সবজির আগুন দামে নাজেহাল মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম লাগামছাড়া। খুবই কষ্টে আছে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষ। পরিবারের খরচ ৪০ শতাংশ কমিয়েও সংসার চালাতে পারছি না। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন শরিফ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, সবজির আগুন দামে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের অবস্থা নাজেহাল। সবজির দাম শুধু বাড়ছেই। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি খুঁজে পাবেন না।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, একমাত্র পেঁপে ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।

খিলক্ষেত কাঁচাবাজারে বরবটি ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর গাজর একধাপ এগিয়ে ১২০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, বেগুন ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে, মূলার কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।

বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে আর পুরোনো আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ টাকা। আমদানির ঘোষণার পরও কমেনি ডিমের বাজার, হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আমিন উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বাজারে আসাটাই বিলাসিত মনে হচ্ছে। কোনো কিছুতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সবজি খাবো, তারও দায় নেই। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। আগে যে সবজি কিনেছি এক কেজি সেটা দামের কারণে বাধ্য হয়ে আধা কেজি কিনি। বাজার তদারকি না করার কারণে এমন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

গার্মেন্টসে চাকরি করেন এনামুল কবির। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে যার ইচ্ছামতো দাম রাখছে, কোনো জবাবদিহি নেই। আমাদের মতো মানুষের এই শহরে টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে। সবজি কিনে খাবো তাও বিচার বিবেচনা করতে হয় কোন সবজিটা কিনব। তাই তুলনামূলক কম দামের পেঁপে কিনে খাচ্ছি। সন্তানের মুখে মাংস দিবে সে সুযোগও নাই।

সবজির বাড়তি দামের বিষয়ে খিলক্ষেত বাজারের সবজি বিক্রেতা হুমায়ন কবির বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। এখন সবজির মৌসুম না, ফলে এগুলোর দাম বেশি। শীতকাল আসার আগ পর্যন্ত সবজির দাম বাড়তেই থাকবে বলে জানান তিনি।

খিলক্ষেত বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিং মাছ (আকারভেদে) কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, কাতল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

   

ফেনীর ৪ থানায় ওসি পদে রদবদল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ফেনী
ফেনীর ৪ থানায় ওসি পদে রদবদল

ফেনীর ৪ থানায় ওসি পদে রদবদল

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভুঞা, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে জেলার মধ্যেই বদলি করার আদেশ দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

বদলি আদেশ হতে জানা যায়, ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদ্ধীপ রায়কে সোনাগাজী মডেল থানায়, সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান ইমামকে ছাগলনাইয়া থানায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিনকে ফুলগাজী থানায় ও ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিমকে দাগনভূঞা থানায় বদলি করা হয়েছে।

ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

‘প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নেতৃত্বে আজকে আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চাঁদপুর
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক এ চাপের মধ্যে অন্যান্য দেশ, এমনকি অনেক ধনী দেশের তুলনায় আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে আজকে আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি। আগামীতে আমাদের অনেক স্বপ্ন ও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা চলছে অর্থাৎ সারা বিশ্ব এখন যে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে যাচ্ছে, সেটি আমাদের মধ্যেও পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। এখন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের তরুণ প্রজন্ম।

এ সময় চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সেক্রেটারী মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর খান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

হাত ছেড়ে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুই বন্ধু নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় হাত ছেড়ে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে জুয়েল রানা (১৬) ও সাজিদ মিয়া (১৫) নামের দুই কিশোর নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার কাশদহ গ্রামের হান্নানের মোড় নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল রানা রংপুরের পশ্চিম খাসবাগ তিনমাথা এলাকার আল আমিন মিয়ার ছেলে। সে রংপুরের একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অপরজন সাজিদ মিয়া একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। নিহত সাজিদ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তারা পরস্পর বন্ধু বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের বরাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, নিহত দুই বন্ধু বেপরোয়াগতিতে হাত ছেড়ে দিয়ে সিনেমা স্টাইলে মোটরসাইকেল চালিয়ে সুন্দরগঞ্জ এলাকা থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তারা কাশদহ গ্রামের হান্নানের মোড় নামকস্থানে গিয়ে মোটর সাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের খবরে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

;

শনিবার বেগম রোকেয়া দিবস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেগম রোকেয়া

বেগম রোকেয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

বেগম রোকেয়া দিবস আগামীকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর)। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়ার অবদান ও নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামীকাল বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ প্রদান উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরাবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখায় এবছর পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেয়া হচ্ছে।

পদক প্রাপ্ত পাঁচ জন বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডাঃ হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক প্রদান করবেন।

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এই উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও নিবন্ধ প্রচার ও প্রকাশ করবে। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বিতরণ ও স্থাপন করা হবে।

;