ভারত থেকে লাখের অধিক ডেঙ্গু প্রতিরোধক স্যালাইন ঢুকলো দেশে

ছবি: সংগৃহীত
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত এ পর্যন্ত ৪টি চালানে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫১ বোতল স্যালাইন ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। সরকারের এমন উদ্যোগ বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে কমতে শুরু করেছে স্যালাইনের দাম। এর আগে চাহিদা বাড়ায় ক্রেতাদের জিম্মি করে ৭৫ টাকার স্যালাইন ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রী করে আসছিল মুনাফা লোভি ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা।
গত ২০ সেপ্টম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪টি চালানে এ পরিমাণ স্যালাইন আসে ভারত থেকে।
বানিজ্যিক সংশিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পেলেও নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত আবারো ভাবিয়ে তুলেছে সরকারকে। গতকালও আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় দেশে চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্যালাইনের দাম সিন্ডিকেট করে বৃদ্ধি করে মোনাফালোভী ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা। এতে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ৭৫ টাকার স্যালাইন ৫০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়েছে ভুক্তভোগীদের। অবশেষে সরকার স্যালাইনের চাহিদা মেটাতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানির ঘোষনা দেয়।
প্রাথমিক ভাবে ৭ লাখ বোতল স্যালাইন আমদানি হচ্ছে। পরবর্তীতে চাহিদা বাড়লে আমদানি পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। গত ২০ সেপ্টম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৪টি চালানে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫১ ব্যাগ স্যালাইন বন্দরে প্রবেশ করেছে। প্রতি ব্যাগ স্যালাইন ভারতে কেনা দাম পড়েছে বাংলাদেশি অর্থে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা।
এদিকে আমদানি খবরে সিন্ডিকেট ভেঙে স্যালাইনের দাম কমতে শুরু করেছে বাজারে। ৫০০ টাকা থেকে কমে স্থানীয় বাজারে বিক্রী হচ্ছে ১৫০ টাকার মধ্যে।
ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানিকৃত স্যালাইন বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চাহিদা পূরনের পাশাপাশি বাজার দর আরো কমে আসবে। এর আগে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করে সিন্ডিকেট ভাঙে। ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙতে দুই এক দিনের মধ্যে ৪ কোটি ডিম আমদানি হবে ভারত থেকে।
ফার্মেসি ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, স্যালাইন সরবরাহ নাই বললে চলে। তবে আমদানি হওয়া স্যালাইন দ্রুত বাজারে সরবরাহ করা গেলে দাম আরো কমে আসবে।
সাধারন ক্রেতা জাহিদুল জানান, সাধারন মানুষ যাতে সঠিক দামে স্যালাইন কিনতে পারে সরকারকে বাজার তদারকি রাখতে হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, আমদানি হওয়া স্যালাইন সংকট নিরসনের পাশাপাশি দূনীতিবাজদের সিন্ডিকেট ভাঙবে।
বন্দর থেকে স্যালাইন ছাড়করন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সত্তাধীকারী ফারুক ইকবাল ডাবলু জানান, আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব স্যালাইন বন্দরে চলে আসবে ও দেশের হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ হবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় করনের সহযোগীতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।