘুষি মেরে আহত করে। এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার নিকট থেকে স্বর্ণালংকর ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ এবং ২টি মোবাইল কেড়ে নেয়।

ভুয়া ডি‌বি সদস‌্যদের আটক করার প্রক্রিয়া জা‌নি‌য়ে তি‌নি আরও ব‌লেন, আসামিরা গাড়িটি নিয়ে ঢাকার দিকে যেতে থাকে। কিছু দূরে যাওয়ার পরেই রাস্তায় যানজটে গাড়িটি ঘুরি‌য়ে উল্টাপথে আসার সময় কর্তব্যরত সার্জেন্ট গাড়িটি সিগন্যাল দিয়ে থামায় এবং গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায়।

তখন পলাতক আসামি মাসুদ সার্জেন্টের কাছে নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দেয়। অপহৃত ব‌্যক্তি তপন কুমার তখন পুলিশকে দে‌খে চিৎকার দিলে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। এস ময় শ্যামপুর থানার পুলিশের টহল টিম ঘটনাস্থলে আসলে ডিউ‌টিরত সার্জেন্ট অন্যান্য সার্জেট, টিআই এবং পুলিশসহ শ্যামপুর থানা পুলিশ মিলে আসামিদের আটক করেন।

আটককৃতদের কাছ থে‌কে সর্বমোট ৩৮ দশ‌মিক ৯৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং ৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

স্বাদু পানির সংকট চরমে, কলস নিয়ে প্রতিবাদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরা ও এর আশেপাশের উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ স্বাদু পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। সাম্প্রতিক সময়ে এসব অঞ্চলে নিরাপদ পানির প্রধান উৎস গভীর নলকূপ থেকেও চাহিদামত পানি পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। সুপেয় পানির অন্য উৎসগুলোয় লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা।

বর্ষা মৌসুমে নানা উপায়ে বাড়িতে বাড়িতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা গেলেও সম্প্রতি শীতের আগমনে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এসব রিজার্ভ ট্যাংকে সংগৃহীত পানিও ফুরিয়ে এসছে। এছাড়া পুকুরের পানিও তলানীতে ঠেকেছে। এমতাবস্থায় সুপেয় স্বাদু পানির অভাবে হাহাকার দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরায়। পানির জন্য কলসি নিয়ে মাইলের পর মাইল হেটেও পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। সাধারণত শীতের মৌসুম থেকে বর্ষা আসার আগ পর্যন্ত একটা লম্বা সময় এই দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় উপকূলের সাধারণ মানুষকে।

সংকট নিরসনে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি করে আসছেন উপকূলবাসী। নিরাপদ পানির বিকল্প উৎস খোঁজতে কাজ করছে বিভিন্ন বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।

নিরাপদ ও সুপেয় পানির দাবিতে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকা হরিশখালিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় কলস নিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের হরিশখালিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, স্থানীয় সরকার, যুব সংগঠন কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম (এসএসএসটি) ও উপকূলীয় শিক্ষা বৈচিত্র্য উন্নয়ন সংস্থা (সিডিও) জলবায়ু সংকটে উপকূলীয় কলসবন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শ্যামনগর এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকে। এর মধ্যে বর্ষা মৌসুমের পরবর্তীকালীন সময়ে শুরু হয়ে যায় স্বাদু পানির চরম সংকট। দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার চারদিক লবণ পানি দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় পান করার উপযোগী না হলেও অনেকটা বাধ্য হয়ে এলাকার অনেকে মৃদু লবণ পানি পান করে থাকে। ভূ-পৃষ্ঠের সুপেয় পানির উৎসগুলো বাড়াতে সরকারি উদ্যোগে পুকুর খননসহ এ অঞ্চলের সমস্যা সমাধান করা জরুরি।

স্থানীয় নারীরা জানান, অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। দস্তার কলসে দূর থেকে এই পানি সংগ্রহ করার ফলে আমরা কোমরে ব্যথা, মাজার হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, কিডনির সমস্যাসহ অনেক রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকি। বাধ্য হয়ে লবণাক্ত পানি পান করায় আমাদের আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। অতি লবণাক্ত পানির ব্যবহারের ফলে শিশু ও নারীদের চর্মরোগ, স্ক্রীন কালো হওয়া, গর্ভপাত, অপরিপক্ক সন্তান জন্ম, প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম, জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যাসহ ক্যান্সারেরমত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তারা বলেন, পানি কোন পণ্য নয় এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার। নারীদের গোসল থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেচরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নিরাপদ পানি আমাদের প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার। তবে আমরা কেন এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হই। আমরা এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।

মানববন্ধনে মনন্ঞ্জয় মণ্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহিলা ইউপি সদস্য ফরিদা খাতুন, আজমুননাহার বেগম, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুদা মালি, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের রাইসুল ইসলাম, সিডিও ইয়থ টিমের সদস্য শাহিন হোসেন, এসএসএসটি যুব টিমের মো. সাইদুল ইসলাম, বারসিক এর বরষা গাইন, লিপিকা গাইন, মুকুন্দ ঘোষ প্রমুখ।

;

প্রার্থীদের ভিড় নেই ডিসি কার্যালয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম। ঢাকা জেলার ৫টি আসনের মনোনয়ন ফরম ও দাখিলের জন্য রয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢাকা জেলার প্রশাসক।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নেই প্রার্থীদের দেখা। দুপুর পর্যন্ত মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ঢাকা জেলার ৫টি আসনে ৩৯জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। 

ঢাকা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে মাত্র ১জন প্রার্থী এসে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। বাংলাদেশ কংগ্রেস দল থেকে ঢাকা-১৯ আসনে অ্যাডডভোকেট মিলন কুমার ভঞ্জ মনোনয়ন নিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রার্থীরা তাদের অনুসারীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে বেশি জমা দিচ্ছেন। পুরান ঢাকার জ্যামের কারণে অনেকে আসতে চান না। অনেক প্রার্থী এখান থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন কিন্ত জমা দিয়েছেন তাদের উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। কাল যেহেতু শেষ দিন আজ বিকেলে বা আগামীকাল প্রার্থীরা আসবেন।

জানা যায়, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঁচটি আসনের মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এর মধ্যে— ঢাকা ১, ঢাকা ২, ঢাকা ৩, ঢাকা ১৯ ও ঢাকা ২০ নির্বাচনী আসন রয়েছে। যা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে।

;

পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করে মাটিচাপা, ঘাতক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘাশুর পশ্চিম পাড়া এলাকার সিংহ নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সংস্থাটি বলছে, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার পরকীয়া প্রেমিকার পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরবর্তীতে ঘাতকরা সিংহ নদীতে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

হত্যা ও লাশ গুমে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তারা হলেন-আঁখি আক্তার (২৪) ও আলাল মোল্লা (৩৫)। এই ঘটনায় আঁখির স্বামী ওমর ফারুক আগেই থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

গ্রেফতার দুই আসামি রুমান শিকদারকে (৩৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। নিহত রুমান শিকদার একই এলাকার আবু শিকদারের ছেলে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা এ তথ্য জানান।


ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার কুদরত বলেন, ঘাতক আঁখি আক্তার ও নিহত রোমান শিকদার প্রতিবেশী। আঁখির স্বামী ওমর ফারুক প্রবাসী। এই সুযোগে প্রতিবেশী রুমানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আঁখি। বিদেশ থাকাবস্থায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে দেশে চলে আসেন ওমর ফারুক। দেশে এসে আঁখিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে দুই স্বজনদের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করে আঁখি ও ওমর ফারুক সংসার শুরু করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই আঁখি আবারও রুমানেরব সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে রুমানের হাত ধরে পালিয়ে অন্যত্র কিছুদিন বসবাস করেন আঁখি। পরবর্তীতে ফারুক অনেক খোঁজাখুঁজির পর আঁখি ও তার প্রেমিক রুমানের সন্ধান পায়। পরে স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা রুমানকে তার প্রেমিকা আঁখিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুমান তা অস্বীকার করেন। যার ফলে আঁখি আক্তার তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য স্বামী ফারুকের নিকট ক্ষমা চেয়ে সংসারে ফিরে যান। আঁখি আক্তার তাদের বাসাভাড়া করে থাকা ও পরকীয়ার বিষয়টি রুমানকে গোপন রাখতে অনুরোধ করেন। রুমান অনুরোধ উপেক্ষা করে বিষয়টি এলাকায় বিভিন্ন জনের কাছে বলাবলি করে আসছেন। আর এতে আঁখি ও ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে রুমান হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের ২২ মার্চ গভীর রাতে মোবাইলে আঁখি আক্তার প্রেমিক রুমানকে ঘরে ডাকে। এরপর কথা বলার একপর্যায়ে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে রুমানকে আঘাত করে হত্যা করেন আঁখি ও তার স্বামী ফারুক। নিহতের লাশ বস্তাবন্দি করে গুমের উদ্দেশে প্রতিবেশী আলাল মোল্লার সহযোগিতায় বাড়ির পাশের সিংহ নদীতে লাশটি মাটিচাপা দিয়ে দেয়।

যেভাবে লাশ উদ্ধার ও পরিচয় নিশ্চিত

রুমনকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার এক মাস পর চলতি বছরের ২১ মে সিংহ নদীতে নদী খননের কাজ চলার সময়ে নদীতে কাদামাটি কাটার সময়ে ভেকুতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির কঙ্কাল উঠে আসে। বিষয়টা স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জানালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ কঙ্কালের সঙ্গে একটি অস্পষ্ট নেভীব্লু রংয়ের শার্টের অংশ বিশেষ পায়। কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা গিয়ে প্রাথমিকভাবে কঙ্কালের সঙ্গে থাকা নেভি ব্লু রংয়ের শার্টের অংশবিশেষ দেখে এটি রুমানের বলে দাবি করেন।

পরবর্তীতে উপপরিদর্শক (এসআই) মাইদুল ইসলাম কঙ্কালের সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য কঙ্কালটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি এসআই মাইদুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৫ মাস থানা পুলিশ তদন্ত শেষে দায়িত্ব পায় পিবিআই। গত আগস্টের ২২ তারিখ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই'র ঢাকা জেলার একটি দল।

এর আগে কঙ্কাল উদ্ধারের পর নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন। পরবর্তীতে নিহতের মেয়ে নুছরাত (১২) ও ছেলে সাইফের (৬) ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষায় রুমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

;