চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে শিশুসহ দু'জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২২৪

ছবি: বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ২২৪ জন। এ জেলায় এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁদনী আক্তার (১০) বুধবার রাতে মারা গেছে। নগরীর আগ্রাবাদ থেকে আসা ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তির একদিন পরেই মারা গেছে। একই হাসপাতালে ভর্তির পরপরই বুধবার রাতে মারা গেছেন শামসুল হক (৬৪) নামে এক ব্যক্তি। তার ঠিকানা মীরসরাই উপজেলায় উল্লেখ আছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৮৯ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩৫ জন রোগী। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নতুন ভর্তি রয়েছেন ৪০ জন।
নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪৫৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৮ হাজার ৪৭ জন।
এ মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় গত আগস্টেই মিলেছে ১ হাজার ৯৯৭ রোগী। গত মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছিল ১ হাজার ৬৮৮ জন।
জেলায় এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১ জন। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৪ জন মারা গেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ বেসরকারি হাসপাতালে।
এবছর এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ২৬৬ জন। গত আগস্ট মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মিলেছে ৩ হাজার ১১ জন। যা ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মিলেছিল ১১৪ জন আর ২০২১ সালের ৩৯ জন।
আর গত জুলাই মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মিলেছে ২ হাজার ৩১১ জন। যা ২০২২ সালের জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মিলেছিল ৬৪ জন আর ২০২১ সালের মাত্র ৭ জন।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৮৬৭ জন, নারী আক্রান্ত ১ হাজার ৭৮৫ জন এবং শিশু আক্রান্ত ১ হাজার ৬১৩ জন।
কিন্তু গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার ৪৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ৪১ জনের মৃত্যু হয়। করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে বিশ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।