জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরিশাল
জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল

জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনশীল, পৃথিবীতে শুরু থেকে তাই হয়ে আসছে। জলবায়ুর এই পরিবর্তন অধিক প্রভাব পড়ছে উপকূলীয় জেলা ও এর আশপাশের মানুষের উপর। যথাযথ স্থানীয় পরিকল্পনা ও পর্যাপ্ত বরাদ্দের সংস্থান হলে মোট ক্ষতির ৬০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব, বলছেন জলবায়ু কর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

সম্প্রতি সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন প্রান্তজন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট-ক্লিন ও এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এপিএমডিডি যৌথভাবে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে।

এসব সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বরিশাল শহরের বছরে (জীবন, জীবিকা ও সম্পদের) ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ কোটি টাকা। যা মোট মূল্য সংযোজন উৎপাদনের ৭ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে আপদ মৌসুমী বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়। এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ বছরে গড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ মিলিয়ন ডলার।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্রমাগত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া উন্নত দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন একটি সংকটপূর্ণ সময় পার করছে। উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমূহ হচ্ছে-কীর্তনখোলা নদীতে লবনাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙণের কারণে দারিদ্রতা ও বাস্তুচ্যুতি, সুপেয় পানির সংকট, অত্যাধিক গরম, অসময়ে অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি, জলবায়ু উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি, উপকূলীয় অঞ্চলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, দারিদ্রতা, বেকারত্ব, বাল্যবিবাহ, অপুষ্টি ও পানিবাহিত রোগের বৃদ্ধি প্রভৃতি। 

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বরিশালের সহকারী পরিচালক প্রিন্স বাহাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘উন্নত দেশে বিলাসী জীবনের দায় আমাদের নিতে হচ্ছে, কারণ পৃথিবী একটাই। আমরা সবাই মানুষ একই আলো-বাতাসে লালিত হই। তাই এ বায়ুকে যারা দূষিত করে তাদের এর দায় নিতে হবে। অদূর ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে এখনই সচেতন পদক্ষেপ না নিলে পৃথিবী হতে পারে জীবনের অস্তিত্ব শূন্য।

এপিএমডিডির সমন্বয়কারী লিডি ন্যাকপিল বলেন, ‘২০টি দেশ ও কয়েকটি ব্যাংক ২০২২ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেও ২০৩০ সালের মধ্যে যদি জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে তাহলে পৃথিবীর উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না।’ 

জলবায়ু পরিবর্তনে অস্তিত্বের সংকটে বরিশাল 

এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাতের মতো দুর্যোগের শিকার হয়ে মানুষ অভিবাসনে ধাবিত হচ্ছে। কৃষিতে লবণাক্ততা এবং বজ্রপাত এ অঞ্চলের এখন বড় ধরনের সমস্যা। অভিবাসনের কথা মাথায় রেখে প্রকল্পে পরিবর্তন এনেছে সরকার। অভিবাসনে পড়া গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছেন। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য যে মৌসুমী বন্যা, ঘূর্নিঝড় ও নদী ভাঙন হচ্ছে এতে বরিশালের মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আগামী দিনগুলোর জন্য আমাদের সচেতনতা জরুরী। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পরছে তা মোকাবিলায় আমাদের উদ্যোগী হতে হবে।’

   

পঞ্চগড়ে ইউএনও’র গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রকৌশলী নিহত, আহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড় শহরে যাওয়ার পথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে সড়কের পাশে খাদে পড়ে আবু সাইদ নামে এক উপজেলা প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। এ সময় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের চাওয়াই সেতু সংলগ্ন চেকরমারী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, নিহত আবু সাইদ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী। আহতরা হলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল আমিন, সহকারী প্রোগ্রামার নবিউল করিম সরকার।

স্থানীয় ও আহতরা জানান, তারা তেঁতুলিয়া বেড়াতে এসে রাতে তেঁতুলিয়া থেকে ইউএনও ফজলে রাব্বির সাথে তার সরকারি গাড়িতে করে পঞ্চগড়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের চাওয়াই সেতুর আগে চেকরমারী বাকে পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে রাস্তার নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান আবু সাঈদ। অন্যদের স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতলে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আল আমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু হোসেন।

ঘটনার পর আহত কর্মকর্তাদের দেখতে হাসপাতালসহ ঘটনাস্থলে ছুটে যান পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট।

অতিরিক্ত গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে ধারণা করছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বা প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি। গাড়িটি তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড়ের দিকে যাচ্ছিল। তবে ইউএনও মহোদয় সুস্থ্য হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

;

প্রণোদনা পাচ্ছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের সোয়া ২ লাখ কৃষক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল (উফশী) ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ২ লাখ ২০ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রণোদনার আওতায় প্রতিজন কৃষককে এক বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য বীজ ও সার দেয়া হবে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ডিএই’র রাজশাহী অঞ্চলের আওতায় এবার রাজশাহীর ৬৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৯, নওগাঁর ৮৮, হাজার ও নাটোর জেলার ৪৫ হাজার জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে ১ লাখ কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য ৫ কেজি উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ২ কেজি করে হাইব্রিড জাতের বীজ পাবেন ১ লাখ ২০ হাজার কৃষক।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এ অঞ্চলে সুুবিধাভোগী কৃষকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে উপজেলা ও জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি। কোথাও কোথাও নির্বাচিত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ চলছে। আবার কোথাও কোথাও সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট ‘কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত’থেকে এ প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ জানান, প্রণোদনা বিতরণ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ অঞ্চলে বিতরণ কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হবে। এতে উন্নত জাতের আবাদ ও উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দেশের অন্যতম উৎপাদনকারী ধান এবারও লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে উফশী ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের চাষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।

;

ইউনিডো’তে সরবরাহ শৃঙ্খলে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উৎপাদনশীল, স্থিতিস্থাপক ও টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল বিকাশে সদস্যরাষ্ট্রের সক্ষমতা জোরদার’ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগে উত্থাপিত প্রস্তাব জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা- ইউএনআইডিও কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

ভিয়েনার স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইউএনআইডিও’র ২০তম সাধারণ সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।

অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, ইউএনআইডিও’র ১৭২টি সদস্য রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান, মন্ত্রী ও উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে, যা সারা বিশ্বে উৎপাদক, শিল্প ও ভোক্তাদের প্রভাবিত করেছে।

স্থায়ী মিশন বলছে, প্রস্তাবটি ইউএনআইডিওকে বিভিন্ন দেশ ও অর্থনীতিকে সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা উন্নীত করতে সাহায্য করবে এবং তাদের ভবিষ্যতের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করবে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গত চার সপ্তাহের প্রচেষ্টায় সব সদস্য রাষ্ট্রকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত করতে সফল হয়েছে।

স্থায়ী মিশন আরও জানায়, বাংলাদেশের পেশ করা সাপ্লাই চেইন সংক্রান্ত প্রস্তাবটি একমাত্র গৃহীত হয়েছে। আরও দুটি প্রস্তাব ছিল, যা মেক্সিকো এবং নরওয়ে দ্বারা পেশ করা লিঙ্গ সমতা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এবং আর্মেনিয়া দ্বারা পেশ করা পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং বৃত্তাকার অর্থনীতির উপর আরেকটি প্রস্তাব। যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অবস্থান/দৃষ্টিভঙ্গির অমতের কারণে গৃহীত হয়নি।

 

;

তফসিল স্থগিত চাওয়া রিটের শুনানি রোববার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট শুনানি রোববার (৩ ডিসেম্বর)। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যবিষয়টি ১৪ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে।

এর আগে গত মঙ্গলবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী। বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়।

তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে।

এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।

;