রংপুরে নগরীতে রেইন ট্রি গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়ে মা ও বড় মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেন বাবা ও ছোট মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর চব্বিশ হাজারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কৃষ্ণা রানী সরকার (৩৪) ও তার বড় মেয়ে রাজশ্রী সরকার (১১)।
কৃষ্ণা রানী গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের তুলশীরহাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি রংপুর নগরীর মেডিকেল পূর্বগেট এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কৃষ্ণা রানী, তার স্বামী ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার (৪২), ছোট মেয়ে শুভশ্রী সরকার (৫) ও বড় মেয়ে রাজশ্রী সরকার মোটরসাইকেলে তুলশীরহাট থেকে রংপুর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা চব্বিশ হাজারী এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে থাকা একটি রেইন ট্রি গাছের ডাল ভেঙে তাদের মোটরসাইকেলের উপরে পড়ে। এতে কৃষ্ণা রানী ও তার বড় মেয়ে রাজশ্রীর মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। এসময় তাদেরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা-মেয়ের মৃত্যু হয়। আর অল্পের জন্য বেঁচে যান ছোট মেয়ে শুভশ্রী ও তার বাবা ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার।
ওসি রবিউল ইসলাম আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। বর্তমানে ওই সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হারানো মোবাইল ফিরে পেয়ে অশ্রু সিক্ত তারা
জাতীয়
তথ্য প্রযুক্তি ও আধুনিক যোগাযোগের এই সময়ে মোবাইল ফোন মানুষের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যোগাযোগ ছাড়াও ব্যক্তিগত নানা কাজে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনাও ঘটছে অহরহ। কখনো চুরি বা ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে খোয়া যাচ্ছে শখের মোবাইলটি। হারানোর তুলনায় ফিরে পাওয়ার সংখ্যা খুবই সামান্য। তবে এক সঙ্গে অর্ধশত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে নজির স্থাপন করল মিরপুর থানা।
মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে অনেকেই আনন্দ অশ্রুতে ভেসেছেন। তাদের মধ্যে একজন রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা সাদিয়া আক্তার। গত দুই মাস আগে বাসা থেকে তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। এরপর মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাদিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুই মাস পরে হঠাৎ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইল উদ্ধারের কথা জেনে অবাক হয়েছি। দুই মাস আগে বাসার দরজা খোলা থাকায় অবস্থায় সুযোগে মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। মোবাইলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও তথ্য ছিল। মোবাইল হারিয়ে খারাপ লেগেছে। পরে নিজের নিরাপত্তার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। দুই মাস পর সোমবার (৪ ডিসেম্বর) পুলিশ আমাকে জানিয়েছে মোবাইলটি তারা উদ্ধার করেছে। ফিরে পাবো আশা করিনি। কিন্তু ফেরত পেয়ে ভালো লাগছে। তবে মোবাইলে কোনো ডাটা নেই।
শুধু মাত্র সাদিয়া নয়। তার মতো অর্ধ শতাধিক মানুষ হারানো মোবাইল ফোন ফিরে পেয়েছেন।
মিরপুর এক নম্বরের বাসিন্দা সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, আমার শ্বশুর নামাজ পড়তে বের হয়েছেন এই সুযোগে এক নারী বাসায় প্রবেশ করে আমার মোবাইল নিয়ে যায়। নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলাম। তিন মাস পর পুলিশ জানাল আমার মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে।
মোবাইল ফেরত পাওয়া ভুক্তভোগীরা বলছেন, মোবাইল হারিয়ে থানায় জিডি করার পর দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছেন। তারা প্রাথমিক কিছু নিয়ে মোবাইল উদ্ধারে কাজ করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উদ্ধার হওয়া ৬০টি মোবাইল ফোন মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
ওসি মহসীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, অনেকে মোবাইল হারিয়ে কান্না করেন। তেমনি ফিরে পাওয়াটাও তাদের জন্য আনন্দের। আমরা ৬০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। অনেকগুলো মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোবাইল হারিয়ে অনেকেই কখনো আশা করেনি ফোন উদ্ধার হবে। কিন্তু আমাদের ফোন পেয়ে তারা অবাক হয়েছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মানুষের খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিতে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল হারিয়ে যারা জিডি করছেন তারা সঠিক তথ্য না দিলে হারানো মোবাইল উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়াটা কঠিন। আমরা উদ্ধার হওয়ার পরে মোবাইল ফিরিয়ে দিতে গিয়ে দেখেছি যারা মোবাইল হারিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তাদের নাম, মোবাইল নম্বর ঠিক নেই। যোগাযোগের জন্য অনেকে বাড়ির মালিকের নাম্বার দিয়েছে কিন্তু বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।
মিরপুর থানার ওসি বলেন, মোবাইল উদ্ধারে মিরপুর মডেল থানায় বিশেষ একটি টিম গঠন করা হয়েছে। সেই টিমই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব মোবাইল উদ্ধার করে। মোবাইল হারিয়ে যাওয়া এবং চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধারে জিডি করা হয়। সেই জিডি ও মামলার সূত্রে এসব মোবাইল উদ্ধার করা হয়। মোবাইল উদ্ধারে গঠিত বিশেষ টিমের সদস্যরা হলেন এএসআই মোঃ ওবায়দুল হাসান, এএসআই শেখ মোঃ মনোয়ার হোসেন, এএসআই মোঃ কামরুল ইসলাম।
উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া সম্ভব হয় নি। কারণ মোবাইলের প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি।
মিরপুর থানাসূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে অন্তত ৫০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। গত এক বছরে ওসি মহসীনের নেতৃত্বে ৬০০ হারানো মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন বিএনপির দুই বহিষ্কৃত নেতা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে আপিল করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান। দুপুরে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নে খেপে যান বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর।
ইসি সূত্র জানায়, হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল করে ইসি। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল আবেদেন নেওয়া শুরু হয়েছে আজ থেকে। তাই আপিল আবেদন করতে বেলা ১১টার দিকে ইসিতে আসেন মেজর আখতারুজ্জামান।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার দুটি কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। প্রথমটি হল অতীতে আমার নামে কোনো মামলা ছিল কিনা সেই জায়গায় আমি কিছু লিখি নাই। তবে আমি যতটুকু জানি কেউ যদি সাজাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সেটি লিখতে হয় কিন্তু আমি যেহেতু সাজাপ্রাপ্ত নই তাই আমি ওই জায়গাটা ফাঁকা রাখি। কারণ আমরা যারা বিএনপি করি আমাদের নামে তো হাজার হাজার মামলা কোনটা থেকে কোনটা বলবো। আরেকটি জায়গায় তথ্য চেয়েছিলো সেখানে আমি লিখেছিলাম 'প্রযোজ্য নয়'। এই দুই কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমি এখানে এসেছি জানতে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই আমি আপিল আবেদন করব। পরে ক্যামেরায় তার নাম পরিচয় দিতে বললে এক সাংবাদিকের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিএনপির সাবেক এই নেতা। ওই সাংবাদিককে হোম ওয়ার্ক করে আসার পরামর্শ দেন।
গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মেজর (অব) আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে ইসিতে আসেন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান, ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, নির্বাচন ভবনে কেন এসেছেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ইসিতে কেন এসেছি আপনাকে কেন বলবো? আমি কেন এসেছি, এ বিষয়ে আপনাদের জবাবদিহিতা করতে হবে? আমি এমননিতেই ঘুরতে এসেছি, আপনাদের দেখতে এসেছি।
কয়েকজন সাংবাদিক ছবি তুলতে চাইলে রেগে যান তিনি। ছবি তোলা ও প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন শাহজাহান ওমর। এমনকি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় থাবাও মারতে উদ্যত হন।
ইসিতে কেন এসেছেন, এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেপারে দেখে নিয়েন। আইন ভঙ্গ করেছেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনি আইন জানেন? কে বললো আমি আইন ভেঙেছি?
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ইমাম হোসেন (৩০) উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-০১ ইস্ট ব্লক-জি/১২ এর মনির উল্লাহর ছেলে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর এফ/১৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসাইন দাবি করেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওই যুবক খুন হয়।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা হতে পারে। পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানতে পারে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ইমাম হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইমাম হোসেনের।
খবর পেয়ে এপিবিএন ও থানা পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানায় ওসি শামীম হোসাইন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
এদিকে গত ১৫ দিনে ৬ হত্যার ঘটনা ঘটে ক্যাম্পে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতরা বলছে প্রতিটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, মিয়ানমার কেন্দ্রিক কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আসরা-আরএসও’র মধ্যে ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়েই ঘটে বেশির ভাগ হত্যার ঘটনা।
স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়ার ১১ দিন পর স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী। পরে স্বামীর মুখ থেকে হত্যার বিবরণ শুনে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া পাকুরিয়া গ্রামের হুরমুস আলীর ছেলে বেলায়েত হোসেন (৪২) হাড়িনাল দক্ষিণ পাড়া আমজাদ হোসেনের বাউন্ডারি করা বাড়ির ভেতর বাক বিতন্ডার জেরে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। হত্যার পর ওই বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ে মরদেহ চাপা দেন।
এরপর অনুশোচনা থেকে গত ৪ ডিসেম্বর গাজীপুর সদর থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা বিস্তারিত বলে আত্মসমর্পণ করেন।
গাজীপুর সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, 'বেলায়েত হোসেন স্বেচ্ছায় থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে আমরা গিয়ে মাটির নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করি। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।'