বেনাপোলে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল পৌর গেটের সামনে একটি ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে এ মরদেহ উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। এখনও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কীভাবে তার মৃত্যু হলো ও তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

   

থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠানের অনুমতি নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে থার্টি ফার্স্ট নাইটের (৩১ ডিসেম্বর) দিন সন্ধ্যার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটের (৩১ ডিসেম্বর) দিন সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের গান-বাজনার আয়োজন করা যাবে না। এছাড়া বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো বা আতসবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি জানান, বড়দিন উপলক্ষে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এ সময় ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ থাকবে বলেও জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চার্চগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও সিসি/আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। চার্চগুলোর প্রবেশ পথে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নির্মাণ সামগ্রী থাকলে তা অপসারণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ নম্বরে কল আসামাত্র যাচাই করে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।

;

নভেম্বরে সড়কে ঝড়ল ৪৭৫ প্রাণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
নভেম্বরে সড়কে প্রাণ ঝড়ল ৪৭৫

নভেম্বরে সড়কে প্রাণ ঝড়ল ৪৭৫

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সারাদেশে ৫৬৬টি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এতে ৪৭৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৬০৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। আর সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

নভেম্বর মাসে রেলপথে ৩১টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ২৫ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৬টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬০৩টি দুর্ঘটনায় ৫০৩ জন নিহত এবং ৬৩০ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৪৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত, ৮৫ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ২৫.৯৭ শতাংশ, নিহতের ৩০.৫৬ শতাংশ ও আহতের ১৫.০১ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৮২৭টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২০.৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৭.৪৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৩৪.৬২ শতাংশ বাস, ১০.৫১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬.৫২ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৫.৫৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫.৩২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪২.৫৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৯.৭৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২১.৫৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ১৩.০৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২.৬৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, তা হলো- ট্র্যাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্র্যাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি। মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল। সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা । রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার। চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি। যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

;

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এডিস মশাবাহিত এই রোগে মারা গেলেন ১ হাজার ৬৩৯ জন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬৯ জন।

;

শাহজাহান ওমরের ইসিতে আসা প্রসঙ্গে যা বললেন সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসেছিলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর। তিনি (শাহজাহান ওমর) কেন ইসিতে এসেছিলেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ওটা আমার বিষয় না।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটি একের পর এক শোকজ করছে, কিন্তু প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, এমন বিষয় সামনে আনলে সিইসি বলেন, আমি যতটুকু বলার ততটুকু বলেছি। এর বাহিরে আমি কিছু বলবো না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নমিনেশন সাবমিশনের পর রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে মনোনয়নপত্র এক্সেপ্ট করে নেন। কিছু কিছু প্রত্যাখান করেন উনারা। যারা প্রত্যাখ্যাত হন, যাদের নমিনেশন পেপার গ্রহণ করা হয়, দুটোর বিরুদ্ধেই কিন্তু আপিল করা যায়। এক্সসেপ্টেশন অ্যান্ড রিজেক্টশন, অ্যাপিল করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপির করতে পারবেন যে কেউ। আপিলের জন্য ১০টি অঞ্চল ঠিক করা হয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক আপিল দায়ের করা হবে। কর্মকর্তারা চমৎকারভাবে আমি প্রথমবার দেখলাম আপিল আবেদনগুলো গ্রহণ করছেন। এগুলো আপিল শুনানিতে দাখিল করা হবে। আপিল শুনানি হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তখন পুরো কমিশন বসে আপিলগুলো শুনবো। শুনে আমরা সিদ্ধান্ত দেবো।

;