যা থাকছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রাজুয়েশন আয়োজনে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রূপপুর (পাবনা)
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি : সংগৃহীত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাহেন্দ্রক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে দুপুর ঠিক আড়াইটায়। তখনই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি হস্তান্তরের সার্টিফিকেট ও মডেল প্রদানের করা হবে।

তারপরেই (ভার্চুয়াল) কথা বলবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর সবার শেষে কথা বলবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রাজুয়েশনের এ আয়োজনে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভার্চুয়ালি যুক্ত হলেও সশরীরে থাকছেন দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। এ জন্য প্রকল্প এলাকার বায়েক অফিস সংলগ্ন খোলা মাঠে বিশাল প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। বৃষ্টি যাতে বাগড়া দিতে না পারে সেভাবেই এই প্যান্ডেলের ডিজাইন করা হয়েছে।

সামিয়ানার নিচে পাঁচ শতাধিক আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে বসে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ভার্চুয়াল বক্তব্য শোনা এবং দেখার ব্যবস্থা থাকছে।

বিশাল আয়তনের পরমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে বসানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ছবি। রয়েছে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। সঙ্গে স্বারক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ চুক্তির ছবিও।

পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বাদ যায়নি মূল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাইরে মহাসড়কও। সব মিলিয়ে সাজ সাজ বর চলছে প্রকল্প এলাকায়। সফল পরিণতিতে খুশির আমেজ বিরাজ করছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

দেড়টার মধ্যে আমন্ত্রিত অতিথিদের আসন গ্রহণের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুর ২ টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুরুতেই প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরবেন পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর।

এরপরেই থাকছে পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ব্যাচের হস্তান্তর সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন।

আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা পর্বে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আলী হোসেন। এরপর ভার্চুয়াল সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করবেন আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশন (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি। বক্তৃতা করবেন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।

সভাপতির বক্তব্য রাখবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রীর বক্তব্যের শেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ
পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তরের সার্টিফিকেট ও মডেল প্রদান। অনুষ্ঠান সূচিতে ২.২৯ টায় রাখা হয়েছে মডেল হস্তান্তর কার্যক্রম।


রাশিয়ার পক্ষ থেকে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের হাতে সার্টিফিকেট ও মডেল তুলে দেবেন। এরপর দুপুর ২.৪৪ টায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সবশেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একদিন আগেই বুধবার (৪ অক্টোবর) গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

তিনি বলেন, আমরা বলতে পারি রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের চিত্র বদলে দেবে। বাংলাদেশ যে পারে সেটি আবারও প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটি জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে। এরমধ্যদিয়ে নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩ সদস্য গর্বিত সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানির নাম ইউরেনিয়াম। বিশ্বের শক্তিশালী পদার্থের অপর নামও ইউরেনিয়াম। এটি দিয়ে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেমন ভয়ংকর পরমাণু বোমা তৈরি যায়, তেমনি বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবেও বহুল প্রচলিত।

তেল, গ্যাস কিংবা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে তাতে কমবেশি কার্বন নিঃসরণ অবধারিত। তবে পরমাণু বিদ্যুতে সেই দুষণ প্রায় শূন্যের কোঠায়। বর্তমানে পৃথিবীর ৩০টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো থেকেউৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ মোট উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় ১২ শতাংশ। ১৪টি দেশে আরও ৬৫টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।

২০২৫ সাল নাগাদ ২৭টি দেশে ১৭৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইউরেনিয়াম বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন করা হয়। সেই তাপ থেকে জলীয় বাষ্পের সহায়তায় জেনারেটর ঘুরিয়ে সৃষ্টি হয় বিদ্যুৎ। এক কেজি ইউরেনিয়াম প্রায় ১০০ টন কয়লার সমান তাপ উৎপাদনে সক্ষম। আর একই পরিমান তাপ তেলে উৎপাদন করতে হলে ৬০ টন ডিজেল প্রয়োজন হবে। যে কারনে সহজে পরিবহনযোগ্য বিবেচনা করা হয়।

এই জ্বালানি একবার লোড করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ১৮ মাস বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।একই পরিমান বিদ্যুৎ অন্য জ্বালানিতে পেতে হলে অনবরত সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হয়। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব হিসেবে পরিচিত এই বিদ্যুৎ।

রূপপুরের দুটি ইউনিট থেকে ১ হাজার ২ শ মেগাওয়াট করে ২ হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। চুক্তি অনুযায়ী রূপপুরের লাইফটাইমে (৮০ বছর) এটি সরবরাহ করবে রাশিয়া। তবে প্রথম তিন বছর এই জ্বালানি বিনামূল্যে সরবরাহ করবে দেশটি।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নকশা অনুযায়ী পুরো মেয়াদেই জ্বালানি আনতে হবে রাশিয়া থেকে। এজন্য অন্য আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে ইউরেনিয়ামে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রথম তিন বছরে যে জ্বালানি আসবে তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রথম পর্যায়ে একটি ইউনিটে ১৬৩টি ইউরেনিয়াম বান্ডিল সংযোজন বা লোড করতে হবে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে রূপপুরে নেওয়া হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জ্বালানি ইউরেনিয়াম রড। এর আগে রাশিয়ার একটি কারখানা থেকে একটি বিশেষ বিমানে করে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পারমাণবিক জ্বালানির এই চালান আনা হয়। রাশিয়ার নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) ওই জ্বালানি উৎপাদিত হয়।

   

শনিবার বেগম রোকেয়া দিবস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেগম রোকেয়া

বেগম রোকেয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

বেগম রোকেয়া দিবস আগামীকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর)। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়ার অবদান ও নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামীকাল বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ প্রদান উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরাবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখায় এবছর পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেয়া হচ্ছে।

পদক প্রাপ্ত পাঁচ জন বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডাঃ হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক প্রদান করবেন।

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এই উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও নিবন্ধ প্রচার ও প্রকাশ করবে। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বিতরণ ও স্থাপন করা হবে।

;

সাতক্ষীরায় সাকিব মেমোরিয়াল ক্লিনিকে আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় সাকিব মেমোরিয়াল ক্লিনিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্লিনিকটিতে আগুন লাগে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কলারোয়া থানা পুলিশ জানায়, ক্লিনিক ভবনের পাশের কেরোসিন ডিজেল তেলের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে তারা। সেখান থেকে আগুন ক্লিনিক ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ জানায়, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ক্লিনিকে অবস্থানকারীরা বেরিয়ে যায়। এ জন্য হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;

'শেখ হাসিনাকে জনগণ চায়, এজন্য বিএনপি ভয় পেয়ে গেছে'



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, 'হাসিনার সাথে কেউ নির্বাচনে এসে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনাকে জনগণ চায়। এজন্য এরা (বিএনপি) ভয় পেয়ে গেছে। কারণ তারা দেখেছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। তারা মানুষের কথা বলে না। মানুষের গায়ে যেগুলো লাগে, সেগুলো নিয়ে কথা বলে না। তারা বুঝে তাদের নেত্রীকে জেল থেকে বের করতে হবে।' 

মন্ত্রী বলেন, 'তাদের নেত্রীকে শেখ হাসিনার সরকার জেলে পাঠায়নি। তাদের প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার জেলে পাঠিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারবো না।' 

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এসব নিয়ে তাদের (বিএনপির) মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। তারা শুধু তাদের মুরব্বীকে খুশি করতে চায়। এদেরকে কেউ কী মানুষ বলে? এরা তো অমানুষ। এতো মানুষ মারা যাচ্ছে, সব ধরণের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠছে। কিন্তু এরা একটি কথাও বলে না' ।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'কিছু বিপথগামী লোক নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কারণ তারা নির্বাচনে এলে ভোট পায় না। তারা ২০০৮ সালে নির্বাচনে গিয়ে ২৯টি আসন পেয়েছে। এরপর ২০১৮ সালে নির্বাচন করে ৭টি আসন পেয়েছে। তারা এবার হিসেব করে দেখেছে নির্বাচনে এলে কোনো ভোট পাবে না। তাই নির্বাচন বানচাল করতে চায়।' 

;

‘অযৌক্তিক চাপের’ অভিযোগে জাতিসংঘের মহাসচিবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘের মহাসচিব দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিশ্বের নানা প্রান্তের ‘অযথা, অযৌক্তিক, স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক চাপের’ মুখোমুখি হচ্ছে।

গত ১৯ নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট আর্ল কোর্টনে র‌্যাট্রের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এ চিঠিটি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অফিসে পাঠানো হয়।

চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের একজন ক্রুসেডার এবং তিনি দেশের মানুষের ভোট, খাদ্য ও সুন্দর জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু একইসঙ্গে বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো ও মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো তিনি সহ্য করবেন না, যা বিরোধী দল নিয়মিত করে আসছে।

মোমেন আরও লিখেছেন, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের মেয়াদে হাজারো নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, আঞ্চলিক নির্বাচন ও মেয়র নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। খুবই ছোটখাট কিছু ঘটনা ছাড়া সব নির্বাচনই ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানুষের সম্মান রক্ষায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে এসব মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে ‘অযাচিত, অযৌক্তিক ও আরোপিত রাজনৈতিক চাপের’ মুখোমুখি হচ্ছে।

চিঠিতে তিনি বলেন, আমরা আশা করব জাতিসংঘ ও তার সেক্রেটারিয়েট, সংস্থা ও স্থানীয় কার্যালয়গুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি উদ্যমী ও সহযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন সদস্য রাষ্ট্র। আমরা প্রবলভাবে আশাবাদী যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রগতি ও জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, জাতিসংঘ ও তার সব অঙ্গ সংগঠন ও সংস্থা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য অংশীদারের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। আমরা আরও প্রত্যাশা করব যে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পক্ষপাতহীনতা, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলে সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবে। যদি তাদের প্রতিবেদনগুলোতে ভুল তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকে এবং এগুলো যদি উপাত্ত-নির্ভর না হয়, তাহলে তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে, যা সংস্থাটির সামগ্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি এক অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

;