অসহনীয় গরমে রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে লোডশেডিং



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। এর মধ্যে দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

রাজধানী খিলক্ষেতের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ। সারাদিনের কর্মক্লান্তি শেষে বাসায় ফিরে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছিলেন। মাত্রই ঘুমে বন্ধ হয়ে আসছিল চোখ। আর তখনই বিদ্যুৎ চলে গেল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় লোডশেডিংয়ে রাতের ঘুম শিকেয় ওঠে তার।

রাজধানীসহ সারাদেশেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে আসতে লাগছে কয়েক ঘণ্টা। দিনের মতোই মধ্যরাতেও লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশবাসীকে। এতে মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি হচ্ছে বেশি। অসুস্থ হয়ে পড়ছে তারা। আর রাতের ঘুম না হওয়ায় চাকরিজীবীদের প্রভাব পড়ছে কর্মক্ষেত্রে।

উত্তরার বাসিন্দা তানিয়া রহমান বলেন, দিবাগত রাত ৪টায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আমার ঘরে থাকা ৩ বছর বয়সী ছেলে গরমে জেগে উঠে কান্না করতে থাকে। এ সময় হাতপাখা দিয়ে তাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। তাকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে সারারাত আমরা ঘুমাতে পারিনি।

শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে। আর রাতে তো ঘুমাতেই পারছি না।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার মধ্যে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টার সম্ভাব্য লোডশেডিং এবং ঢাকার বাইরে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নিজেদের শিডিউলই প্রতিনিয়ত ভাঙছে। শিডিউলের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের তফাত বিস্তর। রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় দিন-রাত মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ। কোনো কোনো জেলা ও গ্রামাঞ্চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না মানুষ।

এদিকে লোডশেডিং থেকে রেহাই পেতে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করা ছাড়া আপাতত কোনো সুখবর নেই। প্রকৃতি বৃষ্টি দিলেই কেবল লোডশেডিং কমতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

   

‘নির্বাচনের সময় মিথ্যাচার করাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির কাজ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নির্বাচনের সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও মিথ্যাচার করাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির মূল কাজ। আমার বিশ্বাস যত অপপ্রচার করুক স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি তাতে কোন বিভ্রান্ত হবে না।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বের ইতিহাস শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে ২৯ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর ও তার উত্তরাধিকার ১৯ বছর মিলে মোট সাড়ে ২২ বছর ক্ষমতায়। আমাদের সাড়ে ২২ বছরের সঙ্গে তাদের ২৯ বছর তুলনা করলে মানুষ বুঝবে যে, তারা ক্ষমতায় থেকে এ দেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে।

পাকিস্তানের দোসররা এখনো আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এ দেশ থেকে চলে গেছে। কিন্তু তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আল শামস, এমনকি যে জামায়াত সেই সময় দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা সবাই বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তারা এখনো আছে। আশপাশে, আমাদের সঙ্গে অনেকটাই মিশে আছে। সময় ও সুযোগ পেলেই তাদের আসল রূপ উন্মোচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা মেনে নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি যারা দেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে তাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাধাকে অতিক্রম করে এগিয়ে চলাটাই হচ্ছে সফলতা।

রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন ও পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. একেএম জালাল উদ্দিন আকবর।

এর আগে পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্বাধীনতা গ্যালারি উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

;

কিডনি বিক্রি সিন্ডিকেটের মূল হোতা আ.লীগ নেতা জেমস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম হোসেন জেমস

আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম হোসেন জেমস

  • Font increase
  • Font Decrease

একটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা, দাদন ব্যবসায়ীর চাপ ও নেশার টাকা জোগাড় করতে দালালের ফাঁদে পা দিয়ে কিডনি বিক্রি করছে গ্রামের অভাবী মানুষেরা। আর এই সুযোগে বাজারে মাছ ও মাংসের মতো দরদাম করে প্রকাশ্যে কিডনি বেচাকেনার হাট বসিয়েছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম হোসেন জেমস।

মোনায়েম হোসেন জেমসের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার প্রায় ২শ মানুষের কিডনি বিক্রি করা হয়েছে। মূলত তরুণদের টার্গেট করে চলে কিডনি সংগ্রহ। তরুণদের প্রতিটি কিডনি ৬ থেকে ৭ লাখ ও মধ্যবয়সীদের ২ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে কিডনি বেচাকেনা হয়। এসব কিডনি প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। আর এ সবকিছু প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গ্রামের বেকার, দিনমজুর, ভ্যানচালক, হতদরিদ্র সহজ সরল মানুষগুলোকে টার্গেট করে দালাল চক্র ও দাদন ব্যবসায়ীরা। অভাবের কারণে কিছু টাকা চড়া সুদে ধার দেন দালাল চক্রটি। তাদের ধার ও সুদের টাকা সময়মতো না দিতে পারলে শুরু হয় শরীর থেকে কিডনি নেওয়ার অভিনব সু-কৌশল। এই কিডনি বিক্রেতারা সামান্য নগদ অর্থ হাতে পেলেও সিংহভাগ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা জেমস বাহিনী নামে একটি দালাল চক্র।

চক্রের মূলহোতা তাড়াশ উপজেলার হোমনগর গ্রামের আবুল ওয়াহাবের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোনায়েম হোসেন জেমসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজির একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া একাধিকবার প্রতিবেশী দেশেও যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এই চক্রের অন্য সদস্যরা ও বিক্রেতারা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম হোসেন জেমসের নেতৃত্বে একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট তরুণদের টার্গেট করে কিডনি সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুরে এখন পর্যন্ত প্রায় ২শ মানুষের কিডনি বিক্রি হয়েছে। কিডনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় মানুষেরা তাদের কিডনি বিক্রি করেছেন। সিন্ডিকেটের দেখানো আর্থিক প্রলোভনে এসব মানুষরা কিডনি বিক্রি করেছেন।

ওই চক্রের সদস্য গুরুদাসপুরের আব্বাসের মোড় এলাকার রশিদ জানান, তাড়াশ উপজলোর মোনায়েম হোসেন জেমসের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি বেচাকেনার সিন্ডিকেট চলছে। তিনি ঢাকায় থেকে সব নিয়ন্ত্রণ করেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কিডনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের টার্গেট করে কিডনি কেনার লোক ঠিক করা হয়। এরপর দরিদ্র মানুষদের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি কেনা হয়। বাজারে সব থেকে তরুণদের কিডনির চাহিদা বেশি।

কিডনি বিক্রি করতে যাওয়া সাহাপুরের নজরুল বলেন, অভাব আর দেনার কারণে আমি কিডনি বিক্রি করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এজন্য রশিদের সঙ্গে যোগাযোগও করি। তখন রশিদ জানায়, ক্রেতা পাওয়া গেলে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায় কিডনি কিনবে। ঢাকাতে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হবে। বিক্রির কাজে কিডনি আব্বাস ও জেমস তাদের সহযোগিতা করবে।

চাচকৈড় বাজারের মধ্যমপাড়া এলাকার খৈবার ও কয়েকজন কিডনি বিক্রেতা জানান, তারা জেমস, রশিদ ও আব্বাসের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করেছেন। এজন্য তাদের ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। অভাবের কারণেই তারা এ কিডনি বিক্রি করেছেন।

কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে ফিরে আসা একই এলাকার জিল্লুর রহমান বলেন, আব্বাস ও জেমসের প্রলোভনে কিডনি বিক্রিতে রাজি হয়েছিলাম। পরে ভুল বুঝতে পেরে ফিরেও এসেছি।

এই চক্রের অন্য সদস্য আব্বাস ওরফে কিডনি আব্বাস জানান, তিনি নিজের কিডনি বিক্রি করেছেন। এজন্য অনেকেই তার কাছে কিডনি বিক্রির বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসেন। কেউ আসলে পরামর্শ দেন। তবে চক্রের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে জানান।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন জেমস জানান, আমাকে ঘিরে কিডনি বিক্রি সংক্রান্ত যে সকল অভিযোগ ওঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়টি আমি জানি না। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।

জেমসের বিষয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা আওয়ামী লীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো ব্যক্তি আমাদের কাছে অভিযোগ দেননি। তবে ঘটনাটি সত্য নাকি মিথ্যা বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ সংগঠনের সঙ্গে থাকতে পারবে না। প্রমাণিত হলেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কিডনি বেচাকেনার বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তথ্য পেলে আপনাদের জানানো হবে।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, কিডনি পাচার সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, কয়েকদিন আগে বিষয়টি অবগত হয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুনগুন পরিবহন ও যাতায়াত পরিবহনের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দেলোয়ারা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন ।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন ।

তিনি বলেন, দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে থাকা পাসপোর্টে পরিচয় পাওয়া গেছে। তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গৌরনদী থানায় আনা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

;

‘বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের, ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করলো না এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেয়া হবেনা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউ’র প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কিনা এমন প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যাই? যাই না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করলো না এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না আসলেও কোন অসুবিধা নাই। কেউ পর্যবেক্ষণ করল কি করলো না এতে কিছুই আসে যায় না। ইতিমধ্যে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে ইনশাল্লাহ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবেন বলে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউ’র পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, আমাদের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।

বিএনপি লংমার্চ কর্মসুচিতে হরতাল অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, এব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি কি আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে এক’শদিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পেট্টোলবোমা নিক্ষেপ করে শতশত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। 

তিনি বলেন, দেশে এধরণের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দিবে না। সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে- বলেন তথ্যমন্ত্রী।

;