কাজে আসছে না ৩৬ লাখ টাকার পুকুর!



সোহেল মিয়া, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে চারটি পুকুর পুনঃখননের প্রকল্প গ্রহণ করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর এ জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয় ৩৬ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৪ টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্টরা। পুকুরগুলো জেলা পরিষদের তদারকি করার কথা থাকলেও একেবারেই নজরদারি নেই তাদের। বরং উল্টো দুটি পুকুর লীজ প্রদান করে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।

পুকুরগুলো এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। মাছ চাষ, অযত্ন অবহেলা ও তদারকির অভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে পানি। কচুরিপানা আর আবর্জনায় ভরা। এ অবস্থায় প্রকল্পের উদ্দেশ্যে ও কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে। পুকুর পুনঃখননের ৩৬ লাখ টাকাই যেন জলে। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্তারা বলছেন, বর্তমানে এমন মনে হলেও আগামীতে এটি কাজে লাগবে।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যে ছিল যেসব এলাকার পানিতে লবণাক্ত রয়েছে, সেসব এলাকার মানুষের সুপেয় পানি সরবরাহ করা। পুকুরের গভীরে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বিশেষ করে চৈত্র-বৈশাখের সময় পানির স্তর ঠিক রাখা এবং ভূগর্ভস্থ পানির চাপ কমাতে উপরিভাগের পানি ব্যবহারে এলাকার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।

জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বালিয়াকান্দি উপজেলায় চারটি পুকুর পুনঃখননের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের পুকুরগুলো হলো- জঙ্গল ও জামালপুর ইউনিয়নে একটি করে এবং নবাবপুর ইউনিয়নে দুটি। এরমধ্যে প্যাকেজ-রাজ-৫৪ এর আওতায় জঙ্গল ও জামালপুর ইউনিয়নে দুটি পুকুর পুনঃখনন করা হয়। ২০২০ সালের আগস্টের ৬ তারিখে পুকুর খনন সমাপ্ত হয়। প্রতিটি পুকুর খনন বাবদ খরচ ধরা হয় ১২ লাখ ২৮ হাজার ৭৭৫ টাকা।

আর প্যাকেজ- রাজ-১০৩-১ এর আওতায় নবাবপুর ইউনিয়নে দুটি পুকুর পুনঃখনন করা হয়। এই দুটি পুকরের খনন বাবদ খরচ ধরা হয় ৫ লাখ ৫০ হাজার ৯৭৭ টাকা। পুকুর দুটির খনন কাজ সম্পন্ন হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে। চারটি পুকুর খনন বাবদ খরচ হয় ৩৬ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৪ টাকা।

খননের পর জেলা পরিষদের পরিদর্শনকারী দল পুকুর বুঝে নেন। জেলা পরিষদের গঠিত কমিটি পুকুরগুলোর দেখভাল করার কথা থাকলেও কোন নজরদারী নেই তাদের। ফলে যে উদ্দেশ্যে পুকুরগুলো পুনঃখনন করা হয়েছিল তা সফল হয়নি একটওু। প্রকল্পের এসব পুকুরে পানি সুপেয় রাখতে মাছ চাষ সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ বলা থাকলেও জেলা পরিষদ উল্টো পুকুরগুলো লীজ প্রদান করেছে প্রভাবশালীদের কাছে। আর লীজ নিয়ে অবাধে চলছে মাছ চাষ।

সরেজমিন নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামের দোপপাড়ার পুকুরে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরটি শুকিয়ে গেছে। মাঝখানে কোন রকম হাটু পানি রয়েছে। তদারকির অভাবে পুকুরের চারপাশের কাটাতারের বেড়া ও পিলার ভেঙে পড়ে আছে। পুকুরটি স্কুল শিক্ষক আবুল কালাম মন্ডল লীজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। তিনি জানান, পুকুরটি খননের পর প্রথম দুই বছর এভাবে পড়ে ছিল। কেউ ব্যবহার করতো না। পরে আমি ২০২৩ এ জেলা পরিষদ থেকে লীজ নিয়ে মাছ চাষ করছি।

জামালপুরের তুলসী বরাট গ্রামের পুকুরটি কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভরা। পুকুরের পাশের বাসিন্দা শংকরী বিশ্বাস বলেন, পুকুরটি শুধু শুধু খনন করা হয়েছে। এটি আমাদের কোন কাজেই আসছে না। বারো মাস কচুরিপানায় ভরে থাকে। পাটের সময় পুকুরের মধ্যে পাট জাগ দেওয়া হয়। যেখানে পাট জাগ দেওয়ার হয় সেখানে কতটুকু সুপেয় থাকতে পারে পানি?

জঙ্গল ইউনিয়নের পুকুরটির অবস্থা আরো শোচনীয়। পুকুরটি এখন আর কেউ ব্যবহারই করছেন না বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু। তিনি বলেন, তদারকির অভাবে পুকুরটি এখন পরিত্যক্ত। যে উদ্দেশ্য নিয়ে খনন করা হয়েছিল তা একটওু সফল হয়নি। এখানে লাখ লাখ টাকাই জলে গিয়েছে।

জেলা পরিষদের বালিয়াকান্দিতে দায়িত্বরত সদস্য মো: আব্দুল বারিক বিশ্বাস বলেন, পুকুরগুলো ২০২০ সালের শেষের দিকে খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালে আমি ও পরিষদের চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিষয়টি দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুটি পুকুর লীজ দেওয়া হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মো: রেজাউল করিম বলেন, প্রথমত পুকুরগুলো সরকারের দখলে ছিল না। পুনঃখননের মাধ্যমে দখলে চলে আসে। যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে এটি একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। অদূর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ হয়ত এটির উপকারিতা চোখে পড়ছেনা। কিন্তু ৫০ বছর পর যখন পানির স্তর নিচে নেমে যাবে তখন এই পুকুরগুলো মানুষের ভীষণ কাজে লাগবে।

   

কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৫ সালে কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সার চাওয়ার অপরাধে কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিলেন, এখনও আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চাননি তারপরও ক্ষমতায় যেতে চান। 

হানিফ বলেন, আপনারা খুনির দল, হত্যাকারীর দল, কোন সাহসে আপনারা আবার ক্ষমতায় যেতে চান? এই সরকার জনগণের সরকার। আপনারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন।

কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে থেকে আমরা বলতে চাই, কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুর্নীতিবাজ কোন মানুষের নেতৃত্বের সরকার দেখতে চায় না। আপনাদের থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেটা আপনারা নিজেরাও দেখেছেন। আমেরিকার জরিপে দেখেছেন এখনো ৭০ ভাগ মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ১৯৯৫ ও ২০০৪ সালে নিহত হওয়াদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে।

;

সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের বদরগঞ্জে পুজা মহন্ত (১৬) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মোবাইল ফোন থেকে সিমকার্ড খুলে নেওয়ার ক্ষোভে মা-বাবার ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুজা মহন্ত বদরগঞ্জ পৌরশহরের মমিননগর শাহাপাড়ায় সঞ্জয় মহন্তের মেয়ে। সে পার্বতীপুরের খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কিছুদিন থেকে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে পুজা। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতো। লেখাপড়া বাদ দিয়ে ফেসবুক নিয়ে আসক্ত না হওয়ার জন্য ভাই ও মা-বাবা তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু পুজা কারো কথা শোনতো না। 

এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার পুজার মোবাইল ফোন সেট থেকে সিম কার্ড খুলে নেয় পুজার বড় ভাই সাগর। এ নিয়ে পুজা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে দরজা বন্ধ করে পুজা ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। 

বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুজাকে উদ্ধার করে প্রথমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাত আটটার দিকে পুজা মৃত্যু হয়।

সঞ্জয় মহন্ত বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে পুজা। জেদের বসে সে এমন কাণ্ড করে বসবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। এখন আমার সর্বনাশ হয়ে গেল।

বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, পুজা নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।

 

;

নদী রক্ষা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত: আনু মুহাম্মদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নদী রক্ষা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। যারা নদী দখল করে তারা বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক, তাই এটি রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডায় আসেন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে “দখলের গ্রাসে সুটকি নদী’র ২৬ কিলোমিটার: ৫০ বছরে নদী লুট ঠেকাতে নাগরিক আহবান” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ মন্তব্য করেন।

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, সুটকি নদী দখলদারিত্বের একটি প্রতিনিধিত্ব মাত্র। সারা দেশে এমন আরো বহু ঘটনা ঘটছে। নদীকে দেখার জন্য আমাদের আদালতের দৃষ্টিভঙ্গি এখনো সেরকমভাবে তৈরি হয়নি। শীতলক্ষ্যার পাড়ে আমরা এখনো দেখছি শুধু সিমেন্ট কারখানা। জিডিপি বৃদ্ধির সাথেও নদী দখল জড়িত। কিছুদিন আগে এক মন্ত্রী বললেন, এতো চওড়া নদীর দরকার নেই। নদী ভরাট করে জমি বানাতে হবে। অতীতে নদী নিয়ে আন্দোলনকারীকে ক্রসফায়ারেরও হুমকি দেয়া হয়েছে এদেশে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আইনের অনেক অপব্যাখ্যা হচ্ছে। কিন্তু সংসদে নদীর স্বার্থের পরিপন্থী কোনো আইন এখনো পাশ হয়নি। নদী রক্ষা কমিশনের তেমন ক্ষমতা নেই, ফান্ডও নেই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের সামগ্রিক নদী প্রশাসনের অবস্থা বেশ ঘোলাটে। ভরাট, দখল, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সবই যেনো টাকার খেলা। নদী রক্ষা করতে হলে সাহসিকতা ও সততার সাথে কাজ করতে হবে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র সাবেক প্রধান নির্বাহী শীপা হাফিজা বলেন, সুটকি দখলদারিত্বে লোকটির দূরদর্শিতা আছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমাদেরকে এসব দখলদারিত্ব উচ্ছেদে নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে এবং তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এ কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত দার্শনিক ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, নোঙর বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান সুমন শামস্ প্রমুখ।

হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন, নোঙর, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং ইনিশিয়েটিভ ফর পিস যৌথভাবে উক্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন ও ইনিশিয়েটিভ ফর পিস এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

;

রমেকে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম চট্টগ্রাম রংপুর
রমেকে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা

রমেকে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন জনবল নিয়োগের টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নতুন নিয়োগ না হতেই চুক্তিভিত্তিক প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাটাই করেছেন সদ্যবদলি হওয়া পরিচালক। এ অবস্থায় হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাহতসহ ছাঁটাইকৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের বেড়েছে দুর্গতি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমনিতেই জনবল সংকট তার উপর ছাঁটাই। সংকটের উপর সংকট সৃষ্টি মানেই রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে থাকা রমেক হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাসহ সেবামূলক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে। 

এদিকে রমেকে জনবল বৃদ্ধি না পেলেও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার পরিধি বেড়েছে দ্বিগুণ। ঘোষিত ১ হাজার রোগীর স্বাস্থ্য সেবার পরিবর্তে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশী রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন। এছাড়াও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন।

পাশাপাশি রোগীর স্বজন, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে প্রতিদিন অনেক মানুষের সমাগম হয় এই হাসপাতালে। 

কর্মচারীরা বলছেন, জনবল সংকটে তিন শিফটে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের। উপরন্তু, নতুন জনবল নিয়োগ না হতেই চুক্তিভিত্তিক জনবল হ্রাস করায় পরিস্থিতি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

সচেতন মহল বলছেন, সম্প্রতি নতুন জনবল সরবরাহের জন্য টেন্ডারে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানটির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) কর্তৃক সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও কাজ না দেয়া রহস্যজনক।

দ্রুত স্থগিত জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে ঠিকাদাররা বলেছেন, মূল্যায়ন কমিটির সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার পর কেন গোল্ফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডকে কাজ না দিয়ে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান এবং সর্বশেষ টেন্ডার স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। 

এ বিষয়ে টিইসির সদস্য সচিব এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, সদ্যবদলি হওয়া পরিচালক নিজ ক্ষমতাবলে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান ও স্থগিত করেছেন। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। তবে প্রাথমিক এবং কারিগরি মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত গোল্ফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের সুপারিশসহ টেন্ডার অনুমোদনের পরবর্তী গ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদনে রমেক পরিচালককে অবগত করা হয়েছিল।

তিনি স্বীকার করেন, বর্তমানে হাসপাতালের পরিধি ও কার্যক্রম অনেক বেড়েছে, কিন্তু জনবল সে তুলনায় অনেক কম। পাশাপাশি নতুন জনবল নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক জনবল হ্রাস ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে সদ্যবদলি হওয়া রমেক হাসপাতালের পরিচালককে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দেয়ার জন্য বলেন। পরে একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি। 

;