সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে আদর্শ জুটির সম্মাননা পেয়েছেন ছয় দম্পতি।
শুক্রবার (৯ জুন) রাতে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তাদের হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।
জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা কমিটি এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
চিকিৎসা সেবা ক্যাটাগরিতে আদর্শ জুটি ডা: আমিনুল হক রতন-ডা: আসমা জাহান লিজা, সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে আদর্শ জুটি মো: আমিরুল ইসলাম-আশরাফুননাহার দিনু, সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে আদর্শ জুটি আলহাজ্ব রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব-আফরোজা আক্তার ডিউ, ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে আদর্শ জুটি হাবিবুল আলম-সাফিনা আঞ্জুম জনী, কুষ্টিয়ার ইতিহাস গবেষণা ক্যাটাগরিতে আদর্শ জুটি ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন-ড. সারিয়া সুলতানা, শিক্ষা ও সাহিত্য ক্যাটাগরিতে আদর্শ জুটি ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতন-ড. আকলিমা খাতুন ইরা দম্পতিকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, দেশ ও সমাজের উন্নয়নে আমাদের সবার সমান ভূমিকা রাখা দরকার। এতে আমরা আমাদের ভিশনে সহজে পৌঁছাতে পারব। জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ এমন একটি ব্যতিক্রম আয়োজন করায় তাদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, ভালো কাজের জন্য যেমন সম্মাননা দেওয়া হয়। এটি দেখে অন্যরাও ভালো কাজে উৎসাহী হয়। তাই আমাদের ভালো কাজ করতে হবে।
জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের চেয়ারম্যান জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম ও জেলা কমিটির সভাপতি এসএম জামালের সার্বিক তত্বাবধানে সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট নাট্যকার মাসুম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা: এএফএম আমিনুল হক রতন, লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমান, ইবির আইন বিভাগের প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার পত্মী দিলরুবা আলম, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, জাগ্রত সেবা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট নাজনীন সুলতানা লুনা প্রমুখ।
জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি এসএম জামাল বলেন, ‘সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য হলো সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া ব্যক্তি/ সংগঠন সহ জেলার কৃতিমান সফল ব্যক্তিদের সম্মাননা জানানোর মাধ্যমে এ সমাজকে আলোকিত করতে অবদান রাখায় তাদের জাগ্রত করে তোলা।
তিনি বলেন,‘আজকে আমরা এমন ৬ দম্পতিকে সম্মাননা দিয়েছি যাদের গল্পটা অন্য অনেকের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।’
অনুষ্ঠানে রত্মাগর্ভা মা, গুণীজন সম্মাননা ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় সংগঠন ও ব্যক্তিকে সম্মাননা জানানো হয়।