নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের এক যুবলীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর ও গুলি করার অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজলার চরজব্বর ইউনিয়নের সোনাপুর-রামগতি সড়কের চেউয়াখালী বাজারে এ কর্মসূচি পালন করে আহত যুবলীগ নেতা মোঃ হোসেনের স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চেউয়াখালী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এলাকাবাসী।
এসময় বিক্ষোভ সমাবশে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, ইউনিয়ন যুবলীগর আহবায়ক মোঃ বদিউল আলম, আহত হোসেনের পিতা জামাল উদ্দিন।
তারা অভিযোগ করেন, মূলত গত ইউপি নির্বাচনে নৌকায় ভোট করায় যুবলীগ নেতা মোঃ হোসেনের উপর বিরোধী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাোঃ ওমর ফারুক ও তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত ছিল । গত ১২ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চেউয়াখালী বাজারের একটি চায়ের দোকানে চেয়ারম্যান অনুসারী এক যুবকের সাথে হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ওই দোকানে এসে তার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে তার নিজ গাড়িতে করে উঠিয় নিয়ে যায়। তারপর একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে দুই পায়ে গুলি করে চেয়ারম্যান। এরপর গুলিবিদ্ধ স্থানে তারকাটা ঢুকিয়ে দয়। ওই সময় চেয়ারম্যান মুঠোফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তারপর চৌকিদার নুরউদ্দিনক দিয়ে হাসপাতাল পাঠায়।
আহত মোঃ হোসেন নাোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় রয়েছেন। এ ঘটনায় স্হানীয় সাংসদ ও প্রশাসনর হস্তক্ষপ কামনা করেন স্হানীয় আওয়ামী লীগর নেতাকর্মিরা।
এ বিষয় চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক অভিযোগ অস্বীকার কর বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। প্রকৃত পক্ষে আমি হোসেন নামে ওই যুবককে চিনি না, কখনও দেখিওনি। চুরির অভিযাগে স্হানীয়রা তাকে আটক করে আমাকে খবর দিলে আমি চৌকিদার পাঠিয়ে তাকে হাসপাতাল পাঠানোর ব্যবস্হা করি।