ভালুকায় বাঁধ নির্মাণে ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় দুই ফসলি জমিতে বাঁধ নির্মাণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণে কৃষকের ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) এ ঘটনায় উপজেলার নির্বাহী অফিসার বরাবর একাধিক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

লিখিত আবেদন অনুযায়ী জানা যায়, উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের নারাঙ্গী গ্রামের মৃত মহেশ চন্দ্র ঘোষের ছেলে পরেশ চন্দ্র ঘোষ, মৃত নৃপেন্দ্র চন্দ্র ঘোষের ছেলে দীলিপ কুমার ঘোষ, মৃত আহেদ আলীর ছেলে লোকমান আলী, তালুটিয়া গ্রামের আজগর আলী মুন্সির ছেলে শহিদুল্লাহসহ কয়েক কৃষক নারাঙ্গী মৌজার সাবেক ৬৪৪ নং দাগে বর্তমান ৬৭৬০, ৭৫৭৪ ও ৬৫৬১ নং দাগসহ অন্যান্য দাগের জমিতে আমন, বোর ধান ও অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ করে আসছিলো। কিছু দিন যাবত একই এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে লতিফুর রহমান শত্রুতার জেরে তার জমিতে বাঁধ নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়। এতে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়। 

ভুক্তভোগীরা জানায়, লতিফুর রহমানকে এ বিষয়ে বারবার বলার পরেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো তার রক্ষণাবেক্ষণ এক কর্মী জানায়, যদি তাদের কাছে অল্প দামে জমি বিক্রয় না করে তাহলে চলাচলের রাস্তাও বন্ধ করে দিবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে কৃষকদের হয়রানির হুমকিও দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

কৃষকদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে লতিফুর রহমান জানান, তিনি তার জমিতে পেঁপে বাগান করেছেন কোনো শত্রুতার জেরে পানি নিষ্কাশনের কাজ বন্ধ করা হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, লতিফুর রহমানকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার কথা বললে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ জানান, এ ঘটনায় কৃষকদের দেওয়া একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

   

প্রণোদনা পাচ্ছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের সোয়া ২ লাখ কৃষক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল (উফশী) ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ২ লাখ ২০ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রণোদনার আওতায় প্রতিজন কৃষককে এক বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য বীজ ও সার দেয়া হবে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ডিএই’র রাজশাহী অঞ্চলের আওতায় এবার রাজশাহীর ৬৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯, নওগাঁর ৮৮, হাজার ও নাটোর জেলার ৪৫ হাজার জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে ১ লাখ কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য ৫ কেজি উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ২ কেজি করে হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন ১ লাখ ২০ হাজার কৃষক।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এ অঞ্চলে সুুবিধাভোগী কৃষকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে উপজেলা ও জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি। কোথাও কোথাও নির্বাচিত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ চলছে। আবার কোথাও কোথাও সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট ‘কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত’থেকে এ প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ জানান, প্রণোদনা বিতরণ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ অঞ্চলে বিতরণ কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হবে। এতে উন্নত জাতের আবাদ ও উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দেশের অন্যতম উৎপাদনকারী ধান এবারও লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে উফশী ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের চাষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।

;

ইউনিডো’তে সরবরাহ শৃঙ্খলে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উৎপাদনশীল, স্থিতিস্থাপক ও টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল বিকাশে সদস্যরাষ্ট্রের সক্ষমতা জোরদার’ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগে উত্থাপিত প্রস্তাব জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা- ইউএনআইডিও কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

ভিয়েনার স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইউএনআইডিও’র ২০তম সাধারণ সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, ইউএনআইডিও’র ১৭২টি সদস্য রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান, মন্ত্রী ও উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে, যা সারা বিশ্বে উৎপাদক, শিল্প ও ভোক্তাদের প্রভাবিত করেছে।

স্থায়ী মিশন বলছে, প্রস্তাবটি ইউএনআইডিওকে বিভিন্ন দেশ ও অর্থনীতিকে সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা উন্নীত করতে সাহায্য করবে এবং তাদের ভবিষ্যতের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করবে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গত চার সপ্তাহের প্রচেষ্টায় সব সদস্য রাষ্ট্রকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত করতে সফল হয়েছে।

স্থায়ী মিশন আরও জানায়, বাংলাদেশের পেশ করা সাপ্লাই চেইন সংক্রান্ত প্রস্তাবটি একমাত্র গৃহীত হয়েছে। আরও দুটি প্রস্তাব ছিল, যা মেক্সিকো এবং নরওয়ে দ্বারা পেশ করা লিঙ্গ সমতা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এবং আর্মেনিয়া দ্বারা পেশ করা পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং বৃত্তাকার অর্থনীতির উপর আরেকটি প্রস্তাব। যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অবস্থান/দৃষ্টিভঙ্গির অমতের কারণে গৃহীত হয়নি।

 

;

তফসিল স্থগিত চাওয়া রিটের শুনানি রোববার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট শুনানি রোববার (৩ ডিসেম্বর)। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যবিষয়টি ১৪ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে।

এর আগে গত মঙ্গলবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী। বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়।

তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে।

এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।

;

হাঁসে ধান খাওয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী কবিরহাটে হাঁসে ধান খাওয়ায় আলেয়া বেগমকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের গুছিউল আলমের ছেলে আবু তাহের (৪৮) ও তার স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৪০)।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান। এর আগে, একই দিন দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বুধবার ২৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিহত আলেয়া বেগমের সাথে প্রতিবেশী রেজিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে হাঁসে জমির ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতনণ্ডা হয় । একপর্যায়ে রেজিয়া বেগমের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আলেয়া বেগমকে মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর পরই আলেয়া বেগম হত্যা মামলায় আসামিরা গা ঢাকা দেয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সুলতানা আক্তার বিউটি (২৯) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

;