কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদের ওপর হামলা

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: বার্তা২৪.কম
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এডিস মশাবাহিত এই রোগে মারা গেলেন ১ হাজার ৬৩৯ জন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬৯ জন।
ছবি: বার্তা২৪.কম
হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসেছিলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর। তিনি (শাহজাহান ওমর) কেন ইসিতে এসেছিলেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ওটা আমার বিষয় না।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটি একের পর এক শোকজ করছে, কিন্তু প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমন বিষয় সামনে আনলে সিইসি বলেন, আমি যতটুকু বলার ততটুকু বলেছি। এর বাহিরে আমি কিছু বলবো না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নমিনেশন সাবমিশনের পর রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে মনোনয়নপত্র এক্সেপ্ট করে নেন। কিছু কিছু প্রত্যাখান করেন উনারা। যারা প্রত্যাখ্যাত হন, যাদের নমিনেশন পেপার গ্রহণ করা হয়, দুটোর বিরুদ্ধেই কিন্তু আপিল করা যায়। এক্সসেপ্টেশন অ্যান্ড রিজেক্টশন, অ্যাপিল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপির করতে পারবেন যে কেউ। আপিলের জন্য ১০টি অঞ্চল ঠিক করা হয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক আপিল দায়ের করা হবে। কর্মকর্তারা চমৎকারভাবে আমি প্রথমবার দেখলাম আপিল আবেদনগুলো গ্রহণ করছেন। এগুলো আপিল শুনানিতে দাখিল করা হবে। আপিল শুনানি হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তখন পুরো কমিশন বসে আপিলগুলো শুনবো। শুনে আমরা সিদ্ধান্ত দেবো।
ছবি: বার্তা ২৪
বরগুনার তালতলী উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের 'ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প' এর আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সুফল ভোগী ৯০ জন জেলেকে মাছ শিকারের উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বিতরণ করা উপকরণের মধ্যে বৈধ জাল ও ফ্লুডসহ মাছ শিকারের অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে।
তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন, মেরিন ফিশারিজ অফিসার অলিউল্লাহ শুভ প্রমুখ।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, "ইলিশের উৎপাদন ও আহরণ বৃদ্ধি করতে মৎস্য বিভাগসহ তৎপর রয়েছে সরকার। কিন্তু অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারায় ইলিশের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ও আহরণ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে জেলেদের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে উৎসাহিত করতে জেলেদের বৈধ জালসহ বিভিন্ন উপকরণ একটি প্রকল্প মাধ্যমের বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা জেলেদের মাঝে বৈধ জালসহ বিভিন্ন দরকারি উপকরণ বিতরণ করেছি। আমাদের এই বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।"
ছবি: সংগৃহীত
ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’ নামে একটি প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
রাজধানীর গুলশান এলাকার বাসিন্দা জুঁই আক্তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ যাওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’ ফেসুবকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্যে আকর্ষণীয় প্রাইজ দেখে আকৃষ্ট হন জুঁই। এরপর ভিসা ও অন্যান্য খরচের জন্য ৫৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার কিছু দিন পরই দেখতে পান তাদের ‘ট্রিপকার্ড’র অফিস বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারা অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেন নি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আশায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন জুঁই।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেইজের মাধ্যম বিজ্ঞাপন দিত। তারা বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় দিন ও রাত থাকা, হোটেলে বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপআপ, গাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করে। এক সঙ্গে ৪০ জনের ভিসা ও বিমানের টিকেট কাটাসহ সকল দায়িত্ব নিজেরাই পালন করার আশ্বাস দেয়। ফলে কম টাকায় সকল সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। অপুর নেতৃত্বে চক্রটি গত ছয় মাসে ৫৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘ট্রিপকার্ড’র নামের ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডের তথ্যে গত ছয় মাসে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য পেয়েছে।
সম্প্রতি, রাজধানীর বনানী থানায় এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ‘ট্রিপকার্ড’র নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ফেসবুকের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলংকার, থাইল্যান্ডে ট্যুর প্যাকেজের বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে আসছে। পরবর্তীতে কম টাকায় বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য তিন বন্ধু মিলে ট্যুর প্যাকেজে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাই যাওয়ার জন্য বুকিং দেন। এজন্য তারা কয়েক দফায় ব্যাংক ও নগদে প্রায় তিন লাখেরও বেশি টাকা জমা দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা দেওয়ার পরেও বিদেশে আর নিয়ে যায় না। বরং নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমন কি টাকা চেয়ে যোগাযোগ করলে কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’র মালিক বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে অফিসসহ যোগাযোগের সকল নাম্বার বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী।
মামলা তদন্তে নেমে পর্যটকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহনাগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম ওরফে অপু ও তার আপন ভাই মো. আহাদ আলম ওরফে তালহা ও প্রতিষ্ঠানের কথিত এডমিন মো. আমিনুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ১৪টি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড, ২টি ল্যান্ডফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি সিপিইউ ডেক্সটপ, পাঁচটি এটিএম কার্ড, ছয়টি ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়।
এই সকল প্রতারক চক্রের হাত থেকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, যে কোন ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক পেইজে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আকর্ষণীয় ও কম মূল্যের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে, বৈধ লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সেবা নিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে থানায় মামলা বা অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়া নিজের পাসপোর্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।