সহজ কিস্তিতে ফ্ল্যাট পাবেন সাংবাদিকরা: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেকেই প্লট পেয়েছেন, কেউ কেউ তা বিক্রিও করেছেন। সরকারিভাবে অনেক ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। সামান্য কিছু টাকা জমা দিয়ে সাংবাদিকরা চাইলে কিস্তিতে পরিশোধ করে এসব ফ্ল্যাট নিতে পারবেন।

সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে অসুস্থ, অসচ্ছল সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাম সম্মেলনের জন্য যখন ফ্ল্যাট তৈরি করি তখনই লক্ষ্য ছিল যে সম্মেলন হওয়ার পরে ফ্ল্যাটগুলো আমারা কবি, শিল্পী সাহ্যিতিক, সাংবাদিক, আসলে তাদের কোনো চাকিরর তো কোনো স্থায়িত্ব থাকে না। যখন বয়স্ক হয়ে যায় বা অসুস্থ হয়ে যায়, তখন কি করে চলবে। তার কোনো নিদিষ্ট সুযোগই থাকে না। সরকারি চাকরি যারা করে তারা তো অবসর ভাতা পায়। যেমন আমাদের  রাজনীতিবিদদেরও কিছু থাকে না, সাংবাদিকদেরও কিছু থাকে না। এটা তো বাস্তবতা। তাই সরকারি ফ্ল্যাটগুলো চাইলে আপনারা সাংবাদিকরা নিতে পারেন।

বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করেছে। অনেক সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই করেন না। অবসরের পর তারা কীভাবে চলবে সেটাও চিন্তার বিষয়। তাই সাংবাদিকরা যাতে কিস্তিতে ফ্ল্যাট কিনতে পারে সে বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। তাছাড়া ইলেক্ট্রনিক মিডায়ার কর্মীদের ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা সরকার গঠন করার সময় সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন অবাধে সংবাদ যাতে প্রকাশিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। প্রথমে তিনটি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছি, তারপর এটি বাড়ানো হয়েছে। সেই সময় অনেকে বাধা দিয়েছিল যে, প্রাইভেটে টিভি চ্যানেল দেওয়া ঠিক হবে কি না? আমি যখনই যে কাজ করেছি সেখানে লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তখন আমি বলেছিলাম, যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব সেখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে বহু ধরনের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ বহু ধরনের মানুষ কাজ পাবে তাদের জীবন চলতে পারবে। সেভাবে আমরা টেলিভিশনটা উন্মুক্ত করে দেই।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তার আত্মজীবনী পড়লে আপনারা সেটি জানতে পারবেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, পত্রিকা বিক্রির কাজও তিনি করেছেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য।

   

ধান ও পশুর দাম নিম্নমুখী, সার-বীজ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পুরোদমে ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন চাষাবাদের কাজ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সার, বীজ, কীটনাশক কিনতে ঘরের ধান ও গৃহপালিত পশু বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু বাজারে আমন ধান আর পালিত বিভিন্ন পশুর দাম প্রতিনিয়ত নিম্নমুখী হচ্ছে। প্রতিবছর ৩টি লাভজনক ফসল চাষাবাদের মধ্যে অন্যতম হলো, আমন ধান চাষ।

এ ফসল ঘরে তুলে এবং বাজারে বিক্রি করে কৃষক প্রয়োজনমত সার, বীজ, কীটনাশক কিনে ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়। এবারে হাটবাজারে বাইরের ক্রেতা না আসায় কাঙ্খিত দরে ধান ও পশু বিক্রয় হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে আমন ধান ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের দাম নিম্নমুখী। শুধু ধান নয় অন্যান্য কৃষিপণ্য ও গৃহপালিত পশুর উপযুক্ত দামও মিলছে না। গত দশ দিনে মণ প্রতি (৪০ কেজি এক মণ) ১০০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ধানের দাম। এতে হাটবাজারে ধানের দামের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু/গরু-মহিষের দামও নিম্নমুখী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাটগ্রাম উপজেলা কার্যালয় জানায়, এ জেলায় এক লাখ ৩ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে আর ভুট্টা ৩২ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া পেঁয়াজ ৯০০ হেক্টর ও রসুন ৪০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, লালমনিরহাটের বিভিন্ন চরাঞ্চলের ৪৫ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আবাদ করা হয়ে থাকে।

একাধিক কৃষক জানান, বর্তমান বাজারে একমণ আমন ধান বিক্রয় হচ্ছে ১০৫০ থেকে ১০৭০ টাকা। গত দশ দিন আগে ছিল ১১৫০ থেকে ১১৮০ টাকা। ধানের উৎপাদন খরচ পড়ে সবমিলে মণপ্রতি প্রায় ৯০০ টাকা। ২৫ শতাংশ (স্থানীয় ভাষায় এক দোন) জমিতে ধান হয় ১৩ থেকে ১৪ মণ। বর্তমানে কৃষি উপকরণের দাম বেশি। ধান বিক্রয় করে চাষাবাদের খরচ আর নিজের (কৃষকের) পারিশ্রমিক ঠিকমত হচ্ছে না। ভুট্টা ও অন্যান্য আবাদ শুরু করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। একই অবস্থা জানা গেছে ফার্মে পালিত পশু/গরু-মহিষ নিয়ে। গত একমাস আগে বাজারে যে গরু-মহিষ বিক্রি হত তা প্রতিটিতে কমেছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

পাটগ্রাম উপজেলার একাধিক ধান ও চাল ব্যবসায়ী জানায়, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ হাটবাজারটি মূলত বাইরের বিভিন্ন খরিদদার/ক্রেতার উপর নির্ভরশীল। অবরোধ আর হরতালে বাইরের কোনো খরিদদার না আসায় এবং এখান হতে ধান কিনে বাইরে পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় ধানের দর কিছুটা কমেছে।

তবে কৃষকদের দাবি- স্থানীয় অটোরাইস মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা কৃষকদেরকে হরতাল অবরোধের নামে ঠকাচ্ছেন। তারা ইচ্ছে করেই ধানের দর কম নির্ধারণ করে কিনছেন। অবশ্য মিলচাতাল মালিকেরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

জগতবেড় ইউনিয়নের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, ৩৫ দোন/৯ একর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করেছি। সরকার ধানের দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ১২০০ টাকা। কিন্তু বাজারে একহাজার বা একহাজার বিশ টাকা। একজন কৃষক কঠোর পরিশ্রম করে ধান আবাদ করে ন্যায্য দাম না পেলে খুব খারাপ লাগে। সবকিছুর দর ঊর্ধ্বগতি। আমরা মহাচিন্তায়।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, পশুর (গরু, মহিষ, ছাগল) দর কমার মূল কারণ খোঁজা কঠিন। মানুষ হয়ত কিনছে কম এজন্য দাম কম। পর্যবেক্ষণ করতে হবে-কি কারণে দাম কমেছে। পশুর দাম কম এটা বেশিদিন থাকবে না। কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান জানান, এবারে ধানের আবাদ বেড়েছে। অপরদিকে সারের দাম সরকারি ভাবে কিছুটা বেড়েছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান যে ধানের বাজার দর গত বছরের তুলনায় বেশি, সেটা কৃষকের জন্য লাভজনক। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

;

ঐতিহ্য ফেরাতে গফরগাঁওয়ে ২৪ বছর পর লাফা বেগুন চাষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চরাঞ্চলে ২৪ বছর পর লাফা এবং তাল বেগুনের আবাদ বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল এলাকায় প্রান্তিক চাষিরা লাফা এবং তাল বেগুন আবাদ করে এখন লাভবান হচ্ছেন।

গফরগাঁওয়ের বেগুন স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় । এ বেগুনের আকৃতি গোল কিন্তু দেহ মসৃণ নয়। তাল বেগুনও দেখতে ঠিক লাফা বেগুনের মতো। কিন্তু এ বেগুন ঢেউ খেলানো খাঁজ কাটা নয়। সারা দেশে জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী গফরগাঁওয়ের বেগুন। অনেকেই একে গোল বেগুন বলে ডাকে। বড়া ও ভাজির জন্য প্রসিদ্ধ ও সুস্বাদু তাল বেগুন। এক সময়ে বিয়ের উৎসবে ঐতিহ্যবাহী লাফা বেগুন গফরগাঁওয়ের খাদ্যের তালিকায় না থাকলে বরপক্ষের খাবারে অপূর্ণতা থেকে যেত। এমন ঘটনা ঘটেছে, বরকে বড় থালায় খাবার দেওয়া হলে সেই থালায় লাফা বেগুনের ভাজা না থাকলে বর বিয়েতে অস্বীকৃতি জানাতো। 


গফরগাঁওয়ের লাফা বেগুন নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা বড় কর্মকর্তার দরজায় হাজির হলে তাদের ভাগ্যে মিলে যেত চাকরি। নানা সমস্যার কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বেগুন চরাঞ্চলে কৃষকরা আবার আবাদ শুরু করেছেন। গফরগাঁওয়ের চরআলগী নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক গোলাম বর এবং ছামিদ মিয়া লাফা বেগুন চাষ করেছেন।

এক সময়ে গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় লাফা বেগুনের চাষ হতো। একটি বেগুনের ওজন হতো ২/৩ কেজি পর্যন্ত। কোন প্রকার সার প্রয়োগ ছাড়াই এ বেগুন উৎপাদন হতো।

লাফা বেগুনের ক্ষেতে কোন রকম অপবিত্র শরীর নিয়ে গেলে কয়েকদিন পরেই বেগুনের গাছ মরে যায়। ব্রক্ষপুত্র নদের ভাঙ্গনে লাফা বেগুন চাষাবাদের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। লাফা বেগুনের উন্নত বীজ কোথাও না পেয়ে কৃষকরা নিরূপায় হয়ে লাফা বেগুনের পরিবর্তে বিভিন্ন জাতের বেগুন চাষ করছে। এদের মধ্যে হলো- গোল আকৃতির লাফা বেগুন, তাল বেগুন, ভোলানাথ, সিংনাথ, ইসলামপুরী, বারী বেগুন, খটখটিয়া, তারা ও ঝুড়ি বেগুনের চাষ।

চরআলগীর কৃষক হামিদ মিয়া জানান,' বিলুপ্ত হওয়া লাফা বেগুনের বীজ অনেক কষ্ট করে ইসলামপুর থেকে সংগ্রহ করে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে এক একর পঞ্চাশ শতাংশ জমিতে লাফা বেগুন চাষ করেছি। বেগুন চাষ করতে প্রায় ৯০ থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছি প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার মত। চলতি মৌসুমে বাজারে ১ মণ বেগুন ৪ হাজার ৮'শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। দর ভাল থাকায় আশা করছি এ বছর প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার উপরে বেগুন বিক্রি করতে পারব।'


কৃষক রিপন, গোলাম রব বলেন, লাফা বেগুন চাষের জন্য উন্নত বীজ না থাকায় এর বিকল্প হিসেবে আমরা ভোলানাথ ও ইসলামপুরী বেগুনের চাষাবাদ করছি। ইসলামপুরী ও ভোলানাথ বেগুন দেখতে অনেকটা লাফা বেগুনের মত, দামও ভাল। তবে খাওয়ায় স্বাদ কম। এবার চরআলগী ইউনিয়নের গোলাম রব ও হামিদ ২৪ বছর পর লাফা বেগুনের চাষ করে গফরগাঁও তথা ময়মনসিংহের ঐতিহ্য রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

লাফা বেগুন এর অপর চাষী জীবন মিয়া জানান, 'বংশানুক্রমিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে দু-একজন চাষী লাফা বেগুনের চাষ করেন। আগের মত আর এখন লাফা বেগুনের চাষ হয় না। ভরা শীত মৌসুমে চলে লাফা বেগুনের চাষ। রাতের শেষ প্রহরে মাটি ওলট-পালট করে দিতে হয়। প্রতি সপ্তাহে অল্প সেচ দিতে হয়। ভালো জাতের বেগুন গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণ রস টেনে নেয়। কৃষক জীবন মিয়ার দাবি জরুরী ভিত্তিতে লাফা বেগুনের ভাল বীজ সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।'

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান চলতি মৌসুমে ৮'শ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের বেগুনের চাষ হচ্ছে। চরআলগী, টাঙ্গাব, দত্তের বাজার ও সালটিয়া ইউনিয়নে বেগুনের চাষ হয়ে থাকে। এই ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৬'শ পরিবার বেগুন চাষে সুফল ভোগ করবে। গফরগাঁওয়ের চরআলগী ইউনিয়নের কৃষকরা লাফা এবং বেগুন আবাদ করে বাংলাদেশে মধ্যে আবার গফরগাঁওয়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি ।

;

বঙ্গবন্ধু টানেলে একমাসে পাড়ি দিল পৌনে দুই লাখ গাড়ি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
বঙ্গবন্ধু টানেল

বঙ্গবন্ধু টানেল

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচলের একমাস হয়ে গেল। ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টায় এই টানেল দিয়ে প্রথমবারের মতো গাড়ি চলাচল শুরু হয়।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ছয়টা পর্যন্ত, ৩০ দিনে এই টানেল হয়ে চলাচল করেছে এক লাখ ৭৫ হাজার ১৯৭টি যানবাহন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা জানিয়েছেন, এসব যানবাহনের কাছ থেকে টানেল ব্যবহারের বিপরীতে একমাসে চার কোটি ১২ লাখ ২১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর টানেলটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয় সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচল।

টানেল চালু হওয়ার পর থেকে এটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষের ভিড় বাড়ছে। সেজন্য টানেলে চলাচল করা বেশিরভাগ গাড়িই ছিল পর্যটকদের। পাশাপাশি বিমানবন্দরগামী দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিপুল গাড়িও টানেলে চলাচল করেছে। ঢাকা-কক্সবাজারগামী কিছু দূরপাল্লার যানবাহনও টানেল দিয়ে পারাপার করেছে। তবে সেটি সংখ্যায় কম। সামনের দিনগুলোতে দূরপাল্লার বাসের চলাচলও বাড়বে মনে করা হচ্ছে।

টানেল চালুর পর প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর বেশ কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

তবে এখন গাড়ি চলাচলে শৃঙ্খলা বেড়েছে বলে জনিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা। তিনি বলেন, টানেল দিয়ে দিনে দিনে যানবাহন চলার সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে গাড়ির শৃঙ্খলা। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেড়েছে।

;

জনগণ ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট -১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বর্তমান সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়েছে। মানুষ চায় শান্তি ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে। তাই তারা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করেছেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রাসেল হাসানের কার্যালয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন শান্তি ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকায় ভোট দিবেন। আমি প্রচুর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। আরও অনেক কিছু করার আছে। অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সিলেটবাসী অতীতের মতো আবারও আমাকে নির্বাচিত করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সিলেটবাসীর ভালোবাসায় আমি ধন্য। তারা অতীতে আমাকে ভোট দিয়েছেন। আবারও আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন। সিলেট বিভাগজুড়ে নৌকার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। নৌকাই জয়ী হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বা দিচ্ছেন, দলের জন্য তারা ত্যাগ স্বীকার করে তাদের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন বলেই আমি মনে করি। তারা আবার নৌকার প্রার্থীদের জয় নিশ্চিতে নির্বাচনী মাঠ থাকবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে দারুণ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। যারা নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন, তাদের প্রতি আমার আহ্বান, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নির্বাচনে আসুন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।

এরপরই তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এবং নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

;